ওয়েলনেস

রোজ-রোজ কেনা তো আর সম্ভব নয়, তাই এবার বাড়িতেই তৈরি করে ফেলুন মিনারেল ওয়াটার!

Debapriya Bhattacharyya  |  Jan 14, 2020
রোজ-রোজ কেনা তো আর সম্ভব নয়, তাই এবার বাড়িতেই তৈরি করে ফেলুন মিনারেল ওয়াটার!

জলই জীবন। এই কথাটা শুনেই আমরা সবাই বড় হয়েছি আর কথাটা যে ১০০% সঠিক, সে বিষয়েও আমাদের মনে কোনও দ্বিমত নেই। আরও একটি কথা আপনারা শুনে থাকবেন যে জল হল একমাত্র বস্তু যা আমরা বিনামূল্যে খেতে পারি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, জল তো আর এখন বিনামূল্যে পাওয়া যায় না, অনেকসময়েই এমনও হয় যে আমরা মিনারেল ওয়াটারের (mineral water) বোতল কিনে তারপর জল খাই। কোনও রেস্তোরাঁতে আপনি খেতে গেলেই আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, ফিল্টার করা জল (filtered water) খাবেন নাকি মিনারেল ওয়াটার? আবার বাইরে হয়ত কোথাও বেরিয়েছেন কিন্তু সঙ্গে জল আনতে ভুলে গেছেন বাঁ জল শেষ হয়ে গেছে, তাতে কী, মিনারেল ওয়াটার কিনে নেন আপনি। আসলে মিনারেল ওয়াটার বা পরিশোধিত জল আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জুড়ে গিয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, যে আপনি মাত্র কয়েকটি ধাপে বাড়িতেই তৈরি করে (home made) ফেলতে পারেন মিনারেল ওয়াটার?

Shutterstock

মাত্র পাঁচটি ধাপে বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন মিনারেল ওয়াটার

প্রথমেই বলে রাখি, মিনারেল ওয়াটার (mineral water) আর ফিল্টার করা জল (filtered water) কিন্তু এক জিনিস নয়। ফিল্টার করা জল থেকে শুধুমাত্র ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করা যায়; কিন্তু মিনারেল ওয়াটার নানারকম খনিজ যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ। কাজেই বুঝতেই পারছেন যে, মিনারেল ওয়াটার যদি নিয়মিত পান করা যায় তা হলে শরীরের নানা উপকারে তা লাগে। তবে একথাও ঠিক যে প্রতিদিন মিনারেল ওয়াটারের জার বা বোতল কেনা সম্ভব নয়। তাতে অসুবিধে কী? নিজেই তৈরি করে নিন না ‘বিশুদ্ধ ঘরোয়া মিনারেল ওয়াটার’ (homemade)! জেনে নিন, কীভাবে…

https://bangla.popxo.com/article/all-you-need-to-know-about-low-protein-diet-plan-in-bengali

বাড়িতে মিনারেল ওয়াটার তৈরি করতে যা-যা উপকরণ লাগবে: ফিল্টার করা জল, বেকিং সোডা, এপসম সল্ট, পটাশিয়াম বাই-কার্বোনেট

ধাপ ১: প্রথমেই আপনাকে ফিল্টার করা জল নিতে হবে। আপনি চাইলে আপনার বাড়ির পিউরিফায়ারের জল ব্যবহার করতে পারেন। দুই লিটার ফিল্টার করা জল নিন এবং কাচের কোনও পাত্রে জলটি ঢেলে নিন। কাচের পাত্রটি আগে থেকেই খুব ভালভাবে পরিষ্কার করে নেবেন যাতে কোনও দাগ, ময়লা বা গন্ধ না থাকে। আপনি চাইলে কাচের বোতল বা জগ অথবা বাটি ব্যবহার করতে পারেন।

ধাপ ২: এবার বাড়িতে (homemade) মিনারেল ওয়াটার (mineral water) তৈরি করার দ্বিতীয় ধাপে আসা যাক। দুই লিটার ফিল্টার করা জলের মধ্যে এক চা চামচের এক চতুর্থাংশ বেকিং সোডা মেশাতে হবে। বেকিং সোডা আমাদের শরীরে সোডিয়াম যোগ করে। বাড়িতে তৈরি মিনারেল ওয়াটারে যদি সোডিয়াম যুক্ত হয় তা হলে ক্ষতি নেই, বরং লাভ রয়েছে। যাঁদের হজমের সমস্যা হয়, কিছু খেলেই গ্যাস হয়, পেট ফাঁপা থাকে বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সোডিয়াম দূর করতে সাহায্য করে।

Shutterstock

ধাপ ৩: ফিল্টার করা জলকে (filtered water) মিনারেল ওয়াটারে পরিণত করার তৃতীয় ধাপে আমাদের ঠিক একই মাপে অর্থাৎ দুই লিটার ফিল্টার করা জলের মধ্যে এক চা চামচের এক চতুর্থাংশ এপসম সল্ট মেশাতে হবে। ফিল্টার করা জলেও অনেকসময়েই কিছু জীবাণু থেকেই যায়। এপসম সল্ট জলকে জীবাণুমুক্ত করতে সাহায্য করে।

ধাপ ৪: বেকিং সোডা এবং এপসম সল্ট মেশানোর পরে পটাশিয়াম বাই-কার্বোনেট মেশাতে হবে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল যে জলে মেশানোর জন্য প্রতিটি উপকরণই সমপরিমাণে মেশাতে হবে। পটাশিয়াম বাই-কার্বোনেট খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ, যা আমাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, রক্তসঞ্চালনে সাহায্য করে এবং হার্ট সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

ধাপ ৫: প্রতিটি উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিন এবং কাচের পাত্রের উপরে পরিষ্কার একটা ঢাকা দিয়ে দিন। ঘণ্টাখানেক রেখে একটা পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে জলটা ছেঁকে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মিনারেল ওয়াটার!

ছবি সৌজন্য: শাটারস্টক

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!

Read More From ওয়েলনেস