পেরেন্টিং টিপস

শুরু মাধ্য়মিক পরীক্ষা, আপনার পরীক্ষার্থী সন্তানের এই সমস্য়া নেই তো?

Indrani Bose  |  Mar 7, 2022
শুরু মাধ্য়মিক পরীক্ষা, আপনার পরীক্ষার্থী সন্তানের এই সমস্য়া নেই তো?

আজ শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা (madhyamik examination)। করোনা প্যানডেমিকের জন্য় গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। এবার আবার পরীক্ষায় বসছেন প্রায় কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী। এই সময় পরীক্ষার্থীরা চিন্তায় থাকেন ঠিকই, সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকরাও দুশ্চিন্তা করেন। কিন্তু আপনার সন্তান কি পরীক্ষা দিতে গিয়ে ভয় পান? আপনার সন্তান টেস্ট অ্য়াংজাইটি (test anxiety)-এর শিকার নয়তো? সন্তানকে বোঝার চেষ্টা করুন। সর্বোপরি ওদের পাশে থাকুন। কীভাবে বুবেন আপনার সন্তান টেস্ট অ্য়াংজাইটির শিকার? এই পরিস্থিতিতে কী করবেন? সে বিষয়েই আলোচনা করার চেষ্টা করলাম।

কী কী উপসর্গ সন্তানের মধ্য়ে দেখবেন

পড়া জিনিস মনে করতে পারছে না (test anxiety)

হয়তো আপনার সন্তানের প্রিপারেশন খুব ভাল। কিন্তু হঠাৎ করেই পুরোটা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা করেও জানা জিনিস মনে করতে পারছে না।

বার বার ভুলে যাচ্ছে

যেই বিষয়টা সকালে রিভিশন করেছে, সেটাই হয়তো আবার রাতে পড়ছে। অর্থাৎ সকালের রিভিশন করার বিষয়টা হয় আপনার সন্তান ভুলে গিয়েছে। অথবা সকালের রিভিশনের পরও ওই বিষয় বা নির্দিষ্ট কোনও চ্যাপ্টার নিয়ে সে ততটা কনফিডেন্ট নয়।

সে কতটা সময় পড়ছে? (test anxiety)

শেষ মুহূর্তেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮-১৯ ঘণ্টাই (test anxiety) যদি পড়ে আপনার সন্তান, তাহলে বুঝবেন সে টেস্ট অ্যাংজাইটির শিকার। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি সারা বছর কোনও পড়ুয়া ঠিক মতো পড়ে, তাহলে পরীক্ষার সাতদিন আগে বেশি না পড়লেও কোনও ক্ষতি নেই। বরং পরীক্ষার আগে খুব বেশি চাপ নিতে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা।

পরীক্ষা নিয়ে সন্তানের মনে ভয়?

পরীক্ষার আগে কোনও শারীরিক সমস্য়া হচ্ছে? (test anxiety)

পরীক্ষার আগে যদি আপনার সন্তানের মাথার যন্ত্রণা বা পেটের সমস্যার মতো কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তাহলেও বুঝবেন সে টেস্ট অ্যাংজাইটির (test anxiety) শিকার। কারণ তার মনের মধ্যে যে আশঙ্কা বা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, সেটা সে কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারছে না। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিয়েছে।

আপনি কী করবেন?

সন্তানের মধ্য়ে এরকম কোনও উপসর্গ দেখলে আপনি সতর্ক হন। প্রথমেই ওকে সাহস দিতে হবে। বিভিন্ন পরীক্ষায় আপনার সন্তান আগেও ভাল পারফর্ম করেছে, ওকে এখন সেগুলো মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে কনফিডেন্স বাড়বে। সে যেন সারাদিন বই নিয়ে বসে না থাকে। বরং নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন। তার মধ্য়েই যেন সে রিভিশন শেষ করে। সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। না খেয়ে বা কম ঘুমিয়ে যদি পড়াশোনা করতে থাকে, সেটাও করতে দেবেন না। কারণ হালকা ডায়েট, পর্যাপ্ত ঘুম এখন খুবই প্রয়োজন। শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরীক্ষার হলে গিয়ে ঠিক ঠাক পরীক্ষা দিতে পারবে না। পরীক্ষার ফল যেমনই হোক, আপনি তা দিয়ে যে ওকে বিচার করবেন না, সেটা ওকে বুঝিয়ে দিন। ভাল বা খারাপ, যাই হোক আপনি ওর পাশে থাকবেন, আপনার পরীক্ষার্থী সন্তান যেন তা বোঝে।

মূল ছবি- ইনস্টাগ্রাম

POPxo এখন চারটে  ভাষায়! ইংরেজিহিন্দিমারাঠি আর বাংলাতেও!

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

Read More From পেরেন্টিং টিপস