নিয়মিত অয়েল মাসাজ করা, চুল পরিষ্কার রাখা, প্যাক-মাস্ক ইত্যাদি লাগানো, হয়তো পার্লারে গিয়ে হেয়ার স্পা করা, এগুলোকেই আপনি চুলের যত্নের রুটিনে ফেলেন, তাই তো? কিন্তু আমরা যদি বলি যে, শুধু এগুলো নয়। চুলের যত্নের জন্য আপনাকে কতগুলো বদভ্যেসও ত্যাগ করতে হবে, নইলে যতই যত্ন নিন, চুল পড়া কিংবা ডগা ফাটার (real reasons for split ends in hair) মতো সমস্যা পিছু ছাড়বে না, তা হলে? অবাক হচ্ছেন? এখানে আমরা পাঁচটি হেয়ার হ্যাবিটস-এর কথা বলব, যেগুলো অনেকসময়ই চুলের নানা সমস্যার পিছনে মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেখে নিন, কী-কী বদভ্যেস আর আপনারও সেগুলো আছে কিনা…
স্প্লিট এন্ডস বা চুলের ডগা ফাটার কারণ
১। বার বার চুলে হাত বোলালে কিন্তু স্প্লিট এন্ডস হতে পারে। ভেবে দেখুন, এই অভ্যেসটা আমাদের অনেকেরই আছে। চুলে হাত বোলানো, বারবার ছুঁয়ে দেখা, মাথার তালু চুলকানো, কোনও কারণ ছাড়াই চুলে বিলি কাটা ইত্যাদি বদভ্যেসের ফলেও চুলের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসলে বারবার চুলে হাত দিলে চুল থেকে স্বাভাবিক ময়শ্চার কমে যায়। ফলে চুল প্রাণহীন হয়ে পড়ে এবং চুল পড়া থেকে শুরু করে ডগা ফাটার (real reasons for split ends in hair) মতো সমস্যা তৈরি হয়।
২। বেশি টাইট করে কখনও চুল বাঁধবেন না। আর সেভাবে চুল বেঁধে ভুলক্রমেও শুতে যাবেন না। আগেকার দিনে রাতে মেয়েদের মাথায় এক খাবলা তেল লাগিয়ে টেনে বিনুনি করে ঘুমোতে পাঠানোর যে রেওয়াজ ছিল, সেটি একেবারে ভুলে যান। এতে কপাল চওড়া হতে শুরু তো করেই, চুলের ডগাও আলগা হয়ে গিয়ে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।
৩। স্নান শেষ হওয়ার পর ভেজা চুল আলতো হাতে নরম তোয়ালে দিয়ে নিংড়ে নিতে পারেন বটে, কিন্তু দোহাই ঘষে-ঘষে মুছতে যাবেন না। ভেজা চুল সবচেয়ে বেশি নরম হয় আর ভাঙেও (real reasons for split ends in hair) তাড়াতাড়ি। তাই হাওয়ায় শুকোতে দিন। জোর করে তাড়াতাড়ি শুকোতে চাইবেন না। খুব জরুরি হলে ড্রায়ারে ঠান্ডা হাওয়া চালিয়ে শুকিয়ে নিতে পারেন।
বার বার চুলে হাত দেওয়াও কিন্তু স্প্লিট এন্ডসের কারণ হতে পারে (ছবি – পেক্সেলস ডট কম)
৪। যাঁদের চুলের লেংথ একটু বড়, তাঁদের এই বদভ্যেসটি বেশি আছে। অবশ্য ছোটবেলা থেকেই হয়তো আর পাঁচজন বাঙালি মায়ের মতো আপনার মা-ও শিখিয়েছেন যে, চুল লম্বা হলে তা খুলে রাখতে নেই, তাতে চুলের বারোটা বাজবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কথাটা খানিকটা সত্যি হলেও, পুরোটা নয়। বাইরে বেরনোর সময় চুল বেঁধে বেরোন, তাতে কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু বাড়িতে ফিরে অতি অবশ্যই তা খুলে চুলে হাওয়া লাগতে দিন। আপনাকে সারা দিন হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে দিলে যেমন ভাল লাগবে না, সারা দিন বাঁধা থাকতে আপনার চুলেরও ভাল লাগে না। আর এভাবে বেশিক্ষণ বেঁধে রাখলে চুল বাঁধার জায়গা থেকে আলগা হতে শুরু করে এবং ভাঙতে শুরু করে। তাই কয়েকদিন পরপর চুল বাঁধার স্টাইলও পাল্টানো উচিত।
৫। যদি কেউ আপনাকে বলে থাকেন যে, রোজ চুলে শ্যাম্পু করলে আপনার চুল ভাল থাকবে, তার সঙ্গে জন্মের মতো আগেই আড়ি করে দিন দেখি। কারণ, এর ফলে চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায় এবং চুল আরও বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। তা ছাড়া প্রতিদিন শ্যাম্পু করা মানে তো রোজ একগাদা করে আর্টিফিশিয়াল প্রোডাক্ট চুলে লাগানো। আর এতে স্প্লিট এন্ডস (real reasons for split ends in hair) হওয়ার আশঙ্কাও বহুগুণ বেড়ে যায়।
মূল ছবি সৌজন্য – পেক্সেলস ডট কম
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!
Read More From Care
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA