
একই অফিস বা একই পেশা (profession))। রোজই দু’জনের দেখা হচ্ছে দুটো আলাদা পরিসরে। একবার বাড়িতে আর একবার অফিসে। অনেকেই ভাবেন, পার্টনার ও তাঁদের এক পেশায় থাকা বা এক অফিসে কাজ করা একটা আশীর্বাদের মতো। কারণ, এতে তাঁরা সর্বক্ষণ পরস্পরের সান্নিধ্য পাচ্ছেন। একে অপরের চোখের সামনে থাকতে পারছেন। একই পেশায় থাকলে অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করতে পারছেন বা পরামর্শ নিতে পারছেন। মানে, সব দিক থেকে আপনারই লাভ। ব্যাপারটা বোধ হয় এতটা সোজা নয়। কারণ, পেশা এক হলে সেখানে একটা প্রতিযোগিতা বা সাফল্যের প্রশ্ন থেকেই যায়। কর্মক্ষেত্র এক হলেও সেটা ঘটে। আপনার পদোন্নতি হল আর পার্টনারের হল না বা একই পেশায় আপনার পার্টনারের (couple) পরিচিতি অনেক বেশি, অথচ আপনি এখনও আনকোরা থেকে গেলেন, এরকমটা হয়েই থাকে। আর আপাতদৃষ্টিতে এই সাধারণ বিষয়ই সম্পর্কে বিরোধ সৃষ্টি করে। এমনটা যাতে না হয় তার জন্য আপনার কী করা উচিত জানেন? না জানা থাকলে টিপস (tips) দিচ্ছি আমরা।
১) অফিস বা কাজের কথা বাড়িতে নয়
একসঙ্গে বসে যখন আড্ডা দিচ্ছেন বা গল্প করছেন তখন আপনারা নেহাতই সাধারণ দম্পতি বা প্রেমিক-প্রেমিকা। তাই সেই সময়টুকু নিজেদের পেশার কথা বলবেন না। বিশেষ করে বন্ধুবান্ধবদের আড্ডায় নিজের পেশার কথা না তোলাই ভাল। আপনারা দু’জনেই হয়তো ডাক্তার। আর আপনার বন্ধু মহলে আর কেউ ডাক্তার নয়। সেখানে যদি আপনারা কোনও জটিল রোগের চিকিৎসা নিয়ে কথা বলেন, সেটা অন্যদের ভাল লাগবে না।
২) ভালমন্দ মেনে নিতে শিখুন
যে-কোনও পেশায় ভাল ও মন্দ, দুই দিকই আছে। অর্থাৎ আপনি খ্যাতির শিখরে পৌঁছতে পারেন, আবার ব্যর্থও হতে পারেন। এর সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত জীবনের কোনও যোগ নেই। আর আপনার পার্টনারেরও এতে কোনও দোষ নেই। কারণ, একসঙ্গে এক সম্পর্কে থাকলেও আপনারা দুটো আলাদা মানুষ। আপনাদের মেধা, পেশাদারিত্ব, বিচার ক্ষমতা সব আলাদা। তাই একই পেশায় থেকে কেন আপনার উন্নতি হচ্ছে না আর পার্টনারের হচ্ছে, সেটা নিয়ে ঘ্যানঘ্যান না করে নিজের ভিতরে খামতিগুলো খুঁজুন।
৩) পেশাদারি সিক্রেট বজায় রাখুন
একই পেশায় থেকেও প্রতিযোগিতা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। ওকালতি থেকে অভিনয়, সব পেশার ক্ষেত্রেই এটা হতে পারে। আর সব পেশাতেই কিছু না কিছু সিক্রেট থাকে। সেই পেশাদারি সিক্রেট বজায় রাখুন। তিনি আপনার পার্টনার বলে তাঁকে কোম্পানির সব সিক্রেট উজাড় করে বলতে হবে তা কিন্তু নয়। আর এমনটা করলে এটাই প্রমাণিত হয় যে আপনি একেবারেই পেশাদার নন এবং কোম্পানি আপনার উপরে ভরসা করতে পারে না।
৪) নিজের আধিপত্য জাহির করবেন না বা করতে দেবেন না
হতে পারে তিনি অফিসে আপনার সিনিয়র বা যে পেশায় আপনি সদ্য এসেছেন সেখানে তিনি অনেকদিন আগে থেকেই জাঁকিয়ে বসে আছেন। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নিজের আধিপত্য জাহির করবেন না বা করতে দেবেন না। হ্যাঁ, সিনিয়র হিসেবে কিছু পেশাদারি পরামর্শ তিনি আপনাকে দিতেই পারেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সেটা বাড়িতেও চলবে। একই কথা আপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আপনি সব জানেন আর তিনি কিছু জানেন না এরকম ভাব দেখাবেন না। একসঙ্গে এগিয়ে চলুন পেশাদারিত্ব বজায় রেখেই।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…