দেখতে-দেখতে কালীপুজোও এসে গেলে। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এর মধ্যেই বাজির কেনাকাটাটা সেরে ফেলতে হবে তো! না হলে যে শেষ দিনে ডবল দামে বাজি কিনতে হবে। তাছাড়া শেষের দিকে মনের মতো বাজি না পাওয়ার একটা আশঙ্কাও তো থাকে নাকি! তাই ঝটপট কাজটা সেরে ফেলাই মঙ্গলের। তবে বাজি কেনার আগে কতগুলি বিষয় খেয়াল রাখবেন, না হলে কিন্তু ঠকতে হবে। সেই সঙ্গে দূষণ পর্ষদের আইনকানুনগুলিও একটু জেনে-বুঝে নেবেন, না হলে কিন্তু এবছর জেল হাজত পর্যন্ত হতে পারে। তাই চলুন আর সময় নষ্ট না করে বাজি (firecrackers) কেনার টিপসগুলি একটু ঝালিয়ে নেওয়া যাক, সঙ্গে দূষণ পর্ষদের নিয়মগুলিও (rules) জেনে নিন।
ঠকতে না হলে বাজি কিনুন এই টিপসগুলি মেনে
১. লাইসেন্স রয়েছে এমন দোকান থেকে বাজি কিনতে হবে
সরকারের তরফ থেকে যে-যে বিক্রেতাদের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে, কেবল তাদের থেকেই বাজি কেনা উচিত। কারণ, এই সব দোকানে বিক্রি হওয়া বাজির গুণগত মান নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকে না। ফলে অযাচিত দুর্ঘটনার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমে। তা হলে কি পাড়ার দোকান থেকে বাজি কেনা উচিত নয়? কালী পুজোর (Diwali) আগে হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা এই সব ছোট-ছোট দোকান থেকে বাজি কিনতে মানা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন? কারণ, এই সব দোকানে বিক্রি হওয়া বাজির মান সম্পর্কে বিক্রেতাদেরই কোনও ধারণা থাকে না। ফলে দুর্ভাগ্যক্রমে কোনও খারাপ বাজি হাতে এসে গেলে বিপদ ঘটে যেতে পারে! তাই তো বলি, খুশির দিনে কোনও দুর্ঘটনা ঘটুক, এমনটা যদি না চান, তা হলে কিছু টাকা বাঁচানোর চক্করে লাইসেন্স নেই এমন দোকান থেকে বাজি কিনবেন প্লিজ!
২. চিনা বাজি এড়িয়ে চলুন
নুঙ্গি এবং চম্পাহাটি সহ রাজ্যের অনেক জায়গাতেই বাজি তৈরি হয়, যেখান থেকে বিক্রেতারা বাজি কিনে এনে শহর এবং শহরতলির আশে পাশের অঞ্চলে বিক্রি করে থাকেন। এই সব বাজির গুণগত মান মন্দ হয় না। তবে চিন্তার বিষয় হল, গত কয়েক বছরে চিনা বাজির রমরমা বেড়েছে শহরে। এই সব বাজির মান তেমন একটা ভাল হয় না। ফলে যে-কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বিপদ এড়াতে চিনা বাজি কেনা একেবারেই উচিত নয়।
৩. গত বছরের বাজি কিনা দেখে নিন
অনেক সময় নতুন বাজির সঙ্গে গত বছর বিক্রি না হওয়া পুরনো বাজি মিশিয়ে দেওয়া হয়। পুরনো বাজিগুলি এক বছর পরে থাকার কারণে ড্যাম্প লেগে যায়, যে কারণে ঠিক মতো ফাটে না। ফলে টাকাটা একেবারে জলে যায়। তাই বাজি কেনার সময় এই বিষয়টা মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে তুবড়ি এবং রকেট কেনার আগে ভাল করে পরখ করে নিন। আর যদি ভুলবশত পুরনো বাজি কিনে ফেলেন, তা হলে কী করণীয়? সেক্ষেত্রে বাজিগুলো কয়েক দিন রোদে রেখে দিন, তাতে কিছুটা হলেও তুবড়ি-রকেটগুলি চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
বাজি ফাটানোর নিয়ম-কানুন
এত বছর ধরে আমজনতার মধ্যে শব্দবাজির বিরুদ্ধে সচেতনা বাড়ানোর চেষ্টা করেও বিফল হয়েছে পর্ষদ। তাই এবছর কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
- শব্দবাজি ফাটালে তো বটেই, সেই সঙ্গে অন্যান্য নিয়ম না মানলে জরিমানা তো হবেই, সঙ্গে দোষীর বিরুদ্ধে মমলাও হতে পারে। এমনকী, জেল হাজত হওয়ার রাস্তাও খোলা রয়েছে!
- কালীপুজোর দিন কড়া নজরদারিরও ব্যবস্থা থাকবে। কলকাতার যে যে অঞ্চলে শব্দবাজি ফাটানোর প্রবণতা বেশি, সেখানে ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনাও রয়েছে। তাই বুঝতেই পারছেন, এবছর আইনের ফাঁক গলে শব্দবাজি ফাটানোর কাজটা যে সহজ হবে না, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
- ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হয় এমন বাজি ফাটানো বেআইনি। তাই বাজি কেনার আগে একবার এই বিষয়াটা যাচাই করে নিতে ভুলবেন না! প্রতিটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকানির হাতেই পর্ষদের তরফ থেকে নিষিদ্ধ বাজির তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই কোন বাজি কেনা যাবে, আর কোনটি নয়, সে সম্পর্কে জেনে নিতে কোনও সমস্যা হওয়ারই কথা নয়।
- দূষণ পর্ষদের জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অনুমোদিত বাজি ফাটানো যাবে।
সব শেষে একটা কথাই বলার। যদি ভেবে থাকেন, এত সব নিয়মকানুনকে সহজেই বুড়ো আঙুল দেখাতে পারবেন, তা হলে জেনে রাখা ভাল যে পরিবেশ সুরক্ষা আইনের ১৫ নং ধারায় নিয়মভঙ্গকারীদের এক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং পাঁচ বছর কারাবাসের কথা বলা হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত আপনার, শুধু নিজের মজার কথা ভেবে পরিবেশ এবং পল্লিবাসীর বিপদ ডেকে আনবেন, নাকি…
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…
Read More From লাইফস্টাইল
এই ৬টি ঠোঁটের অধিকারিণীরা এইসব গুণের মানুষ হন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA