রূপচর্চা ও বিউটি টিপস

চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল? এই ঘরোয়া টোটকাগুলোয় বন্ধ হবে হেয়ার ফল (Hair fall)

Upasana Sarkar  |  Mar 29, 2019
চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহাল? এই ঘরোয়া টোটকাগুলোয় বন্ধ হবে হেয়ার ফল (Hair fall)

রোজ স্নানের সময় ঝরে পড়া চুল (Hair) দেখে নিশ্চয়ই ভাবেন যে, এ বার টাক পড়ল বলে! আর কেউ বাঁচাতে পারবে না। নিশ্চয়ই দুঃস্বপ্নে ভেসে ওঠে চুল ঝরে পড়ে যআওয়া নিজের ছবিটা। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে শিউরে ওঠেন। আর ভাবেন, কী আর করবেন! প্রচুর ট্রিটমেন্টস আর পার্লারে গিয়েও লাভ হয় না। এ বার Hair fall কম করার জন্য পার্লারে গিয়ে গাদা গাদা টাকা খরচ না করে বাড়িতে বসেই চুলের যত্ন শুরু করে দিন। চুলের (Hair) জন্য শুধু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করলেই চলে না! চুল ঝরে যাওয়া (Hair fall) কমানোর জন্য ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া করতে হবে আর মেডিটেশন়-এক্সারসাইজও করতে হবে। হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। চুল ঝরার (Hair fall) সঙ্গে এ সবেরও সম্পর্ক আছে। তাই জেনে নিন, হেয়ার ফল (Hair fall) কমানোর জন্য কী কী করা যেতে পারে।

হেয়ার ফলের কারণ 

পুষ্টিজনিত কারণ 

হয়তো আপনার ডায়েটে (Diet) আয়রন, কপার, জিঙ্ক ও প্রোটিনের মতো প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টস থাকছে না। তার জন্য কিন্তু চুল (Hair) ঝরতে পারে। আবার হেয়ার ফলের আর একটা বড় কারণ হল ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি। এই সমস্যা এড়াতে চাইলে বাইরে বেরোন আর রোদে দাঁড়ান কিছু ক্ষণ।

হরমোনাল ইমব্যালান্স 

তিরিশের পর থেকে মহিলারা নানা রকম হরমোনাল ইমব্যালান্সের সমস্যায় জর্জরিত হতে থাকেন। এটাও কিন্তু হেয়ার ফলের একটা অন্যতম কারণ।

পিসিওএস 

যে সব মহিলার পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (পিসিওএস) রয়েছে, তাঁদের হরমোনাল ইমব্যালান্স হয়। যা স্বাভাবিকের তুলনায় অ্যান্ড্রোজেনের লেভেল বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে মুখে আর শরীরে লোম দেখা যায়। তবে মাথার চুুল (Hair) পাতলা হয়ে যেতে থাকে।  

থাইরয়েড 

হেয়ার ফলের (Hair fall) একটা বড় কারণ থাইরয়েড। চুলের বৃদ্ধির (Growth of hair) হারও হ্রাস পায়। যদি আপনার থাইরয়েডের সমস্যা থাকে, তা হলে অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে সঙ্গে হেয়ার ফলের ব্যাপারটাও লক্ষ করবেন।

স্ট্রেস 

অত্যধিক স্ট্রেস যেমন আপনার শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর, ঠিক তেমনই স্ট্রেস থেকেও আপনার হেয়ার ফল হতে পারে। তাই নানা রকম এক্সারসাইজ, মেডিটেশন, যোগব্যায়াম ও মাসাজ করে স্ট্রেস কমিয়ে ফেলতে হবে।

বার্থ কন্ট্রোল পিলস

আপনি কি বার্থ কন্ট্রোল পিল ব্যবহার করেন। তা হলে কিন্তু সাবধান! কারণ এটাও হেয়ার ফলের একটা বড় কারণ। এই পিলে থাকা হরমোন আপনার চুল (Hair) পাতলা করে দেয়। আর যদি আপনার হেয়ার ফলের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তা হলে তো কথাই নেই! শুধু বার্থ কন্ট্রোল পিলই নয়, আরও অনেক ওষুধ আছে, যেগুলো খেলে হেয়ার ফল (Hair fall) হতে পারে।

হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্টস 

আপনি হয়তো নানা রকম প্রোডাক্ট ব্যবহার করে চুলে স্টাইলিং করছেন। তাতে কিন্তু চুলের (Hair) মারাত্মক ক্ষতি হয়। কারণ ওই সব প্রোডাক্টসে রয়েছে ক্ষতিকর কেমিক্যালস। যা আপনার চুলকে নষ্ট করে দেয়। আর অকালেই চুল ঝরে যায়। এমনকি কিছু শ্যাম্পুও রয়েছে, যার মধ্যে ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে। তাই ন্যাচারাল কোনও শ্যাম্পু অথবা ডাই ব্যবহার করুন।

হেয়ার ফল কন্ট্রোলের জন্য কী কী করণীয় 

শ্যাম্পু

সবার আগে যেটা ইম্পর্ট্যান্ট, আপনাকে নিজের স্ক্যাল্পের ধরনটা বুঝতে পারবে। তাই সেটা বুঝে নিয়ে একটা ভাল শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে। তাই ভাল করে শ্যাম্পু দিয়ে নিজের স্ক্যাল্প (Scalp) পরিষ্কার করে নিতে হবে। তবে যাঁদের শুষ্ক ত্বক, তাঁরা শ্যাম্পু বেশি ব্যবহার করবেন না। তাতে কিন্তু হেয়ার ফলের (Hair fall) সমস্যা বাড়ে। শ্যাম্পু দেখে কিনবেন, যেন তাতে সালফেট, প্যারাবেন ও সিলিকনের মতো কেমিক্যালস না থাকে। এই সব রাসায়নিকের জন্য চুল নষ্ট হয়ে যায়।

কন্ডিশনার 

ভাল কন্ডিশনার আপনার চুলের লকস ধরে রাখবে। কারণ এর মধ্যে অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে রিপেয়ার করতে সাহায্য করে। আর চুল সিল্কি-স্মুদ রাখে।

অয়েল মাসাজ

তেল তো চুলের জন্য দারুণ। তাই অয়েল মাসাজ চুলের রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক রাখে। আর চুলের গোড়া মজবুত করে। তাই স্ক্যাল্পে স্যুট করে এমন কোনও তেল দিয়ে সপ্তাহে অন্তত এক বার নিয়ম করে চুলে অয়েল মাসাজ শুরু করে দিন। তার পর একটা শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ঘণ্টা দু’য়েক পরে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল (Hair) ধুয়ে ফেলুন।

ডায়েট ও শরীরচর্চা

খাবার যেমন আপনাকে পুষ্টি জোগায়, তেমনই চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও কিন্তু প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টস দরকার। তাই ব্যালান্সড ডায়েটে (Diet) থাকার সঙ্গে সঙ্গে যোগাসন, মেডিটেশনেরও প্রয়োজন। যা অনায়াসে হেয়ার ফল (Hair fall) কমাবে।

কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টস

চুলে কি হামেশাই নানা রকম কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করান? এই যেমন ধরুন, স্ট্রেটনিং, পার্মিং, কালারিং। তা হলে কিন্তু সাবধান। কারণ এ সবে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এ ছাড়াও চুলে ব্লো-ড্রায়ার, কার্লিং-রডও চুলে ব্যবহার করলে (বিশেষ করে ভিজে চুলে) চুলের ক্ষতি হয়। চুল ভঙ্গুর হয়ে চুল ঝরতে থাকে। যদি ব্লো-ড্রাই একান্তই ব্যবহার করতে হয়, তা হলে হিট সেটিং একেবারে লো রাখতে হবে।

হেয়ার ফল কমানোর ঘরোয়া উপায় 

নারকেল দুধ 

নারকেল তেল তো চুলের জন্য দারুণ, এটা আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। আর নারকেলের দুধও কিন্তু চুলের জন্য খুব ভাল। কারণ এর মধ্যে যে প্রোটিন রয়েছে, তা চুলের বৃদ্ধির (Growth of hair) হার বাড়ায় আর চুলের ঝরে (Hair fall) যাওয়া রুখে দেয়। একটা প্যানে নারকেল কুচি কুচি করে নিন। এ বার পাঁচ মিনিট ধরে সেটা অল্প আঁচে ফুটিয়ে নিন। এ বার ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। এর পর তার মধ্যে ব্ল্যাক পেপার আর মেথি মিশিয়ে নিন। এ বার স্ক্যাল্প (Scalp) আর চুলে (Hair) ওই পেস্ট লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। ২০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালো ভেরা 

