Weight Loss

জানেন কি, ডায়েটিং না করেও আপনি ওজন কমাতে পারেন অনায়াসে? তারই কায়দা বলছি আমরা

popadmin  |  Sep 15, 2019
জানেন কি, ডায়েটিং না করেও আপনি ওজন কমাতে পারেন অনায়াসে? তারই কায়দা বলছি আমরা

‘ওজন কমাতে চান তো খাওয়া-দাওয়া ছাড়তেই হবে!’ আদ্যিকালের এই ধারণাটিকে এবার একটু ছাড়ুন দেখি। কারণ, একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে ডায়েটিং না করেও ওজন কমানো সম্ভব! তবে তার জন্য অক্ষরে অক্ষরে কতগুলি নিয়ম মেনে চলতে হবে, তবেই কিন্তু উপকার মিলবে। বলেন কী, রীতিমতো খেয়ে-দেয়েও চর্বি ঝরবে! কীভাবে?

১. বেশি করে খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার

ডায়েটিং (Dieting) মানেই খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে পেট কামড়ে পড়ে থাকা নয়, বরং খাওয়ার ধরন একটু পালটে ফেলা। এই যেমন ধরুন ওজন কমাতে গেলে কচুরি, সিঙ্গারা, আলুর চপের মতো ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খাওয়া এক্কেবারে চলবে না। ছাড়তে হবে মিষ্টি খাওয়াও। তাতে ক্যালরির প্রবেশ ঘঠবে কম, ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা আর থাকবে না। বেশি করে খেতে হবে ডিম-মাংসের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, সঙ্গে হোল গ্রেন, সবজি, ফল এবং উপকারী ফ্যাট রয়েছে এমন খাবারও রোজের ডায়েটে রাখতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কব্জি ঢুবিয়ে খেয়েও কিন্তু ওজন কমানো সম্ভব!

২. সক্কাল সক্কাল এই পানীয়টি পান করা মাস্ট

এক কাপ জলে চামচ দুয়েক মেথি ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ঘুম থেকে ওঠা মাত্র জলটা ছেঁকে নিয়ে ঝটপট খেয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এই পানীয়টি পান করলে মেটাবলিজম রেটের উন্নতি ঘটবে, যে কারণেও ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে বাধ্য হবে। সঙ্গে শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানগুলি বেরিয়ে যাওয়ার কারণে ছোট-বড় নানা রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না।

৩. ব্রেকফাস্ট না করলেই বিপদ

এই ধারণাও রয়েছে যে ব্রেকফাস্ট না করলে নাকি বেশি তাড়াতাড়ি ওজন কমে। জানিয়ে রাখা ভাল যে এই ধারণাটি ভিত্তিহীন। কারণ, প্রাতরাশ না করলে ওজন তো কমেই না, উল্টে পেশি ভাঙতে শুরু করে, আর সেই জায়গায় ফ্যাট জমে। ফলে ওজন বাড়তে শুরু করে। তাই চটজলদি ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকলে ব্রেকফাস্ট করতে ভুলবেন না যেন! কী কী খেতে হবে ব্রেকফাস্টে? কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাতে কী উপকার মিলবে? এই তিনটি উপাদানই বহুক্ষণ পেট ভড়িয়ে রাখে। ফলে মিনিটে মিনিটে মুখ চালাতে মন চায় না, যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে কম পরিমাণ ক্যালরির প্রবেশ ঘঠার কারণে ওজম কমতে শুরু করে।

৪. গ্রিন টি খেতে হবে

এই পানীয়তে EGCG নামে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা মেটাবলিজম রেটের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলিকে ধ্বংস করে দিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো প্রচুর মাত্রায় ক্যালরি বার্ন হতে শুরু করে। তবে দিনে দু’কাপের বেশি গ্রিন টি খাবেন না। আর মনে করে গ্রিন টি পান করার পরে কম করে তিন কাপ জল খেতে হবে, না হলে কিন্তু কিডনি স্টোন হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।

৫. ভাল করে চিবিয়ে চিবিয়ে খান

চিবিয়ে খাওয়ার সঙ্গে ওজন কমার কী সম্পর্ক? খান দুয়েক স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেলে খাবার ঠিক মতো হজম হয়। সেই সঙ্গে পেট ভরেছে কিনা, সেই সিগনাল ঠিক মতো ব্রেনে গিয়ে পৌঁছানোর সুযোগ পায়। ফলে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলার আশঙ্কা আর থাকে না। তাই এবার থেকে খাবার খাওয়ার সময় ৩৫-৫০ বার চেবাতে ভুলবেন না যেন!

৬. প্যাকেটজাত ফলের রস খাওয়া চলবে না

ফলের রস খেতে ইচ্ছা হলে বাড়িতে তৈরি করে খান না, তাতে কোনও ক্ষতি নেই! কিন্তু ভুলেও প্যাকেটজাত ফলের রস খেতে যাবেন না যেন! কারণ, এমন পানীয়তে উপস্থিত refined sugar শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে দেয়। এমনকী, ওজন বাড়ার আশঙ্কাও থাকে।

৭. পর্যাপ্ত ঘুম হওয়াটা জরুরি

এক্কেবারে ঠিক শুনেছেন! ঘুমের সঙ্গে ওজন বাড়া-কমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঠিক মতো ঘুম না হলে হরমোনের ক্ষরণ ব্যাহত হয়। বিশেষ করে cortisol-এর ক্ষরণ ঠিক মতো না হওয়ার কারণে ইনসুলিনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে বই কী! তাই ঝটপট ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন আট ঘন্টার ঘুম জরুরি।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

Read More From Weight Loss