মরশুম বদলে অনেকেরই হাঁচিকাশি শুরু হয়ে। যতই সাবধানে থাকি না কেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই এই সমস্যা শুরু হয়ে যায়। হাঁচি ও কাশির সঙ্গে নাক বন্ধ তো দোসরের মতো আমার কাছে চলে আসে। আর আমায় ছেড়ে যেতে চায় না। আপনারও হয়তো একইরকম সমস্যা? আপনারও কি ঠান্ডা লাগার ধাত আছে ? তবে কিছু পরিবর্তন আমাদের জীবনশৈলীতে আনলে হয়তো এই সমস্যাটা আর থাকে না।
খুবই সামান্য পরিবর্তনের কথা বলছি। যেমন ধরুন, খাবারের অভ্যাস বা আপনার ফুড হ্যাবিট। বাঙালি বাড়িতে অনেক সময়েই ব্রেকফাস্টে লুচি, আলুর তরকারি এসব হয়ে থাকে। কিন্তু এসবের মধ্যেও আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যকর খাবার খুঁজে নিতে হবে। যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে (immunity boosting breakfast)। আর আপনিও হাঁচি, কাশি অযথা শরীর খারাপ ইত্যাদিকে রুখে দিতে পারবেন। ঠান্ডা লাগার ধাত আস্তে আস্তে চলে যাবে।
রোগপ্রতিরোধের চাবিকাঠি আছে ব্রেকফাস্টেই(immunity boosting breakfast)
- খালি পেটে খান পাতিলেবু
- ব্রেকফাস্টে ফল থাকবেই
- আদা চা বেশ উপকারী
- হলুদ খাওয়ার চেষ্টা করুন
- প্রোটিন জাতীয় খাবার বাদ দেবেন না
সকালে খান পাতি লেবু
সকালে উঠেই খালি পেটে যদি পাতি লেবু খেতে পারেন, খুবই ভাল হয়। এক গ্লাস গরম জলে পাতি লেবুর রস চিপে নিয়ে সেই জল খেয়ে নিন। নিয়মিত খেতে পারলে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঅনেক বাড়বে। কারণ পাতিলেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে (immunity boosting breakfast) । এই কথা অবশ্য়ই মাথায় রাখবেন। এই অভ্যাস যাঁদের থাকে, তাঁদের চট করে ঠান্ডা লেগে যায় না। তবে যাঁদের অ্যাসিডিটি বা হজমের অন্যান্য সমস্যা রয়েছে, তাঁদের অনেক সময়ই চিকিৎসকরা খালি পেটে পাতিলেবু না খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাই আপনারও সেরকম কোনও সমস্যা থাকলে আপনি আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ব্রেকফাস্টে ফল
আপনি যে ধরনের খাবার খেয়েই অভ্যস্ত থাকুন না কেন, একটা ফল অন্তত খান। আর যাঁরা ফ্রুট স্যালাড খেয়ে অভ্যস্ত, তাঁদের বিষয়টি আলাদা। তবে ফলের রস খাওয়ার থেকেও ফল আপনি চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফল চিবিয়ে খেলে ফাইবার আসবে শরীরে। ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immunity boosting breakfast)বাড়িয়ে তোলে। ফলে হাঁচি, কাশির সমস্যা অনেকটা কমে যায়। চট করে ঠান্ডা লেগে যায় না। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে, তাঁরা অবশ্যই এটা মেনে চলুন।
চা খেলে খান আদা চা
আদায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্য়ান্টস ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি থাকে। তাই এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। অন্যান্য গুণও আদার আছে। হজমে সাহায্য করে আদা। গলা ব্যথাতেও একইভাবে উপকারী। তাই আপনি আপনার সকালের চায়ে আদা দিয়ে ফুটিয়ে নিতে পারেন (immunity boosting breakfast)। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যেমন এই চা ভাল। একইভাবে আপনার চায়ে একটি ফ্লেভারও যোগ করে আদা।
হলুদ দুধ
হলুদের গুণের জন্য দীর্ঘসময় ধরেই নানা কাজে ও সমস্যা সমাধানে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই আপনি আপনার সকালের পানীয়তে সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার ইমিউনিটি বাড়বে। হাঁচি, কাশির সমস্যা অনেকটাই ঠিক হয়ে যাবে।
প্রোটিন
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রোটিন সব সময় (immunity boosting breakfast)ভাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। তাই ব্রেকফাস্টে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে আপনার ওজন কমে। একইসঙ্গে শরীরের পেশীগুলি মজবুত হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়!ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন
#POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন
নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!