
আমি একটু ঘুমকাতুরে। আর সেই নিয়েই হয়েছে যত জ্বালা! রোজ সকালে ওঠো রে, স্নান করে রেডি হয়ে অফিস যাও রে, সারাদিন অফিসে কাজ করো রে, তারপর ক্লান্ত হয়ে ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে ৭টার জায়গায় রাত ১০টায় বাড়ি ঢুকে আবার পরদিন সকাল ৭টায় ওঠো রে… আর পারি না! তবে এটা শুধু আমার না, মোটামুটি যারা বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করি তাঁদের সবারই রুটিন। আর সেজন্যই প্রতিদিন সকালে ঘুম অ্যালারমের আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গার সময়ে যে যে ভাবনাগুলো মাথায় আসে সেগুলো লিখলাম (খুবই দুঃখের সাথে)। পড়ে দেখুন, আপনাদের সাথে মেলে কিনা – (random thoughts every person gets who loves to sleep)
আপনারও কি এমনটাই মনে হয়?
১। কি??? ৮টা বাজে? আর পাঁচ মিনিট শুই… পাঁচ মিনিটে আর কি এসে যায়?
২। আজ আবার অফিসে যেতে হবে?
৩। ধুর বাবা! রোজ সকালবেলা ওঠা যায় নাকি?
৪। আচ্ছা, সকাল ৯টায় অফিস আরম্ভ হবে, এই নিয়মটা ঠিক কে বানিয়েছিল? তাকে পেলে একহাত নিতাম!
৫। দুপুরে কেন অফিস আরম্ভ হয়না? সক্কাল সক্কাল না গিয়ে দুপুর নাগাদ গেলেও তো হয়!
৬। ধুর! চাকরিটাই ছেড়ে দেবো। কিন্তু যা মন্দার বাজার!
৭। নাইট শিফটের কোনও চাকরি খুঁজবো?
৮। আচ্ছা, যেদিন অফিস থাকে সেদিনই কেন ঘুমটা ভাঙ্গে না? আর ছুটির দিন সাত সকালে ঘুমটা ভেঙে যায়!
৯। কাজের দিদি কি বেল বাজালো? ধুর বাজালে বাজালো… ঘুমের ঘোরে শুনেছি হয়তো!
১০। সাড়ে আটটা বাজে? হে ভগবান! পাঁচ মিনিট আর তিরিশ মিনিটের মধ্যে তফাৎ বুঝিনা কেন? আমাকে তো অফিস যাওয়ার আগে ওই প্রজেক্টটাতেও কাজ করতে হবে!
১১। এখনও যদি ঘুম থেকে না উঠি, রেডি হতে পারবো না।
১২। ইশ কতো দেরি হয়ে গেল। এরপর আরও দেরি করলে ট্র্যাফিক জ্যামে ফেঁসে যাবো।
১৩। আজ কি ছুটি নিয়ে নেব?
১৪। আমার সত্যিই খুব ক্লান্ত লাগছে। আজকে বরং ছুটি নিয়ে নি। বসকে একটা মেসেজ করে দি যে শরীর ভালো নেই।
১৫। গত মাসেও বলেছি যে শরীর ভালো নেই। এবারে বোধয় চাকরি থেকে বার করে দেবে আমাকে।
১৬। আর কি বাহানা দেওয়া যায়?
১৭। বসকে বরং বলি যে বাড়িতে কোনও ইমারজেন্সি সিচুয়েশন। এটাই বলে ছুটি নিয়ে নি। অফিস যেতে ইচ্ছে করছে না আজ আর।
১৮। আচ্ছা আমার আর ঠিক কটা ছুটি আছে? উইদাউট পে হয়ে যাবে না তো আর ছুটি নিলে? আমি তো আবার বেড়াতে যাবো বলেও ছুটি অ্যাপ্লাই করেছি।
১৯। এক কাজ করি, বাড়ি থেকে কাজ করবো বলি।
২০। উফ! আবার জামাকাপড় ইস্ত্রি করতে হবে। ব্রেকফাস্ট বানাতে হবে। ব্যাগ গোছাতে হবে। তার আগে স্নান করে রেডি হতে হবে। হে ভগবান! প্রতিদিন সকালে কেন এতো কাজ করতে হয়? আমার পক্ষে কি রোজ এতকিছু করা সম্ভব? তাও আবার সকাল সকাল?
২১। কিন্তু যদি বাড়ি থেকে কাজ করি, তাহলে অন্তত এখনি স্নান করতে হবে না। আর জামা কাপড় ইস্ত্রি করারও কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমি তো গত সপ্তাহেও বাড়ি থেকে কাজ করেছি।
২২। কবে যে আমার জীবনটা একটু সহজ হবে!
২৩। সব এই পাপী পেটের জন্য! ওইটুকু টাকার জন্য এতো খাটনি!
২৪। কাজটা আমি বাড়ি থেকে করি বা অফিসে বসে, কাজটা হওয়া নিয়ে কথা! কিন্তু সেটা ওপরওয়ালাকে কে বোঝাবে?
২৫। নাহ! অনেক হয়েছে, এবার উঠি, স্নান করে রেডি হয়ে অফিস যাই! এমনিতেই সকালের ঘুমটা নষ্ট হল…
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!
Read More From লাইফস্টাইল
এই ৬টি ঠোঁটের অধিকারিণীরা এইসব গুণের মানুষ হন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA