বউভাতে কোন পোশাকে সাজছে বর-কনে? গোবেচারা মুখ করে এই প্রশ্নটা করলেই কিন্তু মরবেন! কারণ, এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত! বাবা-কাকারা হয়তো বলবেন, বাঙালিরা হল ট্র্যাডিশনাল। তাই ট্র্যাডিশনাল পোশাকই পরা উচিত। এদিকে এই শুনে মা হয়তো প্রতিবাদ করে উঠবেন। বলবেন, “আরে ছেলে-মেয়েরা বড় হয়েছে। ওরা যা পরতে চায়, তাই পরতে দাও না!” এদিকে দিদি-দাদাদের আর এক মত, তারা একটু বেশিই ট্রেন্ডি। এত মতামত হজম করার পরে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটা যে হিমালয়ে ওঠার মতোই কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো বলি, কারও কথা না শুনতে হবে না, বরং নিজেই একটা কিছু ঠিক করে ফেলুন! যদি সাহায্য চাই, তা হলে আমরা আছি তো!
আরও পড়ুনঃ বাঙালি বিয়ের নানা নিয়ম কানুন
এই টিপসগুলি বউভাতের পোশাক নির্বাচন করতে আপনাকে সাহায্য করবে (Tips For Choosing A Reception Outfit):
বিয়ের দিন বর-বউ দু’জনেই এত টেনশনে থাকেন যে, লুকের দিকে সেভাবে খেয়াল করার সুযোগই পান না। আর এটা যখন বাঙালি বিয়ে, তখন ছকে বাঁধা নিয়ম মেনে মেয়েদের বেনারসি, আর ছেলেদের ধুতি-পাঞ্জাবি পরা ছাড়া যে আর কোনও উপায় নেই! তবে বউভাত (Reception) হল গিয়ে বিয়ের ফাইনাল রাউন্ড। এদিন যদি একটু নিজেকে ফ্যাশনেবল করে তুলতে না পারেন, তা হলে মাধ্যমিকে লেটার না পাওয়ার মতোই কষ্টে ভুগতে হবে সারা জীবন!
১। কোন সময় বিয়ে করছেন, সেটা আগে দেখে নিন। গরম কাল হলে এক রকম, শীত কালে বিয়ে করলে অন্য ধরনের পোশাক বাছুন। অনেকেই বলবেন যে, বর-কনে তো বউভাতে স্টেজেই দাঁড়িয়ে থাকবে। তো তাতে আবার গরম-শীত কি? আর আজকাল তো বেশিরভাগ বিয়েবাড়িই এয়ার-কন্ডিশনড হয়। সেক্ষেত্রে যে পোশাকই পরুন না কেন, গরমে ঘামার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তা বটে, কিন্তু বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই হয়ে সাজতে পারলে সমস্যাও তো কিছু নেই। গরমকালে যদি কনে লিনেনের বেনারসি পরেন আর শীতকালে ভারী সিল্কের কাঞ্জিভরম, তা হলে ভাল বই মন্দ লাগবে না।
২। বউভাতের (Reception) ভেনু, এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাবে রিসেপশন হলে আপনি থাকবেন খোলা আকাশের নীচে আর কোনও ম্যারেজ হলে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে থাকবেন বদ্ধ ঘরে। এবার ফারাকটা বুঝতে পারছেন তো? শুধু পোশাকই নয়, এই ভেনুর ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে মেকআপ-হেয়ারস্টাইলের সময়ও।
৩। পোশাকের মতোই সমান নজর দিতে হবে জুতোর দিকে। এক্ষেত্রে একটাই কথা মাথায় রাখবেন, আরামদায়ক! টানা তিন-চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে লোকের সঙ্গে হাত মেলাতে আর প্রণাম করতে গেলে স্টাইলের চেয়ে আরামটাই বেশি মনে রাখা দরকার।
৪। বিয়ে-বউভাতের (Reception) পোশাক সাধারণত তৈরি হয়ে যায় অনেকদিন আগে থেকেই। এদিকে বিয়ে উপলক্ষে সকলেই একটু রোগা হওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। ফলে ওজন একটু-আধটু এদিকওদিক হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই বউভাতের দিনসাতেক আগে একবার ট্রায়াল দিয়ে দেখে নিন পোশাকগুলো। যাতে দরকার পড়লে অল্টার করে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
৫। বেমানান কিছু পরবেন না (bengali wedding reception looks)। আপনি মোটা হলে দীপিকা পাড়ুকোন সাজার চেষ্টা করবেন না। ঠিক তেমনই পাতি বাঙালি ছেলেরা সাধারণ মাপের চেহারা নিয়ে সলমন খানের মতো বুক খোলা শেরওয়ানিতে চমক দেওয়ার চেষ্টা করবেন না!
আরও পড়ুনঃ হানিমুনে কী ধরনের ড্রেস নেবেন
৬। বর-কনে রং মেলানো পোশাক বা নিদেনপক্ষে মানানসই রংয়ের পোশাক পরুন। আপনি লাল রংয়ের শাড়ি আর আপনার বর নীল শেরওয়ানি, পর অ্যালবামের পাতা উল্টাতে কি ভাল লাগবে, বলুন?
৭। ম্যাচিং রংয়ের মতোই ম্যাচিং পোশাক বাছুন দুজনে। মানে, কনে ট্র্যাডিশনাল হলে, বরও সনাতনী সাজেই সাজুন। একজন বাঙালি আটপৌরে বেনারসি, অন্যজন খাঁটি সাহেবি কায়দায় থ্রি-পিস সুট, এই চালু ভুলটা প্লিজ করবেন না।
৮। কনেরা শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়না পরুন। বিয়েতে যা-যা গয়না পেয়েছেন, সব সেদিনই পরে ফেলতে হবে, তার কোনও মানে নেই। যেটুকু পরলে সাজ হয় নজড়কাড়া, অথচ আপনাকে দেখতে সোনার দোকানের ডিসপ্লে ইউনিটের মতো লাগে না, সেটুকুই পরুন। পরে আরও অনেক অনুষ্ঠান পাবেন আপনার গয়নার কালেকশন দেখানোর জন্য। বরদের বলছি, জোর করে brooch বা মোটা মালা পরতে যাবেন না। বাঙালি পোশাক পরলে গলায় হালকা চেন, সোনার বোতাম আর হাতে রিস্টলেট, এটুকুই যথেষ্ট। ওয়েস্টার্ন পরলে নজর দিন কাফলিংসের দিকে।
কনের পোশাকের রকমফের (Reception Outfit Ideas for Bengali Bride)
১। সনাতনী শাড়ি (Traditional Saree):
সনাতনী বউয়ের বেশে যে-কোনও বাঙালি মেয়েকেই অপূর্ব দেখতে লাগে। তাই বউভাতের দিন আটপৌরে স্টাইলে শাড়ি পরলে মন্দ লাগবে না। এক্ষেত্রে অনেকেরই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত বেনারসি। ভারী ব্রোকেড এবং জরির কাজ করা বেনারসি শাড়ি কিন্তু এককথায় রাজকীয়। বেনারসির রং বাছুন নিজের স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই করে। লাল-মেরুন-গোলাপি, এই তিনটে রং একেবারেই নয়, ওগুলো তোলা থাক বিয়ের জন্য। প্যাস্টেল শেডের বেনারসি আজকাল খুব জনপ্রিয়। আছে জর্জেট, শিফন, লিনেন, খাদি সিল্ক, নানা মেটেরিয়ালের তৈরি বেনারসি। বেনারসির কাজও হতে পারে নানা রকম, কুরওয়া, জারদৌসি ইত্যাদি (reception look for bride)।
POPxo Recommends: EGYPTIAN BLUE PURE KATAN SILK BANARASI HANDLOOM SAREE
বেনারসি পরতে যদি মন না চায়, তা হলে কাঞ্জিভরম, গাদওয়াল, পৈঠানি, ধর্মাভরম, বোমকাই, পটোলা…ভারতীয় নানা প্রদেশের হরেক রকম শাড়ির সম্ভার আছে আপনাদের অপেক্ষায়। বেছে নিন এগুলোর মধ্যে থেকেই। শাড়ি পরুন আটপৌরে ধরনে। দেখবেন, কী সুন্দর লাগবে আপনাকে!
