Breast Cancer

Cancer কে বলুন “Yes, I Can” ( keep positive attitude with Cancer)

Doyel Banerjee  |  Feb 3, 2019
Cancer কে বলুন “Yes, I Can” ( keep positive attitude with Cancer)

ক্যানসার (Cancer) ! এই শব্দটা শুনলেই বুক কেঁপে ওঠে সবার। একবার যদি গ্রাস করে এই মারণ রোগ, তাহলে নিস্তার নেই কারও। যিনি এই রোগে আক্রান্ত হন, তিনি তো বটেই অসম্ভব হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরাও। মৃত্যুর আশঙ্কা, সব কিছু হারানোর ভয় ধীরে ধীরে গ্রাস করে তাদেরকে।কিন্তু ক্যানসারকে জয় করেই ফিরে এসেছেন অনেকে। ফিরে এসেছেন মনীষা কোইরালা, যুবরাজ সিং, লিজা রে’র মতো তারকারা। তারা বলেছেন, হ্যাঁ, আমিও পারি (Yes, I can)। এখনও হাসিমুখে ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সোনালি বেন্দ্রে আর অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার স্ত্রী তাহিরা।জোর গলায় তারা ক্যানসারকে বলছেন হ্যাঁ আমরাও পারি (Yes, I can) তোমায় হারিয়ে দিতে। এই পজিটিভ (positive) ভাবনাই (positive attitude) অনেক সময় রোগীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে মৃত্যুর দ্বার থেকে। আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবস (World Cancer Day)। তাই আমরাও সেইসব মানুষদের বলতে চাই হ্যাঁ, আপনারাও পারেন। আপনার পরিচিত যদি কেউ এই মারণ রোগের কবলে পড়ে থাকেন, তাহলে এগিয়ে আসুন। তার মধ্যে জাগিয়ে তুলুন পজিটিভ এনার্জি (positive attitude)। আসুন আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবসে (world cancer day)  আমরা সবাই পৃথিবীকে করে তুলি ক্যানসারমুক্ত (Cancer free)।

বার বার রোগীকে দেখতে যাবেন না

আমরা জানি আপনি আপনার অসুস্থ আত্মীয় বা বন্ধুকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনি ঘন ঘন তাকে দেখতে যাবেন। ভেবে দেখুন তো উনি যখন অসুস্থ ছিলেন না, তখন কি আপনি এতবার তাকে দেখতে যেতেন? নিশ্চয়ই না। তাহলে এখন বার বার তাকে দেখতে গেলে বা তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ভাববেন যে তিনি ভয়ানক অসুস্থ। তাই আপনি বারবার খোঁজ নিচ্ছেন। এই অনুভূতি যেন রোগীর মনে না জাগে।

 

উদবুদ্ধ করার কোট পাঠান

মাঝে মাঝে আত্মীয়/বন্ধুকে সকালবেলা বা রাতে শুতে যাওয়ার আগে কিছু ইন্সপিরেশানাল কোটস পাঠান।অনেক মনিষী ও বিখ্যাত মানুষ আছেন যারা সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন ক্যানসার রোগীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য। সেইসব সুন্দর কথা বলে আপনিও অসুস্থ মানুষটির লড়াইয়ে পাশে দাঁড়ান।

সচেতনতা গড়ে তুলুন

হতে পারে আপনার পরিবারে বা বন্ধু মহলে কারও এই মারণ রোগ নেই। ইশ্বর তাদের সুস্থ রাখুন। কিন্তু এই পৃথিবীতে, গ্রামে গঞ্জে বহু মানুষ আছেন যারা প্রতিনিয়ত এই রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন। তাদের পাশে দাঁড়ান। তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলুন। তাদের বোঝান অন্যান্য রোগের মতো এটাও অসুখ। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করলে যেমন অন্য অসুখ সেরে যায়, ঠিক তেমনই ক্যানসারও সেরে যায়।

রোগীর আত্মীয় ও বন্ধুদের বোঝান

আপনি হয়তো সব সময় সেই অসুস্থ মানুষটিকে সঙ্গ দিতে পারছেন না। কিন্তু যাদের সঙ্গে তিনি বেশি সময় কাটাচ্ছেন, তাদেরও কাউন্সিলিং প্রয়োজন। তারা যদি বাড়িতে সব সময় এই রোগ নিয়ে আলোচনা করেন বা রোগীর সামনে শুকনো মুখে ঘুরে বেড়ান, তাহলে তার প্রভাব রোগীর মনের উপর পড়বে। শুধু তাই নয়, যেহেতু এই চিকিৎসা যথেষ্ট ব্যয়বহুল তাই তিনি ভাববেন, পরিবারের এই সঙ্কটের জন্য তিনিই দায়ী।

পজিটিভ থিঙ্কিং

বিখ্যাত মার্কিন লেখক ও লেকচারার ডেল কার্নেগি বলেছেন, মানুষের মন ও শরীরের উপর পজিটিভ চিন্তার সুপ্রভাব পড়ে। তাই অসুস্থ রোগীকে বার বার এটা মনে না করিয়ে দিয়ে যে তিনি অসুস্থ, তাকে স্বাভাবিক ও সুস্থ চিন্তা করতে সাহায্য করুন। অন্যান্য সুস্থ মানুষদের মতোই তাকে সব কাজকর্ম করতে উৎসাহ দিন।অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রে যেমন বই পড়ার মাধ্যমে পজিটিভ এনার্জি পেয়েছেন। ঠিক সেরকমই আপনি ক্যানসার রোগীকে ভালো বই পড়তে দিন। তাকে নিয়ে সিনেমা ও জলসায় যান। তাকে ক্যানসার বিজয়ীদের গল্প শোনান। সর্বোপরি তাকে বোঝান জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত মূল্যবান। তাই ভবিষ্যতের কথা না ভেবে বর্তমান মুহূর্তকে উপভোগ কড়া উচিৎ।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!