অফিশিয়ালি গ্রীষ্মকাল না এলেও তাপমাত্রা ৩০ ছাড়িয়েছে বেশ কিছুদিন হল। তাই এখনই যদি প্রস্তুতি সেরে ফেলা না যায়, তাহলে যে বিপদ!
কী প্রস্তুতি? আসলে গরমকাল মানেই তাপমাত্রা বাড়বে। ফলে মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হবে। আর এমনটা হলে স্বাভাবিকভাবেই দেহের ভিতরে জলের মাত্রা দ্রুত কমতে থাকবে। তাই তো এমন পরিস্থিতিতে শরীরকে ভিতর এবং বাইরে থেকে সুস্থ রাখতে ডায়েটের (must have summer vegetables and fruits) দিকে নজর ফেরানোর প্রয়োজন রয়েছে। কারণ তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ার আগে থেকেই যদি রোজের ডায়েটে এই লেখায় আলোচিত খাবারগুলিকে জায়গা করে দেওয়া যায়, তাহলে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না!
এখন প্রশ্ন হল তাপদাহের হাত থেকে শরীরকে বাঁচাতে কী কী খাবারকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে রোজের ডায়েটে?
শসা
১০০ গ্রাম শসায় প্রায় ৯৫ শতাংশ জল থাকে। সেই সঙ্গে মজুত থাকে কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক,ভিটামিন এ,বি,ই,ডি এবং কে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র দেহের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতাকে যেমন বাড়িয়ে তোলে, তেমনি অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে যাতে শরীরের কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও নজর রাখে। সেই সঙ্গে রক্তচাপ কমাতে এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয় এই প্রাকৃতিক উপাদানটি।
টমেটো
নিয়মিত একটা করে টমেটো খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে একদিকে যেমন জলের ঘাটতি দূর হয়, তেমনি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি একাধিক ফাইটোকেমিকাল এবং লাইকোপেন নামক একটি উপাদানের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়, যে কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগও ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না। তবে বেশি মাত্রায় টমেটো খাওয়া চলবে না কিন্তু। কারণ এমনটা করলে একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। যেমন – অ্যাসিডিট, অ্যালার্জি, ডায়ারিয়া প্রভৃতি।
পাতিলেবু
গরমকালে অতিরক্তি ঘাম হওয়ার কারণে শরীরে যেমন জলের ঘাটতি দেখা দেয়, তেমনি ঘামের সঙ্গে একাধিক মিনারেল বেরিয়ে যাওয়ার কারণে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো সারা গরমকাল জুড়ে নিয়মিত দু-গ্লাস করে লেবু জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
আসলে এমনটা করলে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি শরীরের ভিতরে পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না। সেই সঙ্গে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
তরমুজ
সারা গরমকাল জুড়ে শরীরের ভিতরে যাতে কোনও সময় জলের ঘাটতি দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। কারণ দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি তখনই ঠিক মতো কাজ করতে পারে, যখন জলের চাহিদা পূরণ হয়। আর ঠিক এই কারণেই প্রতিদিন এক বাটি করে তরমুজ খাওয়া মাস্ট! কারন, জলে পরিপূর্ণ এই ফলটি অনেকাংশেই যেমন দেহের ভিতরে জলের চাহিদা মেটায়, তেমনি শরীরকে ঠান্ডা রাখে। ফলে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে কোনও ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
শুধু তাই নয়, কোনও কোষের যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকেও নজর রাখে তরমুজে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান। তাই তো রোজের ডায়েটে এই ফলটিকে জায়গা করে দিলে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।
তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন, তা হল দিনে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ খাওয়া শুরু করলে কিন্তু বিপদ। কারণ সেক্ষেত্রে শরীরে ফাইবার এবং লাইকোপেনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই কী পরিমাণে তরমুজ খাওয়া উচিত, সে সম্পর্কে একবার চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!