বলিউড ও বিনোদন

লকডাউনের জন্য ফিরতে পারলেন না, বাবার শেষকৃত্য ভিডিও কলে দেখতে হল সানাকে

Swaralipi Bhattacharyya  |  Apr 16, 2020
লকডাউনের জন্য ফিরতে পারলেন না, বাবার শেষকৃত্য ভিডিও কলে দেখতে হল সানাকে

অঞ্জলি। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর সেই ছোট্ট অঞ্জলি। মনে পড়ছে নিশ্চয়ই। সেই ছোট্ট মেয়েটি অর্থাৎ সানা (Sana) সিড এখন অনেকটাই বড়। আরও বেশ কিছু কাজ করেছেন তিনি। এই করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউনের পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত জীবনে বড় ক্ষতি হয়ে গেল সানার।

গত ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর দিন প্রয়াত হন সানার বাবা আব্দুল আহাদ সইদ। কিন্তু সে সময় তিনি লস এঞ্জেলসে ছিলেন। একটি অনুষ্ঠানে সেখানে যান তিনি। কিন্তু অনুষ্ঠানটিও বাতিল হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই বাড়িতে আসা সম্ভব হয়নি। ফলে বাবার শেষকৃত্য ভিডিও কলে দেখতে হল তাঁকে। 

সানা বলেন, “বাবার চলে যাওয়ার খবরটা মেনে নেওয়া আমার পক্ষে খুব কঠিন। তার উপর এখানে আি আইসোলেশনে রয়েছি। একা আছি। এটা আনফেয়ার। বাবার ডায়াবেটিস ছিল। গত কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিল। হাসপাতালেও ছিল। কিন্তু বাড়িতে চলে এসেছিল। ভাল ছিল। আমি গত দু’মাস কোনও কাজ করিনি। বাবার সঙ্গে ছিলাম। বাবা ভাল না হয়ে গেলে, এই কাজটাও নিতাম না। বাবার সঙ্গেই থাকতাম।”

সানা আরও জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে শুধুমাত্র বাড়ির লোকের সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে তাঁর। আর কারও সঙ্গে কথা বলতেও ভাল লাগছে না। মা রয়েছেন। দুই বোন রয়েছে। সব সময় মনে হচ্ছে, এই সময়টা পরিবারের পাশে থাকতে পারলে ভাল হত। কিন্তু কোনও উপায় নেই। বাবার শেষ কাজেও থাকতে পারলেন না তিনি। বরং ভিডিও কলে শেষবার দেখতে হয়েছে বাবাকে। এই সত্যিটা এখন একটু একটু করে মেনে নিয়েছেন তিনি। নিজেকে বুঝিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতেই ভাল থাকার রসদ খুঁজে নিতে হবে।

সানার বাবা জনপ্রিয় কবি ছিলেন। তিনি উর্দুতে কবিতা লিখতেন। সানা ভেবেছেন, বাবার লেখা সব উর্দু কবিতা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করবেন তিনি। কবিতা লেখার বিষয়ে তাঁর বাবা নাকি অত্যন্ত প্যাশনেট ছিলেন। ফলে মেয়ে হিসেবে সেই সব কবিতা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াটা নিজের দায়িত্ব বলে মনে করেন সানা।

এই ব্যক্তিগত শোকের সময় সানা পাশে পেয়েছেন তাঁঁর বৃহত্তর পরিবারকে। অর্থাৎ তাঁর কাজ যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁরা এই দুঃসময়ে সানাকে সমবেদনা জানিয়েছেন। মুম্বইতে মা এবং বোনেদের জন্য চিন্তা হলেও এখন ফিরে আসার কোনও উপায় নেই তাঁর। এই পরিস্থিতিতে মানসিক ভাবে আরও শক্ত থাকতে হবে তাঁকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি মুম্বইতে ফিরবেন। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত নিজেকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব নিজেরই। আপাতত একাই রয়েছেন তিনি। তাই এই পরিস্থিতিতে তাঁর জন্যও চিন্তায় রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 

https://bangla.popxo.com/article/making-comparisons-between-siblings-is-a-dangerous-habit-for-mom-in-bengali

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

 

Read More From বলিউড ও বিনোদন