আজ লেখাই শুরু করব দুটো গল্প দিয়ে।
প্রথম গল্প – অসীমার স্বামী প্রতিদিন বাড়ি ফিরে অসীমাকে মারধর করে। কখনও অসীমার চোখের নীচে কালসিটে পড়ে যায়। কখনও অসীমা শরীরে ব্যথা নিয়েই ঘুমাতে চলে যায়। বন্ধুদের এড়াতে মেকআপ দিয়ে মারের দাগ ঢেকে রাখে। কিন্তু মার খেতে খেতে একদিন অসীমাও প্রতিবাদ করে। ওর বর ওকে একটা মারলে, অসীমা তাকে আরও একটা চর মারে। ওর স্বামী হতভম্ব হয়ে যায়। এরপর কাচের ফুলদানি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তারপর চুপ করে বসে থাকে অসীমা।
দ্বিতীয় গল্প – প্রিয়াঙ্কা ও মনোজিতের সম্পর্ক দেখে সবাই খুব খুশি। সত্যি ওদের মতো মিষ্টি কাপল আর হয় না। মনোজিত প্রিয়াঙ্কার খেয়াল রাখে, যা প্রিয়াঙ্কার পরিবারের একমাত্র দাবি। এদিকে মনোজিতেরও পাশে থাকার চেষ্টা করে প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু ওদের ভিতরে কী চলে, তা প্রিয়াঙ্কাই জানে। প্রিয়াঙ্কার কম রোজগার নিয়ে প্রতিনিয়ত খোঁটা শুনতে হয় তাকে। দেরি করে বাড়ি ফিরলেই প্রশ্নের পর প্রশ্ন করতে থাকে মনোজিত। নিজের কোনও ইচ্ছের কথা জানালেই প্রিয়াঙ্কার উপর চিৎকার করে সে। প্রিয়াঙ্কা প্রতিবাদ করলেও একইরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা কাউকে কিছু বলে না। অথচ, ও জানে ও ভাল নেই। বন্ধুদের কিছু বলতে গেলেই বলে, ওরকম সব সম্পর্কেই হয়। কিন্তু প্রিয়াঙ্কাই একমাত্র জানে, তার উপর যা চলছে তা অত্যাচারের থেকে কম কিছু নয় (voice against mental torture) । এবার আপনি বলুন আপনি কী মনে করেন?
অত্যাচার শুধুই শারীরিক হয় তা নয়
আপনি যদি এই কথা মনে করেন, কোনও পুরুষ বা মহিলা আপনাকে মারধর করলেই একমাত্র সেটি অত্যাচার বা নিগ্রহ তা কিন্তু নয়। শারীরিক অত্যাচারের কোনও ক্ষমা হয় না। তাই সেটা মেনে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু শারীরিক অত্যাচারেই অত্যাচার শেষ হয়ে যায় না। মানসিক অত্যাচারও (voice against mental torture) এক ধরনের অত্যাচার।
আপনি মানসিক ভাবে অত্যাচারিত?
আপনার সম্পর্কে কি বেশিরভাগ সময়েই অশান্তি হয়? আপনার উপর নানা রকম ভাবে মানসিক চাপ তৈরি করা হয়। তাহলে আপনি নিজের অবস্থান বোঝার চেষ্টা করুন। ফিজিকাল অ্যাবিউসের পাশাপাশি ভার্বাল অ্য়াবিউসও কিন্তু অপরাধ। অর্থাৎ,আপনাকে যদি কেউ খারাপ কথা বলে বা গালিগালাজ করে সেটাও অপরাধ। এইসব ঘটনা আপনার উপর মানসিক চাপ তৈরি করলে বা কোনওভাবে মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেললে ভেবে দেখুন।
মানসিক অত্যাচার সহ্য করবেন না
আমরা বেশিরভাগ সময়েই মানসিক স্বাস্থ্যকে অবজ্ঞা করি। কিন্তু ভাবি না মানসিক স্বাস্থ্য়ের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। মানসিক স্বাস্থ্যে বিঘ্ন ঘটলে শুধু মস্তিষ্কে চাপ পড়ে তাই নয়, শরীরেও নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর সেটা আপনাকে বুঝতেই হবে। তাই আপনি যদি আপনার পার্টনারের দ্বারা কোনওভাবে মানসিক অত্যাচারের শিকার (voice against mental torture) হন, তবে চুপ করে থাকবেন না। প্রতিবাদ করবেন। প্রয়োজনে আপনাকে বুঝতে হবে সেই সম্পর্ক আদৌ আপনার জন্য ঠিক কি না, সেই বুঝেই আপনাকে পদক্ষেপ করতে হবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!