‘তেজাব’-এর মোহিনী হোক কিংবা ‘দিল তো পাগল হ্যায়’-এর মায়া অথবা ‘দেবদাস’-এর চন্দ্রমুখী বা ‘কলঙ্ক’-এর বেগম বাহার – মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit) প্রতিটি চরিত্রেই অনবদ্য, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। আজও মাধুরী দীক্ষিতের গ্রেস হোক বা ক্রেজ, এতটুকুও কমেনি। কিন্তু এমন কি ব্যাপার রয়েছে তাঁর মধ্যে যে পঞ্চাশ পেরিয়েও তিনি এখনও এতটা গ্রেসফুল এবং ইয়ং? তাঁর কথায়, ‘ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া (diet) আর ওয়ার্কআউট (workout)’! এটাই নাকি তাঁর সৌন্দর্যের গোপন রহস্য।
মাধুরী দীক্ষিতের ডায়েট প্ল্যান – আর অধরা নয়!
মাধুরী নাকি জাপানিদের মতো ডায়েট প্ল্যান ফলো করতে পছন্দ করেন। তাঁর মতে, জাপানিরা হলেন পৃথিবীর অন্যতম স্বাস্থ্যসচেতন জাতি। শাক-সব্জি, সামুদ্রিক মাছ, মাশরুম, টোফু, সুপ – এরকম হেলদি খাবার খেয়েই নাকি জাপানিরা নিজেদের ত্বকের এবং শরীরের বয়স বাড়তে দেন না। মাধুরী এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, আর তাই তাঁর ডায়েট প্ল্যানে প্রায় নিয়মিত থাকে এই খাবারগুলো।
ব্রেকফাস্টে যা খান মাধুরী
মাধুরীর লাঞ্চ
এক টুকরো চিকেন অথবা সামুদ্রিক মাছ, শাক এবং পাতাযুক্ত তরকারি আর সামান্য কার্বোহাইড্রেট – এই হল তাঁর দুপুরের খাবার। মাধুরী মনে করেন যে, প্রতিদিনের ডায়েটে পরিমানমতো কার্বোহাইড্রেট থাকাটা খুব জরুরি, তা না হলে শরীর জরুরি এনার্জি পাবে না। তিনি কার্বোহাইড্রেট হিসেবে খান বাজরার রুটি, এতে স্টার্চের পরিমান কম, কিন্তু প্রোটিন বেশি থাকে বলে সারাদিন কাজ করার এনার্জি যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়।
বিকেলের টুকটাক
বিকেলের দিকে খিদে পেলে এক বাটি টক দই, যে-কোনও একটা ফলের অর্ধেক এবং একমুঠো বাদাম খেয়ে নেন মাধুরী।
ডিনার টাইম
এই ব্যাপারে তিনি পাক্কা সাহেব! সন্ধে সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে ডিনার সেরে ফেলেন মাধুরী। তাঁর মতে, ঘুমতে যাওয়ার যত আগে খাবার খাওয়া যায়, তত বেশি ভাল, কারণ তাতে ফ্যাট তাড়াতাড়ি ঝরে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। একটা ছোট বাটির এক বাটি স্যালাড আর এক টুকরো মাছ বা মাংস হল তাঁর ডিনারের মেনু।
পানীয়তে যা-যা পছন্দ
চা খেতে খুব ভালবাসেন মাধুরী। দিনে অন্তত দু’ কাপ চা তাঁর লাগবেই লাগবে। আর সফট ড্রিঙ্কের বদলে ডাবের জল খান তিনি।
মিষ্টিমুখও কিন্তু করেন
স্ট্রিক্ট ডায়েট মেনে চলেন বলে যে মাধুরী মিষ্টি একেবারেই খান না, তা কিন্তু নয়। মিষ্টি খেতে ভালইবাসেন তিনি, তবে মেপে খান। বাড়িতে বানানো তিলের নাড়ু আর ক্যারামেল পপকর্ন, এই দুটো তাঁর পছন্দের তালিকায় আছে।
মাধুরী দীক্ষিতের ওয়ার্কআউট রুটিন
আচ্ছা, বলুন তো, মাধুরী দীক্ষিত ঠিক কীরকম ওয়ার্কআউট করতে পারেন বলে আপনার মনে হয়? একদম ঠিক ধরেছেন, নাচ! নাচটাই তাঁর কাছে শরীরচর্চার অন্যতম হাতিয়ার। আট বছর বয়স থেকে তিনি কত্থক শিখছেন, আর আজও তিনি নিয়মিত তা প্র্যাক্টিস করেন। সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন হয়তো জিমে যান ওয়ার্কআউট করতে, তবে মেশিনের সাহায্যে শরীরচর্চা তাঁর খুব একটা পছন্দ নয়।
তা হলে, জেনে গেলেন তো মাধুরী দীক্ষিতের সিক্রেট ডায়েট প্ল্যান আর ওয়ার্কআউট রুটিন? আপনি কবে থেকে শুরু করছেন ঠিক করে ফেলেছেন তো?
ছবি সৌজন্যেঃ ইন্সটাগ্র্যাম
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!