আমাদের অনেকের বাড়িতেই পোষ্য থাকে। কেউ পাখি পোষে, কেউ খরগোশ। কেউ বা আবার কুকুর বলতে অজ্ঞান। বলাই বাহুল্য যারা পোষ্য রাখেন তারা রীতিমতো এদের সন্তান স্নেহ করেন। কিন্তু আমরা জানি মানুষের গড় আয়ুর থেকে এদের গড় আয়ু অনেক কম হয়। তাই কখনও কালের নিয়মে আবার কখনও অসুস্থতার জন্য এই সন্তানতুল্য পোষ্যদের এই পৃথিবী থেকে বিদায় জানাতে হয়।অনেকেই এই শোক সামলাতে পারেন না। কেউ কেউ বিয়ানক হতাশাগ্রস্তও হয়ে পড়েন। খুব কষ্ট হলেও সত্যি কথা হল এই ডিপ্রেশান থেকে বেরিয়ে আসাটাই আপনার এবং পরিবারের পক্ষে মঙ্গলের। আপনিও এই পোষ্য হারানোর মন খারাপ এখনও বয়ে চলেছেন? দেখে নিন কীভাবে বেরিয়ে আসবেন এই যন্ত্রণা থেকে।
প্রথমেই অন্য পোষ্য(Pets) নয়
ভাবুন তো পোষ্যর পরিবর্তে আপনি যখন অন্য কোনও প্রিয় মানুষকে হারান আপনি কি করেন? সেই কাছের মানুষের কোনও বিকল্প খোঁজেন? না। কারণ কাছের মানুষদের কোনও বিকল্প হয় না। তাই আপনার কুকুর (Dog) বা পাখি (Bird) মারা গেলে অন্তত ছয় মাস নতুন কোনও পোষ্য বাড়িতে আনবেন না। এতে ভালোর চেয়ে মন্দ বেশি হবে। সেই প্রাণীটিকে দেখে আপনার আরও বেশি করে আগের প্রাণীটির কথা মনে পড়বে। তাই কিছুদিন নিজেকে একটু সময় দিন। শোক সামলে উঠুন। তারপর অন্য পোষ্য আনার কথা ভাবুন।
শোক সামলে উঠুন
সময় হচ্ছে আমাদের মনের সেরা মলম।সারা জীবন কারো স্মৃতি আঁকড়ে থাকা সম্ভব নয়। তাই চেষ্টা করুন আস্তে আস্তে শোক কাটিয়ে ওঠার। পাহাড় বা সমুদ্র কোথাও ঘুরে আসুন।মনের জোর বাড়ায় এমন বই পড়ুন। ভালো গান শুনুন। সবার সঙ্গে আড্ডা দিন। বাড়িতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে বসে থাকবেন না।
স্মৃতি বেদনার নয়
আপনার পোষ্য যে যে জিনিস ব্যবহার করত, যেমন তার খাওয়ার থালা, চেন, খাঁচা ইত্যাদি দেখলে মন খারাপ হতে পারে। অনেকেই স্মৃতি ভুলতে সেগুলো ফেলে দেয় বা বেচে দেয়। সেটার প্রয়োজন নেই। বরং সেগুলো সামলে রাখুন। হতে পারে এগুলোর সঙ্গে আপনার অন্য স্মৃতি জড়িত আছে। অনেক দারুণ দারুণ গল্প আছে এগুলো নিয়ে। সেগুলো অবশ্যই মনে রাখবেন। বন্ধুদের বলুন কীভাবে চেন চিবিয়ে খেত আপনার শেরু বা কীভাবে ঠোঁট দিয়ে খাঁচার দরজা খুলে ফেলত আপনার কাকাতুয়া। এগুলো নিয়ে গল্প(Story) বা ব্লগ(Blog) লিখুন।পোষ্যর তোলা ছবি বা ভিডিও থাকলে সেগুলো দেখুন আর ভাবুন কীভাবে সে তার জীবদ্দশায় আপনার সঙ্গে সুখের মুহূর্ত কাটিয়েছে।যারা চলে যায় তারা এইভাবেই স্মৃতিচারণার মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকে।
সমাজসেবায় যুক্ত হন
অনেক সংস্থা আছে যারা অসহায় অনাথ পশু পাখিদের নিয়ে কাজ করে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন। তাদের হয়ে কাজ করুন। আপনার পোষ্যর জন্মদিন বা চলে যাওয়ার দিনটিকে মনে রেখে তাদের কিছু অর্থসাহায্য করুন। দেখবেন ভালো লাগবে এবং মনে শান্তিও পাবেন।
পোষ্য বদল নয়
আপনি যদি বরাবর কুকুর পুষে থাকেন তাহলে তার মৃত্যুতে অন্য জাতীয় পোষ্য আনবেন না। কুকুরের পরিবর্তে আচমকা একটা পাখি এলে আপনার ভালো লাগবে না। কুকুরের খাওয়া দাওয়া ও জীবন যাপন পাখির মতো নয়। এতে আপনার আরও বিরক্তি লাগবে এবং মনে হবে আগে যা ছিল তাই ভালো ছিল। ফলে নতুন যাকে এনেছেন তার প্রতি অবহেলা হবে। যেটাতে আপনি অভ্যস্ত সেটাই করুন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!