বেড়ানো

এদেশের সেরা ৩ স্কুবা ডাইভিং স্পট! (scuba diving spots in india)

popadmin  |  Mar 1, 2019
এদেশের সেরা ৩ স্কুবা ডাইভিং স্পট! (scuba diving spots in india)

কাকাবাবুর গল্প পড়তে পড়তে বড় হয়ে ওঠা বাঙালি ভ্রমণরসিকেরা অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হবে না, তা কি করে হয়! তাই তো বেশিরভাগ বাঙালিরই “মাস্ট ডু” লিস্টে যে স্কুবা ডাইভিং (scuba diving) রয়েছেই রয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এমন অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ পেতে মোটেও ছুটতে হবে না বালি বা অস্ট্রেলিয়া। বরং এদেশেই রয়েছে এমন কিছু স্কুবা ডাইভিং স্পট (scuba diving spots in india), যা বাস্তবিকই মন কাড়া। যেমন ধরো…

১. হ্যাভলক দ্বীপ, আন্দামান:


আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে কম-বেশি ৫০ কিমি দূরে অবস্থিত এই দ্বীপে পৌঁছাতে সময় লাগবে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা। সেখানে পৌঁছে শেয়ার বোটে চেপে পৌঁছে যায় এলিফ্যান্ট আইল্যান্ড। এখানেই রয়েছে স্কুভা ডাইভিং-এর একাধিক সেন্টার (scuba diving in andaman)। যার কোনওটিতে পয়সা চুকিয়ে ডুবুরির পোষাক পড়ে যেই না ঝাঁপ দেবে নীল সমুদ্রে, অমনি চোখের সামনে ভেসে উঠবে এক অপূর্ব সুন্দর দুনিয়া, যার খোঁজ হয়তো অনেকেই রাখে না। রঙ বেরঙের কোরালের মাঝে কখনও দেখতে পাবে ক্লাউন ফিশ, তো কখনও হঠাৎ করে সামনে এসে যাবে প্যারট ফিশ, নয়তো লায়ন ফিশেরা। এইভাবে সমদ্রিক জীবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে কখন যে ঘন্টা পেরিয়ে যাবে বুঝতেও পারবে না। এলিফ্যান্ট দ্বীপে স্কুবা ডাইভিং করতে খরচ পড়বে কম-বেশি ৪৫০০-৬০০০ টাকা।

ঘুরতে যাওয়ার আদর্শ সময়:
অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত খুব সুন্দর আবহাওয়া থাকে আন্দামানে। এমনকি এই সময় সমুদ্রের তেজও বেশ কিছুটা কম থাকে। তাই এই দ্বীপ রাজ্য ভ্রমণের আদর্শ সময় হল বছরের এই সময়টা।

২. নীল দ্বীপ, আন্দামান:


পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ২ ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া সম্ভব নীল দ্বীপে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন এক কথায় অসাধারণ, তেমনি সামদ্রের নিচের দুনিয়াও বেজায় অপূর্ব। তাই হ্যাভলক দ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ না পেলে নীল দ্বীপে এসে স্কুবা ডাইভিং করা মাস্ট (Neel island scuba diving)! এখানকার লক্ষ্মীপুর বিচে রয়েছে একাধিক স্কুবা ডাইভিং এজেন্সি। আর খরচ পড়বে ৩৫০০-৬০০০ টাকা। তবে দরদাম করলে একটু হলেও টাকা খসবেকম।

ঘুরতে আসার আদর্শ সময়:
ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত হল নীল দ্বীপ ভ্রমণের সবথেকে আদর্শ সময়।

৩. গ্র্যান্ড আইল্যান্ড, গোয়া:


গোয়ার (goa) কথা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নাইট পার্টি আর সমুদ্র সৈকতের ছবি। কিন্তু যেটা অনেকেই হয়তো জানে না, তা হল আন্দামানের পরে স্কুবা ডাইভিং করার সবথেকে আদর্শ জায়গা হল গোয়া। গোয়ার জনপ্রিয় কালাঙ্গুট বিচ থেকে ভাড়া গাড়িতে ভাস্কো দা গামায় এসে, সেখান থেকে বোটে চেপে পৌঁছাতে হবে গ্র্যান্ড আইল্যান্ড। এখানে এসে স্কুবা ডাইভিং যেমন করতে পারো, তেমনি স্নরকেলিং-এর ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে যাই করো না কেন জলের নিচে যাওয়া মাস্ট!। কারণ ঠিক এই জায়গাতেই ১৯৩০ সালে একটি ব্রিটিশ জাহাজ ঢুবে গিয়েছিল, যার ধ্বংসাবশেষ এখনো বর্তমান। আর মাছেদের সঙ্গে জলকেলি করতে করতে কোরালে ঢাকা সেই জাহাজের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার অভিজ্ঞতা যে কম রোমাঞ্চকর নয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ইচ্ছা হলে এই জাহাজ থেকে অল্প দূরে অবস্থিত “ডেভি জোন্স লকার” নামে আরেকটি জাহেজের ধ্বংস স্থুপও দেখে আসতে পারো। সেই সঙ্গে “উমা গুমা” রিফ দেখার সুযোগও মিলবে। মোট কথা মেরিন লাইফকে এত কাছ থেকে দেখার সুয়োগ পেতে এই দ্বীপে একবার আসা চাইই চাই! গ্র্যান্ড আইল্যান্ডে স্কুবা ডাইভিং করতে খরচ পড়বে ৪০০০ টাকা।

ঘুরতে যাওয়ার আদর্শ সময়:
নভেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে যে কোনও সময়ে ঘরতে আসতে পারো এই দ্বীপে।

শেষে একটা কথা না বললেই নয়, তা হল সাঁতার জানা না থাকলে স্কুবা ডাইভিং করতে হয়তো একটু সমস্যা হতে পারে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখাটা জরুরি।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

Read More From বেড়ানো