হেয়ার ফলের (Hair fall) খুব ভাল ঘরোয়া ওষুধ হল অ্যালো ভেরা। স্ক্যাল্পের চুলকানি, জ্বালা কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। অ্যালো ভেরার জেলিটা বার করে নিন। এ বার সেটা চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগান। ৪৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এটা করলে সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই মিলবে।

নিম 

তাজা নিম পাতা জলে ফুটিয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে রস করে নিন। তার পর ঠান্ডা করে তা দিয়ে চুল আর মাথার স্ক্যাল্প ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার এটা করলে চুল পড়া (Hair fall) অনেক বন্ধ হবে।

আমলা 

চুলের বৃদ্ধির (Growth of hair) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আমলা। আমলা পাউডারের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এ বার সেটা চুলে (Hair) লাগিয়ে রাখুন। একটা শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন, যাতে মাস্কটা মাথায় শুকিয়ে না যায়। ঘণ্টাখানেক পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ডিম 

ডিমে সালফার, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, আয়োডিন, জিঙ্ক আর প্রোটিন ভরপুর। যা একসঙ্গে মিলে চুলের বৃদ্ধির (Growth of hair) হার বাড়িয়ে দেয়। হেয়ার ফল (Hair fall) ঠেকাতে ডিমের মাস্ক বানাতে- একটা কাচের বাটিতে ডিমের সাদা অংশ, এক চা-চামচ অলিভ অয়েল আর এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ভাল করে ফেটিয়ে নিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা ভাল করে মাসাজ করে নিন। ২০ মিনিট পরে একটা মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুলটা (Hair) ধুয়ে ফেলুন।

মেথি 

মেথি তো চুল-স্কিন উভয়ের জন্যই ভাল। বিশেষ করে চুল মজবুত করতে আর সিল্কি-স্মুদ করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এক কাজ করতে পারেন, মেথি ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরের দিন ব্লেন্ডারে পেস্ট বানিয়ে নিয়ে চুলে লাগিয়ে ফেলুন। এ বার শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্যবহার করলে ভাল ফল মিলবে।

পিঁয়াজের রস 

পিঁয়াজের মধ্যে যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, তা স্ক্যাল্পের (Scalp) ইনফেকশন কমাতে খুবই কার্যকর। আর পিঁয়াজের রস চুলের বৃদ্ধিতে (Growth of hair) সাহায্য করে। এই মাস্ক বানাতে পিঁয়াজের রস বার করে নিন। তার পর ওই রসের মধ্যে তুলো ভিজিয়ে নিন। স্ক্যাল্পে (Scalp) লাগাতে থাকুন। তার পর ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুলটা (Hair) ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক বার এটা ব্যবহার করুন। দেখবেন, চুলের (Hair) সমস্যা দূর হয়ে গিয়েছে।

আলুর রস 

আলু ভালো করে পিষে রস বের করে নিন। এ বার তাতে ডিমের কুসুম , ১ চামচ মধু ও অল্প জল মিশিয়ে নিন। প্যাক রেডি। চুলে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পর ভাল করে মাথা ধুয়ে নিন শ্যাম্পু দিয়ে। সপ্তাহে এক দিন করে করুন। দেখবেন, চুল পড়া (Hair fall) কমে গিয়েছে।

যষ্টিমধুর শিকড় 

এই হার্ব চুলের যত্নে তো দারুণ। বিশেষ করে হেয়ার ফল (Hair fall) কমাতে আর চুলের ড্যামেজ রিপেয়ারের জন্য এটা অত্যন্ত কার্যকর। শুধু তা-ই নয়, স্ক্যাল্পের (Scalp) সমস্যাতেও এটা দারুণ। গুঁড়ো করা যষ্টিমধুর শিকড়, এক কাপ দুধ আর অল্প একটু কেসর মিশিয়ে একটা মিহি পেস্ট বানিয়ে নিন। এটা স্ক্যাল্পে লাগিয়ে চুলে লাগিয়ে নিন। সারা রাত এ ভাবেই রেখে দিন। পরের দিন সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার এই পদ্ধতি ফলো করুন।