POPxo Recommends: Handloom Pure Silk Classic Korvai Kanjivaram Saree
২। লেহঙ্গা (Reception Lehenga):
বউভাতে (reception) কি লেহঙ্গা পরার কথা ভাবছেন? পরতেই পারেন। তবে লেহঙ্গার কিন্তু অনেক রকম ধরন হয়। এই ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন কোনও স্টাইলিস্ট বা ফ্যাশন ডিজাইনার। লেহঙ্গার চোলির অনেক রকম ভ্যারিয়েশন হয়। ব্লাউজ স্টাইলের চোলি, কুর্তি স্টাইলের চোলি, শার্ট চোলি, আনারকলি জ্যাকেট চোলি, অফ শোল্ডার চোলি, স্লিভলেস চোলি…আরও হরেক কিসিমের চোলি আছে বাজারে। ইনস্টাগ্রাম বা পিনটারেস্টে চেক করে নিন চোলির ফ্যাশন। তারপর বেছে নিন আপনার পছন্দের দু-একটা ডিজাইন। যখন ডিজাইন ফাইনাল হয়ে যাবে তারপর দোকানে গিয়ে সেই অপশন ট্রাই করে দেখে নিন। লেহঙ্গার দোপাট্টা নেওয়ার স্টাইলেও আনতে পারেন বৈচিত্র। সামনে থেকে দোপাট্টাটা ঝুলিয়ে নিয়ে দুই কাঁধে পিন করে নিন। বা ট্রাডিশনাল স্টাইলে ঘোমটার মতো করেও দোপাট্টা নেওয়া যেতে পারে। আবার এক কাঁধে দোপাট্টা ফেলে রাখলেও কিন্তু মন্দ লাগবে না (reception look for bride)।
তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন। লেহঙ্গা কিন্তু খুব মোটাদের মানায় না। বিশেষত, যাঁদের শরীরের মাঝখানের অংশ ভারী। স্রেফ স্টাইল করবেন বলে বা জোর করে ফ্যাশনেবল সাজার জন্য লেহঙ্গা পরার কোনও দরকার নেই।
POPxo Recommends: Pale Pink Embroidered Lehenga Set
৩। ডিজাইনার শাড়ি (Designer Saree):
বউভাতের লুকে একটু চমক আনতে একটু অন্য়রকম শাড়ি ট্রাই করে দেখতে পারেন (reception look for bride)। তবে এক্ষেত্রে খরচটা যে একটু বেশির দিকে যাবে, সেটা আগে থেকেই মাথায় রাখবেন। ফ্যাশন ডিজাইনার, তা তিনি মাঝারি মানের হন বা নামী, তাঁর তৈরি পোশাক দেখতে যেমন অন্য ধরনের, দামটাও একেবারেই অন্য ধরনের! তবে বাজেট বেশি থাকলে সব্য়সাচী-তরুণ তহলইয়ানি-মনীশ মলহোত্রর শাড়ি ট্রাই করতেই পারেন। এ ছাড়া পার্ক স্ট্রিটের বিভিন্ন শাড়ির দোকানেও পেয়ে যাবেন ডিজাইনার শাড়ি।
এক্ষেত্রে আপনি লুক নিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন। আজকাল ফিউশন লুক খুব চলছে। তাই একটু সাহসী হতে মন চাইলে বউভাতের দিন ধুতির মতো করে শাড়ি পরতে পারেন। কিংবা সব্য়সাচীর উদয়পুর রয়্যালটি ইন্সপায়ার্ড কালেকশনের মতো সাজতে পারেন মহারানি গায়ত্রী দেবীর স্টাইলেও। বৈচিত্র আনুন গয়না পরার ক্ষেত্রেও। চালু সোনার গয়না না পরে, পোলকি-কুন্দন-মিনাকারি-হিরের গয়নায় সেজে উঠুন অন্যরকম ভাবে। আজকাল অনেক আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারি পাওয়া যায়, যা রংঢংয়ে আসলকেও হার মানাবে! পরতে পারেন সেগুলোও।
