এমনিতে সে বড় অবহেলার জিনিস। কখনও অনাদরে ড্রয়ারের মধ্যে আবার কখন নিঃসঙ্গ অবস্থায় ব্যাগের কোনও একটা ভাঁজে সে ঢুকে থাকে। কিন্তু তাড়াহুড়োর সময় শাড়ির আঁচল সামলাতে বা হুড়মুড় করে চলতে গিয়ে পটাং করে যখন জুতোর স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে যায়, তখন মনে পড়ে তার কথা! সেই ছোট্ট জিনিসটি যাকে বলে ধানিলঙ্কার মতো। অর্থাৎ সাইজে ছোট কিন্তু কাজে বিরাট। হ্যাঁ, সাথী সেই সেফটি পিন (safety pin) সংসারে নানা কাজে বা বাইরে বেরোলে যখন-তখন তার প্রয়োজন পড়তে পারে। তাই এই ছোট্ট জিনিসটিকে অবহেলা করবেন না। বরং তাকে আদর করে সামলে রাখুন আর দেখে নিন যে কীভাবে কাজে (hacks) লাগাবেন এই সেফটি পিন।
১) হাওয়াই চটির স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে গেলে
সেফটি পিনের সবচেয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখা যায় ঠিক এই সময়। হাওয়াই চটির স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে গেল আর আপনি এদিক-সেদিক তাকিয়ে দেখলেন যে একশো মাইলের মধ্যে কোনও মুচি নেই। ব্যাগে সেফটি পিন থাকলে বের করে লাগিয়ে নিন। সারা জীবন না হোক অন্তত সেদিনের জন্য কাজ চলে যাবে। একটু মোটা সেফটি পিন হলে চামড়ার স্ট্র্যাপেও দিব্যি কাজ দেয় এটি।
২) পায়জামা হোক বা হুডি, দড়ি পরাতে কাজে দেবে
এই কথাটা আপনি এক বাক্যে স্বীকার করবেন। দড়ি পরানোর জন্য সবচেয়ে বেশি কাজে দেয় সেফটি পিন। সায়ার দড়ি হোক বা পায়জামার দড়ি, সেফটিপিনের মতো সঙ্গী আর কে আছে বলুন। আর হুডির দড়ি তো যখন-তখন ফসফস করে খুলে যায়। ওই দড়ির সঙ্গে একটা সেফটিপিন দিয়ে গাঁট বেঁধে রাখুন। আর কোনও সমস্যাই হবে না।
৩) কাজ করে জিপার হিসেবেও
আজকাল রেডিমেড জামাকাপড়ের হাল কিছুদিন পরেই কীরকম হয় সে তো আপনারা জানেনই। বিশেষ করে যেগুলোতে চেন দেওয়া থাকে সেগুলোর তো প্রথমেই চেনের মাথাটা বা হ্যান্ডল জিপার ভেঙে যায়। তখন পয়সা খরচ করে আবার চেন বদলাও। কোনও দরকার নেই এত কিছু করার। তার বদলে চেনের আংটার সঙ্গে একটা শক্তপোক্ত সেফটি পিন লাগিয়ে দিন। ব্যস, মুশকিল আসান।
৪) কাজ করে চাবি হিসেবে
ছোটখাটো তালা যেগুলো হয় তার চাবিও হয় ছোট। আর সেগুলো যখন-তখন হারিয়ে যায়। আপনার হোস্টেলের রুমের তালার চাবি বা আপনার ট্রাঙ্কের চাবি, সবই ওই গোত্রের হয় আর সেগুলো কোথায় কোন ফাঁকে যে হারিয়ে যায়, কে জানে। এক্ষেত্রেও কাজে দেয় ছোট্ট সেফটি পিন। সেটা দিয়ে ঘুরিয়ে দিব্যি খুলে নেওয়া যায় তালা। তবে এই বিদ্যে শুধু নিজের তালার খোলার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করবেন কিন্তু। না হলে সমূহ বিপদ!
৫) গয়নাগাঁটি আর ফ্যাশন
শুধু কি আর এই সব বোরিং কাজে লাগে সেফটি পিন! এই সেফটি পিন দিয়েই তৈরি করে নেওয়া যায় দারুণ আংটি। দেখে নিন কীভাবে করবেন সেটা। কয়েকটা নানা সাইজের সেফটিপিন নিয়ে তাতে রঙ করে নিন। এমন রঙ করবেন যেটা ধুলে সহজে উঠে না যায়। চাইলে সেফটি পিনের মধ্যে ছোট-ছোট পুঁতি লাগিয়ে নিন। এবার সেটা জামার কাঁধে বা হাতায় লাগিয়ে নিন। দারুণ স্টাইলিশ লাগবে।
৬) ব্রায়ের স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে গেলে বা আলগা হয়ে গেলে
শুধু চটির স্ট্র্যাপ নয় অনেক সময় ব্রায়ের স্ট্র্যাপের সাবস্টিটিউট হিসেবেও কাজ দেয় এই সেফটি পিন। দর্জি যদি ব্লাউজের সঙ্গে ব্রা হোল্ডার লাগাতে ভুলে যায়, হঠাৎ করে যদি ব্রায়ের স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে যায় বা লুজ হয়ে যায়, টুক করে ব্যাগ থেকে সেফটিপিন বের করে লাগিয়ে নিন। কেউ টেরটি পাবে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!
Read More From ডি আই ওয়াই লাইফ হ্যাকস
এই ৬টি ঠোঁটের অধিকারিণীরা এইসব গুণের মানুষ হন
SRIJA GUPTA
বর্ষায় মোবাইল ভিজে গেলে কিভাবে মেরামত করবেন
Debapriya Bhattacharyya