গ্রিন টি 

গ্রিন টি হল অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসে ভরপুর। যা চুলের বৃদ্ধির (Growth of hair) হার বাড়িয়ে চুল পড়া কমায়। চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী গ্রিন টি বানিয়ে ফেলুন। এটা ঠান্ডা করে নিয়ে মাথায় ঢেলে নিন। এ বার হালকা হাতে চুলে মাসাজ করতে থাকুন। এক ঘণ্টা পরে ঠান্ডা জল দিয়ে চুলটা (Hair) ধুয়ে ফেলুন।

বিটরুটের রস 

বিটরুটে রয়েছে ভিটামিন সি, বি৬, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো উপাদান। এগুলো প্রতিটাই আপনার চুলের বৃদ্ধির জন্য দারুণ। পাশাপাশি এটা ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে। ৬-৭টা বিটরুট পাতা বয়েল করে নিন। এ বার ৫-৬টা হেনা পাতা নিয়ে বয়েল করা বিটরুট পাতা ভাল করে ব্লেন্ড করে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্ট চুলে লাগিয়ে মাসাজ করুন। ১৫-২০ মিনিট পরে ইষদুষ্ণ গরম জলে চুল ধুয়ে নিন।

চুলের গোড়া মজবুত করতে কী কী খাবেন 

ডিম 

আমাদের চুল তৈরি হয় ৬৮ শতাংশ কেরাটিন প্রোটিন দিয়ে। ডিম ক্ষতিগ্রস্ত চুলের পুনর্গঠনে সাহায্য করে। আর এর মধ্যে রয়েছে বায়োটিনও। যা চুলের বৃদ্ধিতে (Growth of hair) অত্যন্ত কার্যকর।

পালংশাক 

আয়রনের ঘাটতি হলেই চুল ঝরতে (Hair fall) শুরু করবে। পালং শাক শুধু প্রোটিন আর আয়রনের না, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি-রও দারুণ উৎস। এর মধ্যে থাকা উপাদান ভাল কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। যার ফলে স্ক্যাল্প হয় হেলদি আর চুল হয় সিল্কি-শাইনি ও ঘন।

চিকেন 

চিকেন খেতে ভালবাসেন? তা হলে তো দারুণ। জানেন কি, চুলের সমস্যায় চিকেন দারুণ। কারণ চিকেনের মধ্যে রয়েছে হাই-কোয়ালিটি প্রোটিন যা চুলের ভেঙে যাওয়া রোধ করে। আর চুল সুন্দর করে।

দই 

দইয়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি৫ আর ভিটামিন ডি। এই ভিটামিনগুলো হেয়ার ফলিকল হেলথের জন্য দারুণ।

প্রয়োজনীয় কিছু টিপস 

রেগুলার ট্রিমিং 

চুলের যে অংশ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেটা হল চুলের শেষ ভাগ। তাই কয়েক সপ্তাহ অন্তর নিয়ম করে চুল ট্রিম করাতে হবে। তাতে চুল বাড়বে আর স্প্লিট এন্ডসের সমস্যাও থাকবে না।

ভেজা চুল আঁচড়াবেন না 

ভুলেও ভিজে চুল আঁচড়াবেন না। কারণ ভিজে অবস্থায় চুল (Hair) সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই যে কোনও রকম স্টাইলিংয়ের আগে চুল ভাল করে শুকিয়ে নিন। তার পর মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করে চুল আঁচড়াতে হবে।

হট শাওয়ার নয়

গরম জলে স্নান করলে আরাম হয়। কারণ গরম জলে স্নান করলে স্কিনের মতো চুলকেও ডিহাইড্রেটেড করে দেয়। আর চুলের ন্যাচারাল অয়েলস নষ্ট হয়ে যায়, চুল ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই ইষদুষ্ণ গরম জলে স্নান করলে ঠান্ডা জলে চুল ধোয়ার চেষ্টা করবেন।

টাইট করে চুল বাঁধা নয় 

টাইট করে চুল বাঁধার অভ্যেস থাকলে কিন্তু তা এখনই বন্ধ করতে হবে। কারণ টাইট করে চুল বাঁধলে চুলের গোড়ায় সব থেকে বেশি চাপ পড়ে। তাই এই অভ্যেস বন্ধ করুন। আর ঘুমোনোর সময়ও টাইট করে চুল বাঁধবেন না।

ছবি সৌজন্যে: পিক্সঅ্যাবে, পেক্সেলস

আরও পড়ুন – 

Hair Fall Control in Hindi

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!

Read More From রূপচর্চা ও বিউটি টিপস