সদানন্দময়ী কালী, মহাকালের মনমোহিনী, ব্রহ্মাণ্ড ছিল না যখন মুণ্ডমালা কোথা পেলি? কালীপুজোর সময় এই গান বাঙালির অতি পরিচিত। সাধক রামপ্রসাদ থেকে মহাসাধক বামাখ্যাপা সবাই এই প্রশ্ন নিরন্তর করে গেছেন। কে তুমি? কোথা থেকে তুমি এলে? এত অসীম শক্তি কীভাবে তুমি ধারণ করলে নিজের মধ্যে? আমরাও এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই। মহাকালের মনমোহিনী দেবী কালীর (Kali) কীভাবে উৎপত্তি (emergence) হল। পুরাণ ও বিভিন্ন শাস্ত্র ঠিক কী বলছে? কালী শব্দটি এসেছে কাল বা সময় থেকে। কালী হলেন কালহরনি। আবার ঘোর কৃষ্ণবর্ণ গায়ের রং বোঝাতেও কালী শব্দের প্রয়োগ করা হয়েছে। আবার অনেকে বলছেন শিবেরও অপর নাম কাল। তাঁর অর্ধাঙ্গিনীরূপে বিরাজ করেন কালী।
মা দুর্গার স্নেহময় জগতজননী রূপের ঠিক বিপরীত ভয়াল ভয়ঙ্কর রূপ হল কালী। তবে তিনিও মা দুর্গারই অংশবিশেষ। সময় হলে বা প্রয়োজন পড়লে স্নেহময়ি মাও যে কত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন কালী তাঁরই প্রতিরূপ। তবে বিভিন্ন শাস্ত্রে মা কালীর যে ভয়াবহ রূপ বর্ণনা করা আছে, আমাদের এখানে কালীপুজোর সময় যে কালীর আরাধনা হয় এঁরা দুজনে কিন্তু আলাদা। মনে করা হয় নবদ্বীপের বিখ্যাত তান্ত্রিক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ বাংলায় সর্বপ্রথম কালীমূর্তি নির্মাণ করে তাঁর পুজো শুরু করেন। পরে সেটাই অষ্টদশ শতাব্দীতে নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের হাত ধরে এই পুজো সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে আমরা যে কালীপুজো দেখি এটি তারই বৃহৎ ছবি।
শব্দকল্পদ্রুম নামক অভিধান বলছে “কাল শিবহ, তস্য পত্নী কালী।” অর্থাৎ কালরূপী শিবের পত্নী হচ্ছেন কালী। চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই ভয়ানক অসুরকে নিধন করতে মা দুর্গার ললাট থেকে মা কালীর জন্ম হয়। তিনি দু’জনকে সংহার করলেও তাঁর অসম্ভব শক্তিকে কেউ রোধ করতে পারছিল না। তাঁর দৃষ্টির সামনে যেই আসছিল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। উপায় না দেখে শিব তাঁর সামনে এসে শুয়ে পড়লেন। অজান্তে স্বামীর বুকে পা দিতেই লজ্জায় জিভ বের করলেন দেবী। তাঁর প্রচণ্ড রাগ ও কোপ ধীরে ধীরে স্তিমিত হল।
অথর্ব বেদে কালীর উল্লেখ আছে। উল্লেখ আছে কথকগ্রাহ্য সূত্রেও। আবার এও বলা হচ্ছে যে ঋগ্বেদের দেবতা অগ্নির সাতটি লেলিহান জিহ্বার একটি হল কালী। তবে এসব ক্ষেত্রে কোথাও কালীর বর্তমান রূপের সঙ্গে কোনও তুলনা করা যাবে না। কালীর বর্তমান রূপের উল্লেখ পাওয়া যায় মহাভারতের সুপ্তিকা পার্বণে। যেখানে তিনি পাণ্ডব সৈন্যদের স্বপ্নে কালরাত্রি রূপে দেখা দিচ্ছেন।
ষষ্ঠ শতাব্দীর গ্রন্থ দেবী মাহাত্ম্যমে মা কালীকে মহাশক্তির একটি রূপ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। তিনি রক্তবীজ নামক এক অসুরকে বধ করছেন তারপর নরসিংহী, বৈষ্ণবী, কুমারী, মহেশ্বরী, ব্রাহ্মী, বরাহী, ঐন্দ্রি ও চামুণ্ডা, এই আটটি রূপ ধারণ করেন। একে একত্রে মা কালীর অষ্টমাতৃকা রূপ বলা হয়।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…