লাইফস্টাইল

সফল উৎক্ষেপণ চন্দ্রযান ২-এর, টিমের পুরোধা দুই মহিলা বিজ্ঞানী ও হুগলির ছেলে চন্দ্রকান্ত!

Parama Sen  |  Jul 22, 2019
সফল উৎক্ষেপণ চন্দ্রযান ২-এর, টিমের পুরোধা দুই মহিলা বিজ্ঞানী ও হুগলির ছেলে চন্দ্রকান্ত!

ভারতের চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন অবশেষে সফল হতে চলেছে! আজ দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে ইসরোর শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান ২ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করতে সফল হয়েছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা! প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানীদের যে টিম এই পুরো মিশনটির দায়িত্বে ছিল, তার পুরোধা ছিলেন দুই মহিলা বিজ্ঞানী এম বনিতা ও ঋতু করিঢাল! ঠিক যখন আরও একদল ভারতীয় মহিলা বিজ্ঞানীদের কীর্তি নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই পর্দায় কাঁপাতে আসছে মিশন মঙ্গল, ঠিক তখনই আরও একবার ইসরোর (ISRO) বর্তমান টিমের মহিলারা মনে করিয়ে দিলেন যে, খুব শিগগিরই তাঁদের কীর্তি নিয়েও তৈরি হতে পারে আরও একটি ছবি!

এই মিশন ভারতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই, গুরুত্বপূর্ণ সারা বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের জন্যও। কারণ, এই মিশনের মাধ্যমেই প্রথম কোনও দেশ চাঁদের অপেক্ষাকৃত অচেনা অংশ, অর্থাৎ সাউথ পোলে যাওয়ার চেষ্টা করবে। চাঁদে এর আগে অনেক সফল অভিযান করা হলেও, সাউথ পোলে যাওয়ার চেষ্টা করেনি কোনও দেশই। ফলে এই দিকটি সম্বন্ধে বিজ্ঞানীদের হাতে খুব একটা বেশি তথ্য এখনও নেই। আশা করা যায়, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে যখন চন্দ্রযান ২ (Chandrayaan 2) চাঁদের কক্ষপথে গিয়ে পৌঁছবে, তখন এই দিকটি সম্বন্ধে আরও অনেক কিছু জানতে পারবে পৃথিবীবাসী। প্রসঙ্গত, সবকিছু ঠিকঠাক চললে ১৫ জুলাই নাগাদই চাঁদে (Moon) পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল চন্দ্রযান ২-এর। কিন্তু ল্যান্ডার বিক্রম-এ কিছু টেকনিক্যাল গোলোযোগের কারণে উৎক্ষেপণ পিছিয়ে দিতে হয়। এই ল্যান্ডারের নাম বিক্রম রাখা হয়েছে ভারতের প্রথম মহাকাশ মিশনের পুরোধা বিক্রম সারাভাইয়ের নামে। চন্দ্রযানের আলপিন টু এলিফ্যান্ট, সবই তৈরি করা হয়েছে ভারতে। এমনকী, চাঁদে বিক্রম অবতরণের পর সেখানকার পাথুরে মাটিতে তা কেমনভাবে মানিয়ে নেবে, তা-ও পরীক্ষা করা হয়েছে তামিলনাড়ুর সালেমের বিশেষ পাথুরে মাটি দিয়ে। কারণ, জিওলজিস্টদের মতে, চাঁদের অ্যানরথোসাইট-এর সঙ্গে সালেমের ওই অঞ্চলের মাটির নাকি অনেক মিল!

চন্দ্রযান ২-এর সফল উৎক্ষেপণের পর সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টুইটারে ইসরোর বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে ভেসে এসেছে নানা শুভেচ্ছাবার্তা। যেমন…

ফিরে দেখা যাক, বিক্রম সারাভাইকে, যাঁর নামে চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডারের নাম রাখা হয়েছে…

তবে আরও একটি কারণে স্পেশ্যাল ছিল এবারের চন্দ্রযান ২। সেটি হল, টিমের লিডার ছিলেন দুই মহিলা। মঙ্গলযানের পর এবার চন্দ্রযানেও তাঁদের পরশ বিনা এগোনো যায়নি!

এই মুত্থাইয়া বনিতা এবং ঋতু করিঢাল, দুজনেই ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন এই মিশনে। ঋতু এই প্রোজেক্টের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন আর ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার বনিতা চন্দ্রযানের নকশার সব খুঁটিনাটি সামলেছেন! নিঃসন্দেহে এটি নারীশক্তিরই জয় আবার! 

আছেন আরও একজন, হুগলির শিবপুরের চাষীর ছেলে আর এই প্রোজেক্টের ডেপুটি প্রোজেক্ট ডিরেক্টর চন্দ্রকান্ত কুমারও। ছেলের জন্মের সময় সূর্যের নামে ছেলের নাম সূর্যকান্ত রাখতে চেয়েছিলেন মধুসূদন কুমার। কিন্তু কী মনে করে শেষ পর্যন্ত নাম রাখেন চন্দ্রকান্ত! আজ সেই ছেলেই ভারতবাসীর চাঁদে যাওয়ার স্বপ্নের অন্যতম কারিগর!

মূল ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম, নেটওয়র্ক ১৮

 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

Read More From লাইফস্টাইল