POPxo Recommends: SILVER GOLD PLATED FLORAL PEACOCK TEMPLE NECKLACE
৪। গাউন (Reception Gown):
বউভাতে (reception) গাউন পরার ইচ্ছে ? তা হলে কিন্তু নিজের ফিগারের দিকে নজর রাখুন! ছিপছিপে চেহারা না হলে কিন্তু এই আপাদমস্তক পশ্চিমি পোশাক একেবারেই মানাবে না। এই ধরনের পোশাক পছন্দের জন্যও আপনাকে সেই ফ্যাশন ডিজাইনার বা নিদেনপক্ষে ডিজাইনার শপের দ্বারস্থ হতে হবে। নানা ডিজাইনের গাউন পাওয়া যায় বাজারে। নজর রাখুন গাউনের ফ্যাব্রিক, কাট এবং রংয়ের উপর। ট্রায়াল অ্যান্ড এররের মধ্যে দিয়ে বেছে নিন আপনার চেহারার সঙ্গে মানানসই গাউনটি (reception look for bride)। আর গাউনের রং হতে হবে একটু প্য়াস্টেল ঘেঁষা। সাদা, কালো, লাল, গাঢ় নীল, বেগুনি, কমলা, ম্যাজেন্টা…এই রংগুলি তালিকা থেকে এক্কেবারে বাদ দিন।
মাথায় রাখবেন গাউনের সঙ্গে কিন্তু ভারী গয়না একেবারেই চলবে না। স্লিক গয়না এবং ভারী মেকআপ-হেয়ারস্টাইল, এই কম্বিনেশন বরং চলতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার মেকআপ আর্টিস্টকে বলুন, পুরো লুকটা আগে একবার ট্রায়াল দিয়ে দিতে।
বরের পোশাকের নানা রকম (Reception Outfit Ideas for Bengali Groom)
১। ধুতি-পাঞ্জাবি (Dhuti Punjabi):
যে যা-ই বলুক, বাঙালি কনেকে যেমন বিয়ের দিন লাল টুকটুকে বেনারসিতে সবচেয়ে ভাল লাগে, বাঙাল বরকেও বিয়ে-বউভাতে সবচেয়ে ভাল লাগে ধুতি-পাঞ্জাবিতে! আর আজকাল পাঞ্জাবির ফ্যাশনে কত বৈচিত্র বলুন তো? গুরু পাঞ্জাবি, গোল গলা পাঞ্জাবি, আচকান, সাইড গলা পাঞ্জাবি, আদ্দির গিলে করা পাঞ্জাবি, জারদৌসি কাজের পাঞ্জাবি…নাঃ, বররাও চাইলে কিন্তু দিব্যি চোখ ধাঁধিয়ে দিতে পারেন! তার সঙ্গে ধুতির বাহারও কি কম? সাধারণ ধুতির পাশাপাশি নানা রংয়ের ধুতি, ধাক্কা পাড় ধুতি, স্কার্ট বর্ডারের ধুতি, কাজ করা ধুতি, ব্লক প্রিন্টেড ধুতি… কোনটা ছেড়ে যে কোনও পরবেন, তা-ই ভেবে উঠতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ, ধুতি এবং পাঞ্জাবি, দুটো নিয়েই চমক দিতে যাবেন না। ওটা ফ্যাশন ফ্য পা! কোনও একটায় জোর দিন, অন্যটা থাকুন হানমোনিয়মের সঙ্গে তবলা হিসেবে, স্রেফ সঙ্গতে! এসবের সঙ্গে মথুরামোহম স্টাইলে ঘাড়ে রাখতে পারেন পাতলা ভাঁজ করা উত্তরীয়ও, কিন্তু জমিদারি মেজাজ বজায় রাখার মতো সাহস থাকলে, তবেই (reception dress for bengali groom)!
ধুতি-পাঞ্জাবি পরলে পায়ে কিন্তু কোলাপুরি পরতেই হবে। কোলাপুরি স্টাইলে শুঁড়ওয়ালা নাগরাও পরতে পারেন। তবে জুতোয় ভাল করে তেল মাখিয়ে রাখবেন এবং এক সাইজ বড় জুতো কিনবেন। নইলে ফোস্কা অনিবার্য!
