শীতকাল (winters) মানেই কিন্তু নানা রকমের মরসুমি সবজি, ফল আর খাবারের (food) সমাহার. আর সত্যি কথা বলতে কি শীতকালে খেয়েও সুখ. বেশ বৈচিত্র্যময় খাবারদাবার (food) খাওয়া যায় যেমন ধরুন কড়াইশুঁটির কচুরি, ফুলকপির সিঙ্গারা, ছোট আলুর দম, মুলোর পরোটা, গাজরের হালুয়া আরও না জানি কতকি সুস্বাদু পদ. আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, শীতকালে (winters) যতই খান না কেন, হাসফাস করে না এবং শরীর খারাপও করে না খেয়ে. কিন্তু এর মধ্যেও একটা ব্যাপার আছে. শীতের (winters) মেনু যতই লম্বা আর লোভনীয় হোক না কেন, শীতের খাদ্যাভ্যাস (food habits) সম্পর্কে নানা মুনির নানা মত. কেউ বলেন শীতকালে (winters) বেশি পরিমানে মাছ-মাংস খাওয়া উচিত আবার কেউ বলেন একেবারেই উচিত না; আবার অন্যদিকে এটাও আপনি শুনে থাকবেন যে “শীতকালে দই খাবে না, ঠান্ডা লেগে যাবে.” এরকম আরও অনেক মিথ (myth) বা ভুল ধারণা রয়েছে শীতকালের খাদ্যাভ্যাস (food habits) নিয়ে. এরকমই কয়েকটি মিথ নিয়ে আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করবো এবং তার সাথে ফ্যাক্টসও (fact) জানাবো –
মিথ ১ (Myth 1)
শীতকালে (winters) কলা খেলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বাড়ে
ফ্যাক্ট (Fact): এটা একেবারে ভুল ধারণা. কলা ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং ম্যাগনেসিয়ামে সমৃদ্ধ যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে. এছাড়া থাইরয়েড গ্ল্যান্ড এবং এড্রিনালিন গ্ল্যান্ড-কেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে. কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি কিন্তু ‘ইমিউনিটি বুস্টার’ নামেও পরিচিত কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটি সাহায্য করে এবং শীতকালে সর্দি-কাশির হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে. তাই, শীতে (winters) কলা খেলে ঠান্ডা লাগবে, এই ধারণাটি সত্য নয়.
মিথ ২ (Myth 2)
শীতকালে জল কম খেলেও সমস্যা নেই
ফ্যাক্ট (Fact): আপনি কি জানেন কেন শীতকালে ত্বক শুস্ক হয়ে যায়? কারণ শীতকালে (winters) বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে এবং শরীরেও জলের চাহিদা অনেক পরিমানে বেড়ে যায়. খেয়াল করে দেখবেন যে শীতকালে শুধু ত্বক না, শরীরের ভেতরের অনেক অংশেও একটা শুকনোভাব দেখা যায়. শরীরে জলের অভাব হলে অভ্যন্তরীন কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়. অর্থাৎ, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ করার ক্ষমতা দিনে দিনে কমতে থাকে এবং পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে.
মিথ ৩ (Myth 3)
শীতকালে মশলাদার খাবার এবং ঝাল বেশি খেলে শরীর গরম থাকে
ফ্যাক্ট (Fact): লংকাতে ক্যাপসাইসিন নামক একটি কম্পোনেন্ট থাকে যা শরীরের হিট সেন্সর বাড়িয়ে দেয়, ফলে আমাদের ঘাম হয়. তবে শীতকালে (winters) শরীর গরম রাখার জন্য কিন্তু এটা কোনো সঠিক পদ্ধতি নয়. ঝাল খেলে কিছুক্ষনের জন্য শরীরে একটা গরম অনুভূতি হতে পারে কিন্তু তা চিরস্থায়ী কখনোই না. উল্টে বেশি ঝাল মশলাযুক্ত খাবার খেয়ে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে.
মিথ ৪ (Myth 4)
শীতকালে দই খাওয়া উচিত না
ফ্যাক্ট (Fact): একেবারে ভ্রান্ত ধারণা. দই-এ প্রচুর পরিমানে প্রোবায়োটিক্স থাকে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যার ফলে শীতকালের (winters) ছোটোখাটো অসুখ যেমন জ্বর, সর্দি-কাশি এসব হবার আশঙ্কা অনেক কমে যায়. এছাড়া দই হজম করতেও সাহায্য করে. শীতকালে যেহেতু এমনিতেই এটা-ওটা খাওয়া (food habits) হয়ে যায়, তাই যদি নিয়মিত দই খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের পাচনক্রিয়া ঠিকভাবে হয়.
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!