
আমরা অনেকেই ইতিমধ্যেই ড্রাই শ্যাম্পুর কথা জানি। সেটাই খুব স্বাভাবিক। এই ব্যস্ত জীবনে ড্রাই শ্যাম্পু লাইফ সেভারের মতোই। বিশেষ করে যাঁদের চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিফটে কাজ হয়, তাঁদের জীবনশৈলী কখনওই একই ধাঁচে চলে না। তাঁরা সঠিক সময়ে কিছুই কাজ করতে পারেন না। ফলে কী হয়,অনেক সময়ে তিন-চারদিন পর্যন্ত শ্যাম্পু করা যায় না। চুল ধোওয়া যায় না। কারণ, সময় নেই। সারাদিন অফিসের পর বাড়ি ফিরে বা অনেক ভোরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সত্যিই তা হয়ে ওঠে না। যদিও লকডাউনে সেই ছবি কিছুটা পাল্টেছিল, কিন্তু অফিস খুলতেই আবার কিন্তু একইরকম সেই কাজের চাপ! আপনিও বেশ কিছুদিন ধরেই হয়তো আপনি শ্যাম্পু করতে পারছেন না। সেই সময়েই আপনাকে বাঁচিয়ে দেয় ড্রাই শ্যাম্পু। কয়েক মিনিটের মধ্যেই চুল ঠিক হয়ে যায়, মনে হয় আপনি সদ্যই শ্যাম্পু করলেন। এই ড্রাই শ্যাম্পুর সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। কিন্তু ড্রাই কন্ডিশনারও কিন্তু অনেকেই ব্যবহার করেন। আর এই ড্রাই শ্যাম্পু ও ড্রাই কন্ডিশনার এক নয় (difference between dry shampoo and dry conditioner)। চুলে দুটোর আলাদা আলাদা ভূমিকা আছে। তবে দুটোই কম সময়ে চুলকে জেল্লাদার করে তোলে, মনে হয় সবেই আপনি স্যালোঁ থেকে বেরিয়েছেন। আজ ড্রাই শ্যাম্পু ও ড্রাই কন্ডিশনারের পার্থক্য(difference between dry shampoo and dry conditioner)-র কথা বলব। এই বিষয়ে জানলে আপনারও ব্যবহারে সুবিধা হবে। আপনিও বুঝতে পারবেন, এই মুহূর্তে আপনার চুলের কী প্রয়োজন, ড্রাই শ্যাম্পু না কি ড্রাই কন্ডিশনার।
ড্রাই কন্ডিশনার কী
অনেক সময় স্ক্যাল্প শুধুই তেল চিটচিটে হয়ে থাকে না, বরং আরও কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। ফলে চুলের জেল্লা থাকে না, লাইফলেস দেখায়। আপনারও কি এই সমস্যা? তাহলে আপনার প্রয়োজন অবশ্যই ড্রাই কন্ডিশনার। অ্যারোসল হাইড্রেটিং ফর্মুলা দিয়ে তৈরি হয় ড্রাই কন্ডিশনার। যা ছোট ছোট কন্ডিশনিং মলিকিউল দিয়ে তৈরি হয়। তবে এই প্রোডাক্ট সম্পূর্ণ স্ক্যাল্পে ব্যবহার করতে হবে এরকম নয়। মাথার সিঁথিতে আপনি এই ড্রাই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। একইসঙ্গে চুলের ডগাতেও এই প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারের পর মনে হয়, আপনি হয়তো একটু আগেই আপনার চুল ওয়াশ করেছেন। বাউন্সি দেখায় চুল। ড্রাই শ্যাম্পুর থেকেও ড্রাই কন্ডিশনার বেশি ময়শ্চারাইজ়িং। চুলে আনে জেল্লা, মনে হয় স্যালোঁ থেকে সবেই ব্লো ড্রাই করে বেরিয়েছেন।
আপনি কীভাবে ব্যবহার করবেন
ড্রাই কন্ডিশনার ব্যবহার করা খুবই সহজ। আপনাকে চুলের দুটি ভাগ করে নিতে হবে। মাথার মাঝখানে যেন সিঁথি হয়, খেয়াল রাখবেন। সেখান থেকে স্প্রে করা শুরু করবেন। চুলের ডগা পর্যন্ত স্প্রে করবেন। এরপর ব্রাশ বা চিরুণি দিয়ে চুল ভালভাবে আঁচড়ে নিন। যদি আপনি ড্রাই শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার একসঙ্গে ব্যবহার করেন, খেয়াল রাখবেন আগে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। তারপর ড্রাই কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
দু থেকে তিনদিন আপনি যদি শ্যাম্পু না করতে পারেন, অবশ্য়ই আপনি ড্রাই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।
মুহূর্তেই পান স্যালোঁ স্টাইল চুল…
ড্রাই শ্যাম্পু কী
আপনার স্ক্যাল্প যদি তৈলাক্ত থাকে, তবে আপনি অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন ড্রাই শ্যাম্পু। কারণ, অনেক সময়েই আমরা সময় করে শ্যাম্পু করতে পারি না। তখন ড্রাই শ্যাম্পুই ম্যাজিকের মতো কাজ করে। চুলে স্প্রে করে নিলেই মনে হয় সবেই শ্যাম্পু করে চুল ধোওয়া হয়েছে। এই শ্যাম্পু অ্যালকোহল বেসড হয়, যা চুলের অতিরিক্ত তেল টেনে নেয়। তাই বলে আপনি গন্ধের জন্য ভয় পাবেন না, কারণ এই শ্যাম্পু সাধারণত সুগন্ধি হয়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী স্প্রে করে নিন ড্রাই শ্যাম্পু। তারপর চুল আঁচড়ে নিন। আপনার চুল দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না, আপনি চুল ওয়াশ করেননি। তবে অবশ্যই নিয়মিত ব্যবহারের অভ্যাস করে ফেলবেন না। কারণ, নিয়মিত ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়ে উঠতে পারে। মনে রাখবেন, ম্যাজিক কিন্তু মাঝেমধ্যেই ভাল লাগে। সবসময় নয়। এইবার নিশ্চয় বুঝতেই পারছেন ড্রাই শ্যাম্পু ও ড্রাই কন্ডিশনারের পার্থক্য(difference between dry shampoo and dry conditioner)।
POPxo এখন চারটে ভাষায়!ইংরেজি, হিন্দি মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতেথেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন
#POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন
নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!
Read More From Care
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA