দীপ্তর সঙ্গে সম্পর্ক (relationship) ভেঙে যাওয়ার পরে যে মানুষটা সব সময় অদিতির পাশে ছিল, সে হল ওর বেস্ট ফ্রেন্ড অরিত্র। এদিকে অরিত্রও মনে মনে অদিতিকে ভালবাসলেও বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কখনও ওকে মনের কথাটা বলে উঠতে পারেনি। কিন্তু অদিতির মনে তো তখন অন্য কেউ! তাই ভেবেছিল, আর মনের কথাটা কখনওই বলবে না। দীপ্তর সঙ্গে সম্পর্কটা (relationship) ভেঙে যাওয়ার পরেও ও অদিতির পাশে ছিল। যেমনটা সব সময়ই থেকেছে। তবে অনেক পরে অদিতি বুঝেছিল যে, অরিত্রই ওর মনের মানুষ। আর ওদের সম্পর্কটা (relationship) জমবে ভালই। কিন্তু অদিতির হয়েছে একটাই মুশকিল! অদিতি প্রচণ্ড হুল্লোড় ভালবাসে, ঝগড়া করতেও ভালবাসে। অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদী হয়ে গর্জে ওঠে। কিন্তু অরিত্র সেই তুলনায় ঠান্ডা মাথার মানুষ। ও খুবই শান্তিপ্রিয়। আর অদিতির বক্তব্য, অরিত্রটার সঙ্গে তো ঝগড়া করেও মজা নেই! আসলে অদিতি আগে ভাবত যে, বিপরীত (opposite) স্বভাবের একটা মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক (relationship) রাখাটাই খুব চাপের। কিন্তু এখন বিষয়টা ও বেশ এনজয়ই করে। অদিতির মতো অনেকেই ভাবেন, নিজের সঙ্গে মিল থাকা কোনও মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক (relationship) হলে ভাল হয়। যার সঙ্গে মতের মিল নেই, তার সঙ্গে সম্পর্ক কী ভাবে হবে! কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত (opposite) মেরুর একটা মানুষের সঙ্গেও সম্পর্ক (relationship) দারুণ জমে। তবে কিছু সমস্যাও থাকে। আর সেটা তো সব সম্পর্কের (relationship) মধ্যেই থাকে। আর সেই সব সমস্যার সমাধান করলেই সম্পর্ক (relationship) হবে সুন্দর! তাই জেনে নিন, আপনার বিপরীত (opposite) স্বভাবের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক (relationship) রাখলে কী কী সুবিধা হতে পারে।
মনের মানুষকে মিষ্টি করে কীভাবে জানাবেন আমিও ভালবাসি তোমায়
ভারসাম্য
দু’জন বিপরীত (opposite) মেরুর মানুষের সম্পর্ক (relationship) তৈরি হলে একটা আলাদাই ভারসাম্য (balance) থাকে। কারণ ধরুন, আপনি প্রচণ্ড অগোছালো আর চঞ্চল স্বভাবের। আর আপনার সঙ্গীটি (partner) খুবই শান্ত ও ধৈর্যশীল। সে ক্ষেত্রে কিন্তু সম্পর্কের (relationship) একটা ব্যালান্স (balance) তৈরি হয়। যদি আপনার সঙ্গী আপনার মতোই অগোছালো আর চঞ্চল স্বভাবের হয়, তা হলে কিন্তু খুব মুশকিল! আবার ধরুন, আপনি খুব ঝগড়া করতে ভালবাসেন আর আপনার সঙ্গীটিও (partner) ঝগড়া করেন, তা হলেও বুঝতেই পারছেন, কী হতে পারে! ঝগড়া হয়তো কোনও দিন শেষই হল না!!! ফলে বুঝতে পারছেন, সম্পর্কের (relationship) ভারসাম্য (balance) বজায় রাখতে গেলে কিন্তু আপনার সঙ্গী হতে পারে আপনার বিপরীত (opposite) মেরুর মানুষটিই।
একঘেয়েমি নয়
ধরুন, আপনার সমুদ্র ভাল লাগে, আর আপনার সঙ্গীটির (partner) পাহাড়। সে ক্ষেত্রে কিন্তু কোথায় যাওয়া যেতে পারে, সেই নিয়ে ঝগড়া না করে ঘুরে আসতে পারেন দু’জনের পছন্দের জায়গাতেই। বেশ মিলিয়ে মিশিয়ে পাহাড়-সমুদ্র-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান। আবার ধরুন, আপনাদের দু’জনের বই অথবা মুভির পছন্দও সম্পূর্ণ আলাদা। তো সে ক্ষেত্রেও কিন্তু মিলিয়ে মিশিয়ে দু’জনের পছন্দের মুভি দেখা যেতে পারে। এতে কিন্তু একঘেয়েমি কেটে যায়। আর সম্পর্কও (relationship) সুন্দর হয়!
বদলানোর চেষ্টা নয়
দু’টো বিপরীত (opposite) মেরুর মানুষের সম্পর্কে (relationship) অনেক সময় দেখা যায়, সঙ্গীর (partner) জন্য নিজেকে বদলে ফেলছে। সেটা কিন্তু সম্পর্কের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ নিজেকে বদলে অথবা নিজের স্বভাব আর পছন্দ-অপছন্দ পরিবর্তন করে তো আর সম্পর্ক হয় না! আর ঠিক তেমন ভাবেই আপনার সঙ্গীটি আপনার বিপরীত হলেও তাঁকেও বদলানোর চেষ্টা করবেন না।
ছবি সৌজন্যে: ইউটিউব
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
Lip Kiss করলে কি কি শারীরিক উপকার মেলে
ভালোবেসে মনের মানুষটি কে এই ডাকনামে ডাক দিও
রোমান্টিক ডায়লগ যা আপনাকে আপনার পার্টনারের আরও কাছে নিয়ে যাবে