#POPxoWomenWantMore
বাঙালি যে চা অন্ত প্রাণ সে কথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।সকাল বেলা এক কাপ গরম চা না হলে বাঙালির মুখ ভার হয়। আবার সন্ধেবেলার আড্ডাও চা ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। চা অন্ত প্রাণ বাঙালির ঠোঁটের ডগায় নানা রকমের চা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হলেন কলকাতারই এক ঝকঝকে তরুণী পল্লবী কানোই (Pallavi Kanoi)। পল্লবী (Pallavi Kanoi) আসলে সুগন্ধ ভালোবাসেন। আর সেই ভালোবাসাই তাঁকে এই অন্য ধরনের ব্যবসা করতে অনুপ্রাণিত করেছেন।POPxo র সঙ্গে আড্ডায় পল্লবী (Pallavi Kanoi) বললেন, “ ছোটবেলা থেকে নানা সুগন্ধিত বস্তু আমায় আকর্ষিত করত। তাই ভাবলাম চা কেন নয়? চায়ের মতো সুগন্ধ আর কার আছে (হাসি)। হঠাৎ জানতে পারলাম জাপানিতে চাকে ওচা বলে। ওটাকেই একটু এদিক ওদিক করে পাল্টে দিয়ে আমি আমার ব্র্যান্ডের নাম দিলাম ওহ চা!”
পল্লবীর ছোটবেলা কেটেছে আহমেদাবাদে। সেখান থেকে মুম্বাইতে কলেজ জীবন শেষ করে তিনি চলে জান ইউএসএ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পড়তে। ফিরে এসে যোগ দেন বাবার প্যাকেজিং-এর ব্যবসায়। যদিও মন বসত না একদম। খালি মনে হত নিজের কিছু একটা করতে হবে, অন্যরকম কিছু একটা।
নিজস্ব কিছু একটা করার এই খিদে পল্লবীর বরাবরই। আর তার পাশে থেকে সব সময় সাহস জুগিয়েছেন দুজন মহিলা। তার মা আর তার শাশুড়ি মা। “আমি নারীদিবস ওদের দুজনের সঙ্গে কাটাই। ওরা আমায় সব সময় সাপোর্ট করেছেন। এখনও করে চলেছেন। তাই আমার মনে হয় এই সম্মানটুকু ওদের প্রাপ্য।”
তবে নিজস্ব চায়ের ব্র্যান্ড তৈরি করতে গিয়ে সমস্যাও কম পোয়াতে হয়নি পল্লবীকে। প্রথমেই তার মনে হয়েছিল যেহেতু ভারত চায়ের জন্য বিখ্যাত তাই এখানে অনেকেই চায়ের ব্যবসা করেন। “আমি বুঝতে পারিনি এত লোক এই ব্যবসা করেন। চায়ের ব্যবসার মার্কেট পুরো যাকে বলে ওভার ক্রাউডেড। তাই প্রথম থেকেই তীব্র প্রতিযোগিতা ছিল। এই এতজনের মধ্যে থেকে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করা এবং সেটাকে সবার থেকে আলাদা প্রমাণ করা এবং সব শেষে সেটাকে ঠিকঠাক মার্কেটিং করা বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার মনে হয় কাজটা আমি সফলভাবেই করতে পেরেছি।”
যারা চা খেতে ভালোবাসেন তারা এটা জেনে খুশি হবেন যে পল্লবীর এই ‘ওহ চা’ তে আপনি অন্তত আঠেরো রকমের চা পাবেন। এগুলো সারাবছর পাওয়া যায়। আবার বিভিন্ন ঋতুতে এবং বিভিন্ন উৎসবে নতুন ধরনের চা নিয়ে হাজির হয়ে যায় ‘ওহ চা।’ যেমন ক্রিসমাসের সময় পাওয়া যায় দু রকমের স্পেশ্যাল ক্রিসমাস চা। আবার গরমকালে নানা রকমের আইস টি’র সম্ভারও রাখে পল্লবীর এই সংস্থা। পল্লবী জানালেন বেহালায় রায়দিঘির কাছে তার সংস্থার ব্লেনডিং ইউনিট আছে। আশেপাশে অনেক চাষিরা বিভিন্ন ভেষজ উতপাদন করেন। সেগুলি তারা পল্লবীর কাছে বিক্রি করেন এবং সেগুলো পরে চায়ের সাথে মেশানো হয়।
পল্লবীর মতো যারা নিজেরা কিছু করতে চান তাদের কী বলবেন পল্লবী? পল্লবী বললেন, “নিজের ১০০% দিতে হবে। ধৈর্য রাখতে হবে তবেই সফলতা আসবে।”
আগামী দিনে কোল্ড ব্রিউ টি ব্যাগ ওঃ আয়ুর্বেদিক চা নিয়ে আরও কিছু করার ইচ্ছে আছে তার।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!