ব্য়ক্তিগত জীবন ও কর্মজীবনের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম বিভাজন রেখা থাকে। এই বিভাজন রেখা দুই জীবনকে আলাদা রাখে। কিন্তু এই রেখা এতটাই সূক্ষ্ম যে অনেক সময় দুই জীবনের মধ্যে গুলিয়ে ফেলি আমরা। তখন নানা রকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু জীবনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে এই বিভাজন রেখার কথা সব সময় মাথায় রাখা।
যেন ব্যক্তিগত জীবনের কোনও প্রভাব কর্মজীবনে না পড়ে, আবার কর্মজীবনের প্রভাব ব্যক্তিগত জীবনে না পড়ে (separate your work and personal life) । এই বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখতেই হবে। হয়তো কখনও কখনও আমরা পেরে উঠব না, কিন্তু তাও চেষ্টা করতে হবে। কয়েকটি পরামর্শ রইল আপনার জন্য।
ঘুম থেকে উঠে মেডিটেশন করবেন
ঘুম থেকে উঠে একটি ফ্রেশ দিন শুরু করার প্রয়োজন। তার জন্য শৃঙ্খলার প্রয়োজন। এই শৃঙ্খলা জীবনের প্রতিটি ধাপে মেনে চলতে পারলেই একমাত্র আপনি অন্যান্য ক্ষেত্রেও সফল হবেন। শৃঙ্খলার জন্য প্রতিদিন সকালে উঠেই মেডিটেশন করুন। এতে আপনার মন সংযোগ (separate your work and personal life)হবে। জীবনের অন্য ক্ষেত্রেও আপনি সেটা মেনে চলতে পারবেন।
পরিবারের কোনও কথা অফিসে আলোচনা করবেন না
আপনার পরিবারে অনেক সমস্য়া থাকতেই পারে। সবার পরিবারেই কম বেশি সমস্যা থাকে। কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে বা কাছের বন্ধুর সঙ্গে আপনার সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু সেই সব কথা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত। সেই কথাগুলো কখনওই অফিসে আলোচনার জন্য নয় (separate your work and personal life)। কারণ, আপনার সহকর্মীরা আপনার বন্ধু নয়। তাঁরাও হয়তো কেউ আপনার ব্য়ক্তিগত জীবন শুনতে আগ্রহী নন। আপনিও সেই বিষয়টি বুঝুন।
কোনও ব্যক্তিগত সমস্যার প্রভাব অফিসে পড়বে না
পরিবারের কোনও অশান্তি মনে নিয়ে অফিস নয়
অফিসে আসার আগে হয়তো বাড়িতে কোনও অশান্তি হয়েছে। হতেই পারে। কিন্তু সেইটি ঘটেছে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে। আপনার কাজের জীবনে যেন কোনওভাবেই তার প্রভাব না পড়ে। আপনি মানসিক স্বস্তিতে নেই বলে আপনার কাজে যেন কোনও প্রভাব না পড়ে। তাহলে কাজে ভুল হতে পারে। আপনার ব্যক্তিগত অশান্তির প্রভাব কেন আপনার কাজে পড়বে? বাড়ি থেকে বেরিয়ে অফিসে আসার সময় গান শুনুন। অশান্তির কথা দূরে সরিয়ে রাখুন। শান্ত মন নিয়ে কাজ শুরু করুন।
অফিসের কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে ভুলবেন না
আপনার কর্মজীবন তার জায়গায় থাকবে। কিন্তু আপনার পারিবারিক জীবনও আপনার কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা দুই জীবনকেই সমান গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু তা হয়ে ওঠে না। তাই বলে কাজে এতটাই মগ্ন থাকলাম যে পরিবারের খোঁজ নিলাম না। সেটি করবেন না (separate your work and personal life)। আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন। অফিসের কাজের পাশাপাশি পরিবারেও ঠিক ঠাক সময় দিন।
অফিসের খারাপ অভিজ্ঞতার প্রভাব পারিবারিক জীবনে নয়
অফিসে প্রতিদিন একরকম অভিজ্ঞতা হয় না। কোনওদিন খারাপও যেতে পারে। তার জন্য আমাদের মুড নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু অফিসের খারাপ অভিজ্ঞতার প্রভাব যেন কোনওভাবেই বাড়িতে না পড়ে। সেটি খেয়াল রাখবেন। আপনার পরিবারের সদস্যরা আপনার খারাপ ব্যবহারের ভাগীদার যেন না হন। এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন। কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবন আলাদা (separate your work and personal life) রাখুন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!