কথায় বলে, লাখ কথা না হলে নাকি বিয়ে (wedding) হয় না। কথাটা কিন্তু খুব একটা ভুল নয়। বিয়ে মানেই হাজার একটা অনুষ্ঠান আর নিয়ম। তার উপর আবার এক-এক পরিবারে কিছু বিশেষ রীতিও থাকে। কোনও পরিবারে বর-কনের বিদায়পর্ব হয় বিকেলে আবার কোথাও বা সকালেই বিদায় দেওয়ার রীতি। কোনও পরিবারে সিঁদুর দান করা হয় কুনকে দিয়ে আবার কোনও পরিবারে আংটি দিয়ে সিঁদুর দান পর্বের রীতি রয়েছে। আসলে এক এক জনের এক এক রকমের মত। তবে বিয়ের কিছু কিছু অনুষ্ঠান বা নিয়ম কিন্তু মোটামুটি সব পরিবারেই এক রকম। আর এর মধ্যে একটি রীতি হল কনকাঞ্জলি (kanakanjali)।
কনকাঞ্জলি কী?
বিয়ের (wedding) পর বাপের বাড়ি থেকে যখন কনে শ্বশুরবাড়িতে যান, তখন বাড়ির বড়দের মধ্যে কেউ একজন খানিকটা চান কনের হাতে দেন এবং কনেকে সেই চালটি দরজার দিকে পিছন করে ফেলতে হয় তাঁর মায়ের আঁচলে। শুধু এটুকুতেই শেষ নয়। চাল ফেলার সঙ্গে বলতে হয় যে তিনি এতদিন মা-বাবার কাছে থেকেছেন, তাঁরা তাকে বড় করেছেন, পড়াশোনা শিখিয়েছেন, খাইয়েছেন এবং অন্যান্য যাবতীয় খরচ দিয়েছেন। এই চাল ফেলে কনে তাঁর মা-বাবার সমস্ত ঋণ শোধ করে দিলেন। এভাবে তিন বার মায়ের আঁচলে পিছন ফিরে চাল ফেলে কনে রওনা হন শ্বশুরবাড়িতে তাঁর নতুন সংসার গড়তে। এই প্রথাকেই বলা হয় কনকাঞ্জলি (kanakanjali)।
কেন এই প্রথা?
হিন্দু ধর্মে কন্যা সন্তানকে ‘মা লক্ষ্মী’-র আর এক রূপ বলা হয়, সে কারণেই হয়তো যখন কন্যা সন্তান জন্মায় অথবা একজন মেয়ে নতুন সংসারে যায় তখন বলা হয় যে বাড়িতে মা লক্ষ্মীর আগমন ঘটেছে। তাঁর উপস্থিতিতে সংসারে সুখ, সমৃদ্ধি, ধন-সম্পদের প্রাচুর্য হয় বলেই মনে করা হয়। বিয়ের পর যখন কনের বিদায়পর্ব চলে এবং মেয়ে তাঁর মা-কে কনকাঞ্জলি দেন, তখন চাল ছুড়ে দেওয়ার প্রথার পিছনে রয়েছে একটি খুব সুন্দর কারণ। মা লক্ষ্মীর হাতে থাকে ধানের ছড়া এবং ধান বা চাল হল সমৃদ্ধির প্রতীক। বাপের বাড়ি থেকে বিদায় নিলেও চাল ছুড়ে কনকাঞ্জলি (kanakanjali) দিয়ে কনে এটাই বোঝাতে চান যে তিনি নতুন সংসারে গেলেও তাঁর বাপের বাড়ির সকলের সুখ-সমৃদ্ধির কোনও অভাব হবে না। এছাড়া আরও একটি কারণ রয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন। চাল পিছন দিকে ছুড়ে কনে তাঁর নতুন সংসারে প্রবেশের আগে সমস্ত কু-দৃষ্টি কাটিয়ে ফেলেন।
কিন্তু চালই কেন?
বঙ্গদেশে বেশিরভাগ মানুষেরই প্রধান খাদ্য হল ভাত। সংসারে খাবারের অভাব যাতে না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার জন্যই সবাই মা লক্ষ্মীর আরাধনাও করেন। চাল মা লক্ষ্মীর প্রতীক এবং যে-কোনও শুভ অনুষ্ঠানে চালের ব্যবহার হয়ে থাকে বাঙালি পরিবারে। অবাঙালিদের মধ্যেও চাল সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবেই গন্য হয়। বিয়ের (wedding) অনুষ্ঠানে চালের ব্যবহার করে এটাই বোঝানো হয় যে নববধূ যাতে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি ডেকে আনেন।
মূল ছবি সৌজন্যে – ইনস্টাগ্রাম
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়