Life

নতুন বছরে সংসার করুন জমিয়ে, জেনে নিন সুখী দাম্পত্যের রহস্য (Secrets Of Happy Marriage In Bengali)

Doyel Banerjee  |  Dec 20, 2018
নতুন বছরে সংসার করুন জমিয়ে, জেনে নিন সুখী দাম্পত্যের রহস্য (Secrets Of Happy Marriage In Bengali)

ভালোবেসে বিয়ে হোক বা বিয়ের পরে ভালোবাসা(Love), হানিমুন(Honeymoon) পিরিয়ড কেটে গেলেই একটু একটু করে দেখা দিতে থাকে মনোমালিন্যের মেঘ। একটু মন কষাকষি, একটু চোখের জল। অবশ্য সব দাম্পত্যেই এটুকু ওঠানামা থাকে। কিন্তু এটুকু যদি বাড়তে বাড়তে বেশ বড়সড় আকার নেয় তাহলে মুশকিল। তাই এখন থেকেই আপনাদের দুজনকেই চেষ্টা করতে হবে সুখী নিটোল দাম্পত্য (happy marriage) গড়ে তোলার। কাজটা খুব একটা কঠিন নয় কিন্তু এগিয়ে আসতে হবে দুজনকেই। কিন্তু সুখী দাম্পত্য বজায় রাখার রহস্যটা (secrets) কি?  

সব বিষয়ে না বলবেন না

আপনার কোনও কিছু অপছন্দ হলে আপনি না বলতেই পারেন। না বলতে পারেন আপনার স্বামীও। কিন্তু সব ব্যাপারেই যদি দুজনে ক্রমাগত না বলতে থাকেন তাহলে সম্পর্কের ফাটল বাড়তেই থাকবে। যেমন ধরুন আপনি গানের অনুষ্ঠান ভালোবাসেন। স্বামীকে (Husband) কোনও কনসার্টে সঙ্গে যেতে বললে তিনি যদি না বলেন আপনার খারাপ লাগবে। একইভাবে স্বামীর অফিসের পার্টিতেও আপনি যদি বারবার না বলেন তার ভালো লাগবে না। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। প্রতিদিন না বলাটা কাম্য নয়। আপনার কোনও অসুবিধে থাকলে স্বামীকে সেটা বলুন বা স্বামীর সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন।

হাল্কা ছোঁয়ায় উষ্ণতা আনুন

শারীরিক সংস্পর্শ মানেই একসঙ্গে বিছানায় যাওয়া নয়। অফিস যাওয়ার সময় কপালে বা গালে হাল্কা চুম্বন বা একসঙ্গে হাত ধরে বসে সিনেমা দেখাটাও জরুরি। অল্প ছোঁয়াতেই সম্পর্কের উষ্ণতা গভীর হবে।

আলাদা বিষয়ে আগ্রহ রাখুন

আপনার যেটা ভালো লাগে সেটা আপনার স্বামীর ভালো না লাগতেই পারে। কারণ আপনারা দুজনে আলাদা আলাদা মানুষ। আলাদা পরিবেশে বড় হয়েছেন। দুজনে দুজনের পছন্দ ও ভালো লাগা জোর করে একে উপরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবেন না।আপনারা দুজনে দুজনকে ভালোবাসেন মানে এই নয় যে সারাক্ষণ একে অপরের সঙ্গে সেঁটে থাকবেন। স্বামী জ্যাজ শুনতে গেলে আপনিও পছন্দের কুকিং (cooking) ক্লাসে গিয়ে নিজস্ব সময় কাটাতে পারবেন।

পরস্পরের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন

সফল দাম্পত্যের প্রধান শর্ত হল যে পরিবারে আপনি যাচ্ছেন সেখানকার একজন অপরিহার্য সদস্য হয়ে ওঠা। তবে দিনকাল এখন অনেক পাল্টে গেছে। আপনি যেমন স্বামীর বাবা মাকে আপন করে নেবেন আপনার স্বামীকেও আপনার বাবা মার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।তবে আপনি যেহেতু স্বামীর পরিবারে(Family) এসে থাকছেন আপনার দায়িত্ত্ব এক্ষেত্রে একটু হলেও বেশি। তাই মতের মিল না হলেও অশ্রদ্ধা করবেন না বা অন্য কোথাও চলে যাবেন না।মাঝে মাঝে একটা দুটো গেট টুগেদার করুন। শ্বশুর বা শাশুড়ির পছন্দ মতো টুকটাক জিনিস কিনে আনুন। তাদের বোঝান আপনি তাদের বন্ধুর মতো। তবে এই পদক্ষেপে যেন আন্তরিকতার অভাব না থাকে।

আর্থিক বিষয় দুজনে ভাগ করে নিন

আপনি চাকরি করেন কি করেন না সেটা বড় কথা নয়। সংসারের খরচ যদি আপনি চালান তাহলে সেটা বুদ্ধি করে করাটাও আপনার দায়িত্ত্ব।দুজনেই রোজগার করলে একটি যৌথ ফান্ড (Fund) করুন সেখানেই প্রতিদিনের খরচ জমা করুন। বাকিটা সেভিংস করুন। চাকরি না করলে স্বামীর রোজগার এমনভাবে ব্যবহার করুন যাতে মাসের মাঝখানে টানাটানি না পড়ে।     

পরস্পরের পাশে থাকুন

এটাই হল দাম্পত্যের মূল কথা। দুজনে যে কোনও পরিস্থিতিতে দুজনের পাশে থাকুন। মনে রাখবেন এই দুনিয়ায় কোনও মানুষই পারফেক্ট (Perfect) নয়। আপনার স্বামীর মধ্যেও দোষ ত্রুটি আছে আর আপনার মধ্যেও। ভালো আর মন্দ এই দুই নিয়েই জীবন। জীবনে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুজনে আলোচনা করে নিন। ছোট ছোট ব্যাপারে টুকটাক কথা বলুন। যেমন ধরুন আজ অফিসে যে শাড়িটা পরে যাচ্ছেন তার সঙ্গে কোন দুলটা মানায় সেটা স্বামীকে জিগ্যেস করুন। আবার স্বামীর অফিস মিটিংএর শার্টও আপনি বেছে দিন।এমন কিছু করবেন না যাতে অন্যজন কষ্ট পায়।

ছবি সৌজন্যঃ পেক্সেল ডট কম 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!     

Read More From Life