POPxo Recommends: COTTON PUNJABI
২। শেরওয়ানি (Sherwani):
এই পোশাকটি নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। যে আবাঙালি পোশাকটি রিসেপশনে (reception) পরার জন্য ইদানীং প্রায় সব বাঙালি বেছে নিচ্ছেন, সেটি হল শেরওয়ানি। এই পোশাকের সবচেয়ে বড় সুবিধে হল, যে-কোনও ধরনের চেহারাতেই এই পোশাক দিব্যি মানিয়ে যায়। শেরওয়ানির রং বাছুন নিজের পছন্দ এবং আপনার স্ত্রীয়ের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে বা মানানসই করে। শেরওয়ানির বটম নিয়ে একটু পরীক্ষানিরিক্ষা করতে পারেন। চুড়িদার, পায়জামা থেকে শুরু করে বেলুন প্যান্টস, পাতিয়ালা পাজামা, ট্রাই করে দেখতে পারেন অনেক কিছুই।
৩। আচকান – অঙ্গরাখা – বন্ধগলা (Wedding Achkan):
অনেকেই শেরওয়ানির সঙ্গে এই পোশাক তিনটিকে গুলিয়ে ফেললেও, এগুলি আসলে শেরওয়ানি নয়। আচকানের ঝুল এবং ঘের, দুটোই শেরওয়ানির চেয়ে কম হয়। যাঁরা নিয়মিত জিমে-টিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন বা এমনিতেই একটু সুঠাম চেহারার অধিকারী, তাঁরা বউভাতের পোশাক হিসেবে আচকান ট্রাই করতে পারেন। এই পোশাকটি সাধারণত হালকা ফ্যাব্রিক দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এর হাতে সামান্য কাজ থাকে। আচকানের সঙ্গে পরুন জোধপুরি ব্রিচেস বা চাপা চুড়িদার।
অঙ্গরাখা পোশাকটিকে আচকানের পূর্বসূরী বলতে পারেন। অঙ্গরাখার ফিটিং একটু ঢিলে হয়। পোশাকটি আসলে wrap around, বুকের একপাশে দড়ির সাহায্যে বাঁধা থাকে। এটি পরতে পারেন ঢিলে পাজামার সঙ্গে। তবে এক্ষেত্রেও আপনাকে সুঠাম চেহারার অধিকারী হতে হবে।
বন্ধগলা আচকান-অঙ্গরাখা-শেরওয়ানির ছোট এবং ফিউশনতুতো ভাই! ভারতীয় কাপড়ে তৈরি বোতাম বসানো, গলাবন্ধ, শর্ট লেংথের কোটকেই বলে বন্ধগলা। মানে, টাক্সেডো আর শেরওয়ানি যদি মিক্স করা হয়, তা হলে ব্যাপারটা যা দাঁড়াবে, তা-ই! এর সঙ্গে পরুন ফিটেড ট্রাউজার বা জোধপুরি ব্রিচেস। একটু ইনফরম্যালি ফরম্যাল সাজতে চাইলে বন্ধগলা আপনার জন্য আদর্শ।
POPxo Recommends: A Perfect Blue Jodhpuri Suit
৪। টাক্সিডো, সুট, ব্লেজার, জ্যাকেট (Tuxedo – Blazer – Jacket):
যদি ট্র্যাডিশনাল সাজ পছন্দ না হয়, তা হলে সাজুন পশ্চিমি ধরনে (bengali reception look for groom)। এক্ষেত্রেও আপনার কাছে আছে হরেক অপশন। পরতে পারেন ফর্মাল সুট, টাক্সিডো, ব্লেজার-ট্রাউজার, জ্যাকেট ইত্যাদি ইত্যাদি। গরমকালে বিয়ে হলে লিনেন ব্লেজার-লিনেন ট্রাউজার (কর্ড-ডেনিমও চলতে পারে) পরতে পারেন। শীতকালে টাক্সিডো, থ্রি-পিস সুট পরুন আরামসে। তবে ওয়েস্টার্ন ফর্মালের ক্ষেত্রে একটা কথা মাথায় রাখবেন। এই ধরনের পোশাকের ফিটিং যেন এক্কেবারে পারফেক্ট হয়। প্রয়োজনে বারবার ট্রায়াল দিয়ে দেখে নিন ফিটটা। আর এই পোশাকের সঙ্গে জুতোও পরবেন ফর্মাল, একদম ঝাঁ চকচকে করে পালিশ করা, নজর দেবেন মোজার দিকেও (reception dress for bengali groom)।
POPxo Recommends: Blue Regular Fit Suit
ছবির কৃতজ্ঞতা স্বীকার: instagram
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
Read More From ফ্যাশন
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA