উৎসব ও অনুষ্ঠান উদযাপন

ভারতীয় ভাষায় প্রথম বুকার জিতলেন গীতাঞ্জলি শ্রী

SRIJA GUPTA  |  May 30, 2022
ভারতীয় ভাষায় প্রথম বুকার জিতলেন গীতাঞ্জলি শ্রী

‘গীতাঞ্জলি’র জন্য ১৯১৩ সালে ভারত থেকে প্রথমবারের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ২০২২ সালেও আবার গীতাঞ্জলির জন্যই সাহিত্যে বুকার প্রাইজ আনল ভারত।

তবে এবারে গীতাঞ্জলি কোনও বই নয়, এক অসাধারণ মহিলার নাম (indian booker prize winner geetanjali)। এই মুহূর্তে তাঁর নাম আপনারা অনেকেই জেনে গেছেন। গীতাঞ্জলি শ্রী যিনি প্রথম ভারতীয় ভাষায় বিশ্বের অন্যতম সেরা সাহিত্য পুরস্কার বুকার প্রাইজে সম্মানিত হয়েছেন। তিনি যে বইটির জন্য বুকার প্রাইজ পেলেন সেটি হিন্দি ভাষায় রচিত, নাম “রেত সমাধি”।

গীতাঞ্জলি শ্রী এর লেখা এই বইটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন আমেরিকান লেখিকা এবং অনুবাদক ডেজি রকওয়েল (indian booker prize winner geetanjali)। তিনি নিজেও সাবলীলভাবে হিন্দি ভাষা জানেন।

গীতাঞ্জলি শ্রীর শৈশব

thebookerprizes

গীতাঞ্জলি শ্রী মূলত উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বাবার বদলির চাকরি ছিল বলে ছোটবেলা থেকেই বারবার জায়গা বদল করে থাকতে হয়েছে৷ তখন থেকেই মানুষের প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মায়। তিনি এখনও অব্দি লিখেছেন তিনটি উপন্যাস যদিও তাঁর ছোটগল্পের সংখ্যা প্রচুর।

রেত সমাধি

হিন্দি ভাষায় লেখা এই বইটির জন্যই তিনি বুকার পেলেন

উপন্যাসটির মূল চরিত্র এক আশি বছরের বৃদ্ধা যিনি স্বামীর মৃত্যুর পর পাকিস্তানে নিজের ‘দেশ’ এর খোঁজে বেড়োন (indian booker prize winner geetanjali)। উপন্যাসটির পটভূমি দেশভাগ। তবে বুকার প্রাইজের বিচারকমন্ডলী বলেছেন, ভারতের দেশভাগের জ্বলন্ত দলিল এটি। তাছাড়া মানুষ, চরিত্র এবং ঘটনার বিশ্লেষণ স্তম্ভিত করে দেয়। ২০১৮ সালে এই উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল।

টুম্ব অফ স্যান্ড

Tomb of Sand

প্রকাশিত হওয়ার পরে অনুবাদক লেখিকা ডেইজি রকওয়েল এটিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। বুকারের নিয়ম হচ্ছে বিশ্বের যে কোনও ভাষায় লেখা উপন্যাস যা ইংরেজিতে অনুদিত যদি ইংল্যান্ড বা আয়ারল্যান্ড থেকে প্রকাশিত হয়, তাহলেই সেটি বুকার প্রাইজের জন্য মনোনীত হবে। ‘রেত সমাধি’কে ইংরেজিতে অনুবাদ করার জন্য পুরস্কারমূল্য ভাগ করে নেবেন গীতাঞ্জলি এবং ডেইজি।

ভারতীয় ভাষায় প্রথম বুকার প্রাইজ

শুধু ভারতীয় ভাষায় নই পুরো দক্ষিণ-এশিয়ায় প্রথম বুকার আনলেন গীতাঞ্জলি শ্রী। 

ভারতের জন্য খুবই গর্বের ব্যাপার এটি। তার সাথে আমাদের জন্যও। এক ৬৪ বছরের মহিলা কলমের জোরে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন কয়েক ধাপ, এ খুবই গর্বের ব্যাপার। আর তার সাথে আমাদের জন্য মেসেজও দিলেন নীরবে আর তা হল, মাতৃভাষাকে হেলাফেলা করা ঠিক নয়। এই ভাষাই বিশ্বের সেরা সম্মান এনে দিতে পারে আপনাকেও, আপনার ফিল্ডে।

গীতাঞ্জলি শ্রীর সোনার কলমকে আমাদের তরফ থেকে কুর্নিশ জানালাম।

POPxo এখন চারটে ভাষায়!ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও! বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPx আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!o App

Read More From উৎসব ও অনুষ্ঠান উদযাপন