কথায় কথায় হয়তো আপনি বলেন, মোটা হয়ে যাচ্ছি। কিছুতেই ওজন কমাতে পারছি না। কী করে একটু রোগা হওয়া যায়! এ সব কথা এখন দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। তবে মোটা হওয়াটা বড় কোনও বিষয় নয়। মোটা হলে হীনমন্যায় ভোগাটাও কোনও কাজের কথা নয়। বরং সুস্থ থাকাটা মাস্ট। যে কোনও মূল্যে সুস্থ থাকার উপর জোর দেন বিশেষজ্ঞরা।
ওজন কমাতে গেলে এক এক জন এক এক রকম পদ্ধতি ট্রাই করেন। কেউ কড়া ডায়েটে থাকেন। কেউ যা ইচ্ছে তাই খান। কিন্তু ওয়ার্কআউট করে টোনড ফিগার বজায় রাখেন। আবার কেউ বা ডায়েট এবং ওয়ার্কআউট দুটোই মেনটেন করেন।
আপনি হয়তো এর একটা দলেও পড়েন না। এক সপ্তাহ ডায়েট করার পরই বিরিয়ানি বা কোল্ড ড্রিংসের জন্য আপনার মন কেমন করে। খেয়ে ফেলেন। অথবা তিন দিন ওয়ার্কআউট করার পর এত পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েন বা এত গায়ে ব্যাথা হয়, আর এনার্জি পান না। যদি আপনার ক্ষেত্রেও এটাই সত্যি হয়, তাহলে আপনার জন্য কিন্তু আরও একটা পথ রয়েছে। সেটারই হদিশ দেব আমরা।
খাওয়ার (Mealtime) সময় অনেকেই অযথা বেশি খেয়ে ফেলেন। সেটা বন্ধ করার কিছু সহজ উপায় আছে। সেগুলো মেনটেন করলে আলাদা করে আপনাকে ডায়েট করতে হবে না, এটা ঠিক। অথচ বেশি খাওয়ার অভ্যেসটাও বদলে ফেলতে পারবেন। কী কী করতে হবে আপনাকে?
খাওয়ার আগে জল খাওয়াটা মাস্ট। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
১) খাওয়ার সময় ফোন হাতে নেবেন না। অনেকেই খেতে খেতে গুরুত্বপূর্ণ ইমেল চেক করে নেন। অথবা নেহাতই সোশ্যাল মিডিয়া সার্ফিং চালাতে থাকেন। ২০১১-এর একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এতে দুটো ক্ষতি হয় প্রাথমিক ভাবে। প্রথম, যিনি খাচ্ছেন, তিনি খাবারের স্বাদ এনজয় করতে পারেন না। আর দ্বিতীয়, পরিমাণে বেশি খাওয়া হয়ে গেলেও ফোনে ব্যস্ত থাকার কারণে বোঝা যায় অনেক পরে। ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে যায়। তাই খাওয়ার সময় ফোন দূরে রাখুন।
২) হাত দিয়ে খেলে খাবারের স্বাদ অনেক বেশি পাই আমরা। অন্তত আমাদের অভ্যেস তো তেমনটাই। তাতেই তৃপ্তি হয়। আর এই পদ্ধতিতে একটু বেশি খেয়ে ফেলারও সম্ভবনা থাকে। তাই সম্ভব হলে চামচ ব্যবহার করুন। এতে পরিমাণ আপনার কন্ট্রোলে থাকবে।
৩) একটু সময় নিয়ে খান। খাবার চিবিয়ে, তার স্বাদ গ্রহণ করে খেলে উপকার অনেক বেশি। তাড়াহুড়ো করে খেলে হজমের সমস্যা হয়। আবার অনেক সময় বেশি খাওয়ার প্রবণতাও তৈরি হয়।
৪) খেতে বসার আধঘন্টা আগে এক গ্লাস জল খেয়ে নিন। এতে খাওয়ার পরিমাণ আপনার কন্ট্রোলে থাকবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পদ্ধতি ফলো করে নাকি ১২ সপ্তাহ অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে ওজন অনেকটাই কমিয়ে ফেলা যায়!
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!