সারা বিশ্ব এই মুহূর্তে করোনা আতঙ্কে (coronavirus) গৃহবন্দি। যারা অত্যাবশ্যক পরিষেবা যেমন পুলিশ, সেনাবাহিনী, চিকিৎসা ব্যবস্থা, দমকল ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা বাদে বাকি সবাই মোটামুটি বাড়ি থেকেই কাজ করছেন। প্রায় এক মাস হতে চলল আমরা গৃহবন্দি দশা কাটাচ্ছি। সত্যিই খুবই অসুবিধে হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র যে মানুষের অসুবিধে হচ্ছে লকডাউনের (lockdown) জন্য, তা কিন্তু নয়; অসুবিধে হচ্ছে আমাদের পোষ্যদেরও (pet)। তারাও কিন্তু গৃহবন্দি। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে যত্ন নেবেন আপনার প্রাণের থেকেও প্রিয় পোষ্যের, জেনে নিন।
লকডাউনে পোষ্যের যত্ন নেবেন কীভাবে
১। আমাদের অনেকের বাড়িতেই পোষ্য হিসেবে মূলত কুকুর, বিড়াল, খরগোশ ও পাখিই থাকে। পাখি বা খরগোশ যদি আপনার পোষ্য হয় সেক্ষেত্রে একটা সুবিধে যে তাকে বাইরে নিয়ে যেতে হয় না। বিড়ালও অনেক সময় একাই বাইরে চলে যায় আবার ফিরেও আসতে পারে। তবে সমস্যা হয় কুকুরকে নিয়ে। অনেকেরই বাড়িতে জায়গা কম হওয়ায় কুকুরের জন্য আলাদা বাথরুম থাকে না। ফলে হিসু-পটি করতে কুকুরকে বাইরে নিয়ে যান অনেকে। কিন্তু লকডাউনের জেরে আপনি যদি এখন কুকুর নিয়ে বাইরে বেরন, আপনার সঙ্গে সঙ্গে পোষ্যের কপালেও জুটতে পারে দু’ঘা! কাজেই এই সময়ে কুকুরকে বাথরুমে গিয়ে কাজকর্ম সারার ট্রেনিংটা দিয়ে ফেলুন। সময় লাগবে এবং আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে, তবে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার পোষ্যটির বাথরুমে যাওয়া অভ্যেস হয়ে যাবে।
২। কুকুরের মধ্যে অনেক ব্রিড রয়েছে যাদের মোটা হয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায়। ফলে রোজ সকাল-বিকেল তাদের হাঁটানো বা দৌড় করানোর অভ্যাস করানো হয়। তবে এখন যখন আপনি নিজেই গৃহবন্দি তখন পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে বেরনো দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই না। তবে লকডাউনের একটা ভাল দিকও দেখুন, আপনি বাড়িতে থেকে পোষ্যের সঙ্গে বেশ অনেকটা সময় কাটাতে পারছেন। পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে যেতে না পারলেও বাড়িতেই তার সঙ্গে খেলুন। দৌড়-ঝাঁপ করান এবং নিজেও করুন।
একসঙ্গে যদি দুটি পোষ্য থাকে তাহলে সুবিধে (ছবি – ইনস্টাগ্রাম)
৩। আপনি যদি আগে থেকেই পোষ্যের খাবার যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ না করে থাকেন, সেক্ষেত্রে সপ্তাহে যে-কোনও একটা দিন বেরিয়ে মোটামুটি এক মাসের খাবার নিয়ে চলে আসুন। যদি আপনার পোষ্য বাড়িতে তৈরি খাবার খায় সেক্ষেত্রে অবশ্য আপনি মাছ/মাংস বা সব্জি একসঙ্গে অনেকটা জমিয়ে রাখতে পারবেন না। এক কাজ করুন, পোষ্যকে দই-ভাত খাওয়ানো অভ্যেস করান। মাঝে মাঝে নিজেদের জন্য যখন সব্জি বা মাছ/মাংস কিনছেন, তখনই একটু বেশি করে কুকুর বা বিড়ালের জন্য খাবার কিনে রাখুন। একবারে বেশি করে রান্না করে আলাদা আলাদা বাটিতে খাবার রেখে ফ্রিজে স্টোর করে রাখুন।
৪। আপনার পোষ্য যদি নিয়মিত কোনও ওষুধ খায়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার বাড়িতে ওষুধ রয়েছে। কিন্তু কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতি হলে কী করবেন? আপনার পোষ্যের জন্য নিশ্চয়ই কোনও ডাক্তার রয়েছেন যিনি ওকে নিয়মিত পরীক্ষা করেন! সরাসরি তাকে ফোন করে জানতে চান কী ওষুধ দেবেন। যে দোকান থেকে আপনি পোষ্যের খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য জিনিস আনেন তাকে অনুরোধ করুন যদি বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দিতে পারেন। এগুলোর কোনওটাই যদি সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে মানুষের কোনও ওষুধও খাওয়াতে পারেন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!