আপনি কি বই পোকা? তা হলে তো আপনাকে স্যালুট জানাতে হয়। কারণ, ইদানীংকালে আমাদের সিংহভাগেরই তো বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব চুকেছে! সবাই এখন টেক স্যাভি। ইউটিউবে ডকুমেন্টারি, আর নেটফ্লিক্স-হটস্টারে সিনেমা দেখি, খুব বেশি হলে কিন্ডলে বই ডাউনলোড করে পড়ি আমরা। এভাবেই টেকনোলজির হাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে আমাদের সময় কেটে যায়। বই পড়ার সময় কই মিলেনিয়ালদের? আজ তাই বইপ্রেমীরা সংখ্যালঘু। যদিও তাতে কোনও ক্ষতি নেই! আপনি যদি বই পড়তে ভালবাসেন, পড়ুন না। সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠদের দলে নাম না লেখালে যে জাত যাবে, এমন তো নয়। বরং উল্টোটাই। কিন্ত হঠাৎ করে বই পড়া নিয়ে এত জ্ঞানের কথা হচ্ছে কেন? আসলে কী জানেন, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বইপ্রিয় মানুষেরা তাঁদের প্রিয় বইগুলিকে কীভাবে যত্নে রাখতে হয়, তা জানেন না। ফলে কয়েকবছর যেতে না-যেতেই হয় পোকার চক্করে, নয়তো অন্য কোনও কারণে বইগুলি নষ্ট হতে শুরু করে। আর যদি বাড়িতে (books) উইপোকা থাকে, তা হলে তো শিরে সংক্রান্তি। এই কারণেই তো এমন কিছু টিপসের সন্ধান দিতে চলেছি, যা অক্ষরে-অক্ষরে মেনে চললে দেখবেন বইয়ে আর পোকা লাগবে না।
১. বুক শেলফে বই রাখার কিছু নিয়ম রয়েছে
ঠিক-ঠিক নিয়ম মেন বুক শেলফে বই না রাখলে অল্প দিনেই বইয়ের বাঁধন আলগা হতে শুরু করে। এমনকী, বইয়ের পাতা ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো এই সম্পর্কে একটু জেনে বুঝে নেওয়াটা জরুরি। এক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মানতে হবে? এক মাপের বই সব সময় একসঙ্গে রাখা উচিত। বড় বইয়ের মাঝে ভুলেও ছোট সাইজের বই রাখবেন না। মোটা-মোটা বইগুলি দাঁড় করিয়ে নয়, বরং শুইয়ে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ, তাতে বইয়ের বাইন্ডিং নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আর থাকবে না। ইচ্ছে হলে প্রতিটি বইয়ে প্লাস্টিক কভার লাগাতে পারেন। তাতে ধুলো পড়ে অথবা পোকামাকড়ের অত্যাচারের কারণে বইয়ের পাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আর থাকবে না।
২. স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বই রাখবেন না
সোজা হিসেব! কারণ, এমন জায়গায় বই রাখলে বইয়ের হাল বেহাল হতে সময় লাগে না। বিশেষ করে বইয়ের পাতায় হলুদ ছোপ পড়ে। সঙ্গে লেজুড় হয় দুর্গন্ধও। ফলে পোকামাকড়ের ভিড় বাড়তে থাকে। আর এমনটা হলে বইয়ের যে কী দশা হবে, তা নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবে না। তাছাড়া স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে বই রাখলে অল্প দিনেই বইয়ের বাইন্ডিংও আলগা হতে শুরু করে। ফলে পাতাগুলি খুলে গিয়ে যা-তা অবস্থা হয়।
৩. সপ্তাহে বারতিনেক ডাস্টিং মাস্ট
কিলো-কিলো বই কিনুন না, কোনও ক্ষতি নেই! কিন্তু বইয়ের যত্নও তো নিতে হবে। আর তার জন্য সপ্তাহে বারতিনেক বইয়ের তাক ডাস্টিং করা মাস্ট! কারণ, বইরের খাঁজে-খাঁজে ধুলো জমলে সেখানে পোকামাকড়ের সংখ্যা বাড়বে। ফলে বইয়ের আয়ুও কমবে! এই কারণেই নিয়ম করে ডাস্টিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে পাতলা সুতির কাপড় ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু ভুলেও ভেজা কাপড় দিয়ে বই মুছবেন না যেন! তাতে বই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্ষার সময় পরিবেশে আর্দ্রতা বেড়ে যায়, যা বইয়ের জন্য ক্ষতিকারক। তাই এই সময় মাঝে-মধ্যে বইয়ে একটু রোদ লাগানো উচিত।
৪. এঁটো হাতে বই ধরবেন না
খেতে-খেতে বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে নাকি? তা হলে যে একটু সাবধান হতে হবে। না হলে যে বিপদ! কারণ, বইয়ের পাতায় খাবার লেগে গেলে সেখানে পোকামাকড় আর পিঁপড়ের উপদ্রব বাড়বে। ফলে বইয়ের পাতাগুলো নষ্ট হয়ে যাবে যে! তাই এঁটো হাতে নয়, সব সময় পরিষ্কার হাতে বই পড়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে
১. সব সময় বুকমার্ক ব্যবহার করুন। বইয়ের পাতা মুড়িয়ে রাখা বা পাতার মাঝে পেন রেখে দেওয়ার অভ্যাস মোটেই ভাল কাজ নয়। তাতে পাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনই স্পাইন দুর্বল হয়ে গিয়ে পাতা আলগা হয়ে যেতে পারে।
২. বইয়ের ছেঁড়া পাতা আঠা দিয়ে লাগাবেন না। কারণ, আঠার গন্ধে বইয়ের খাঁজে-খাঁজে পোকামাকড়ের ভিড় বাড়ে, যে কারণে বই নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩. বইয়ের র্যাকে ছোট বাটিতে কফি গুঁড়ো অথবা নিম পাতা রেখে দিতে পারেন। তাতে পোকামাকড়ের উপদ্রব কমবে। বইয়ের খাঁজে-খাঁজে কর্পূরও রাখতে পারেন, তাতেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
৪. বাড়িতে উইপোকা থাকলে পেস্ট কন্ট্রোলের ব্যবস্থা করুন। দেরি করলেই কিন্তু সব বই নষ্ট হয়ে যাবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…
Read More From লাইফস্টাইল
এই ৬টি ঠোঁটের অধিকারিণীরা এইসব গুণের মানুষ হন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA