মসৃণ ও কোমল হাত-পা সবারই খুব প্রিয়। ওয়্যাক্সিং করানোর পর যখন ত্বকে হাত বোলাই, নিজের মনটাই বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। তবে একটু ব্যথা লাগে ঠিকই, কিন্তু পার্লর থেকে বের হওয়ার পরেই যে মনটা ভাল হয়ে যায়। তাই মন ভাল রাখার জন্য একটু ব্যথা আমরা সহ্য করেই নিই। আর ত্বকের রোম তুলে ফেলার সবথেকে ভাল উপায় হল ওয়্যাক্সিং। তাই এখন মেয়েরা রেজ়ার বা হেয়ার রিমুভাল ক্রিমের বদলে ওয়্যাক্সিংয়েই বেশি ভরসা রাখেন। এতে ত্বকও মোলায়েম থাকে এবং রোম উঠে আসে গোড়া থেকে। তবে এই ওয়্যাক্সিংয়ের এই ভাল দিকগুলো তো না হয় আমরা সবাই জানি। কিন্তু নিয়মিত ওয়্যাক্সিংয়ের জন্য ত্বকে কতটা প্রভাব পড়ে(side effects of regular waxing), তা কি আপনি জানেন? নিয়মিত ওয়্যাক্সিংয়ে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা থেকে শুরু করে ত্বকে সংক্রমণের ভয় পর্যন্ত থেকে যায়। তাই আপনি যখন ওয়্যাক্সিং করাচ্ছেন, অবশ্যই সাইড এফেক্টসের (side effects of regular waxing)কথাও মাথায় রাখুন! নিয়মিত ওয়্যাক্সিংয়ের জন্য কী কী হতে পারে।
ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে
আপনি যখনই ওয়্যাক্সিং করান, তখন ত্বকে একটা টান পড়ে। আমাদের ব্যথা লাগে। আসলে ত্বকের ওই জায়গাটি আহত হয়। তাই সেসব জায়গায় ত্বকে পিগমেন্ট তৈরির পরিমাণ বেড়ে যায়। আর সেসব জায়গায় কালো ছোপ পড়তে শুরু করে। তাই যাঁরা নিয়মিত আন্ডার আর্মস ওয়্যাক্সিং করান, তাঁদের আন্ডার আর্মস কালো হয়ে যায় (side effects of regular waxing)। তার কারণ কিন্তু এটাই। তবে কি এর থেকে ত্বককে বাঁচানো সম্ভব? অবশ্যই। ওয়্যাক্সিং করার পরেই ত্বকে লোশন লাগিয়ে নিন। সেই লোশনে যেন ভিটামিন বি3 বা গ্লিসারিনের মতো উপাদান থাকে।
ত্বকের টান-টান ভাব নষ্ট হতে পারে
আসলে আমাদের ত্বক ইলাস্টিকের মতোই। ত্বক টানলে প্রসারিত হয়, আবার ছেড়ে দিলে আগের জায়গায় ফিরে আসে। ওয়্যাক্সিং করানোর সময় ত্বকে টান পড়ে। আপনি তা জানেন। এইবার নিয়মিত ওয়্যাক্সিং করলে সেই ত্বকে বারবার টান পড়ে। ত্বক তার ইলাস্টিসিটি হারায়। ফলে ত্বক সময়ের আগেই কুঁচকে যায়।
ওয়্যাক্সিং করার পর ভিটামিন বি3 যুক্ত ক্রিম অবশ্যই লাগাবেন…
স্কিন ব়্যাশ হতে পারে
ঠিক পার্লরে ওয়্যাক্সিং না হলে, বা ভুল প্রোডাক্টের ব্যবহারে ত্বকে প্রভাব পড়ে। তখন ত্বক লাল হয়ে যায়। জ্বালা করে। এমনকী ওয়্যাক্সিং করার পরে ত্বকে রোদ লাগালেও সেই জায়গাটি লাল হয়ে গিয়ে জ্বালা করতে পারে। তাই ওয়্যাক্সিং করার পর গরম জল লাগাবেন না। আর সুতির ঢিলে পোশাক পরবেন। তবে ত্বকের খুব সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
ত্বকে সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে
এই জন্যই ঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য পার্লর থেকে ওয়্যাক্সিং করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ত্বক খুব সংবেদনশীল। সেই ত্বকে সঠিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত। নয়তো সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যেতে পারে। কারণ, হাইজিন কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আসলে ত্বকের রোম বা বডি হেয়ার শরীরে থাকার নিজস্ব কারণ আছে। এই বডি হেয়ার ত্বককে সরাসরি আঘাত থেকে বাঁচায়। এছাড়াও অন্যান্য কাজও করে। তাই কৃত্রিমভাবে যখনই সেই রোম তুলে ফেলা হয়, তার সাইড এফেক্টস তো থাকবেই। আপনার ত্বকে রোম থাকলেও আপনাকে যতটা সুন্দর দেখায়, রোম না থাকলেও সুন্দর দেখায়। শুধু আপনি আপনার শরীর নিয়ে কন্ফিডেন্ট থাকুন। জানবেন, আপনিই সেরা !
POPxo এখন চারটে ভাষায়!ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে
থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন
#POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন
নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!
Read More From রূপচর্চা ও বিউটি টিপস
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA