Self Help

নাইট শিফটের সমস্যা ও সমাধান (Problems and solutions of Night shift)

Doyel Banerjee  |  Dec 21, 2018
নাইট শিফটের সমস্যা ও সমাধান (Problems and solutions of Night shift)

আগামীকাল সিমির প্রিয় বান্ধবীর বিয়ে। অন্য বান্ধবীদের সেই নিয়ে অনেক প্ল্যান, অনেক পরিকল্পনা। বেচারি সিমি কোনও কিছুতেই থাকতে পারছেনা। সে এক নামি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। এখন সিমির নাইট শিফট চলছে। সারা রাত খাটনির পর সকালে দু চোখ জুড়ে আসছে ঘুমে। তখন আর বন্ধুর বিয়ে কি আর তার শপিং কি, সব মাথা থেকে উধাও। সিমির মতো সমস্যা অনেকেরই আছে।কেন হয় এই সমস্যা? আসুন দেখে নিই।

আরো পড়ুনঃ শরীর চাঙ্গা রাখতে ঠিক করুন স্লিপ পজিশন

নাইট শিফটের সমস্যা (Problems of Night Shift)

রাতে (night) ঘুমনোটা(sleep) আমাদের কাছে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। সেখানে হঠাৎ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে অসুবিধে হবেই।

দীর্ঘদিন নাইট শিফট (night shift) করলে রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে।হতে পারে হার্টের সমস্যাও।

মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে রাতের শিফটের (shift) ফলে হরমোন (hormone) জনিত রোগ দেখা দিতে পারে। রাত জাগলে হরমোনের গতিবিধি পাল্টে যায়। যার ফলস্বরূপ দেখা দিতে পারে ডায়বেটিস (diabetes) ও ওবেসিটি (obesity)।

যেহেতু আপনি রাতে অফিসে থাকেন তাই বেশিরভাগ সময় রাতের খাবার বাইরেই খেতে হয়। এর থেকে হতে পারে গ্যাস, অম্বলের মতো পেটের সমস্যা।অনেকেই নিজেকে জোর করে জাগিয়ে রাখার জন্য অনেকবার চা, কফি বা ধূম্রপান করেন। এর কুফল হয় দীর্ঘস্থায়ী।

যারা রাতে কাজ করেন তারা স্বভাবতই দিনে বেরনোর শক্তি ও আগ্রহ দুটোই হারিয়ে ফেলেন। দিনের আলোয় (light) বাইরে না বেরনোর ফলে তাদের শরীরে ভিটামিন ডির (vitamin D) অভাব দেখা দেয়।তাছাড়াও রাতে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা এসির মধ্যে থাকাটাও ক্ষতিকর।

আপনি দিনের পর দিনে রাতে বাড়ি থাকছেন না। পারিবারিক অনুষ্ঠানে যেতে পারছেন না বা নিজের বিছানায় নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছেন না এটা ভেবে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভোগেন।

 সমাধান (solutions)

দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমোলে তবেই আপনি রাতে কাজ করার এনার্জি পাবেন।

যেহেতু আপনি রাতে কম্পিউটারে কাজ করেন দিনের বেলা যতটা সম্ভব ল্যাপটপ, মোবাইল বা অন্যান্য যন্ত্র এড়িয়ে চলুন।

 

যখনই সময় পাবেন কাছেপিঠে বেরিয়ে আসুন। পরিবার ও সন্তানকে বেশি করে সময় দিন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারুন। অফিসেও সবার সঙ্গে মাঝে মধ্যে হাল্কা হাসি ঠাট্টা করুন। আইপ্যাড বা ফোনে গান ভরে নিয়ে যান। কাজ করতে করতে শুনতে পারেন।

প্রচুর পরিমাণে জলপান করুন। শরীরকে যথা সম্ভব ভিতর থেকে আর্দ্র রাখুন। বাড়ি থেকে অল্প তেল মশলায় রাঁধা খাবার নিয়ে অফিস যান। কফির বদলে গ্রিন টি খান। সিগারেট কম পান করুন।

চল্লিশ পেরলে নাইট শিফটে না বলুন।

 

একভাবে চেয়ারে বসে টানা কাজ করে যাবেন না। মাঝে মাঝে বসার পোজিশান পাল্টে দিন। এক আধ ঘণ্টা পর পর অফিস করিডরে হেঁটে আসুন। পারলে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করে নিন। চোখে জলের ঝাপটা দিন।

যদি শনি রবিবার ছুটি থাকে তাহলে কোনও ডান্স (dance) বা যোগা (Yoga) ক্লাসে ভর্তি হয়ে যান। বা এমন কিছু শিখুন যা আপনার ভালো লাগে। এতে পাঁচজনের সঙ্গে আলাপ পরিচয় বাড়বে এবং মনও ভালো থাকবে।

ছবি সৌজন্যঃ পেক্সেল ডট কম

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

 

Read More From Self Help