লাইফস্টাইল
এই ৭ রকমভাবে বাড়িয়ে তুলুন সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা! (surprising ways to build more intimacy with your love one)
কথায় বলে কোনও মানুষই খারাপ হয় না। পরিস্থিতি তাকে খারাপ কাজ করতে বাধ্য করে। আর নানা রকম পরিস্থিতির কারণেই তো আজ আমাদের দেশে ডিভোর্স কেসের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আসলে বিবাহ বিচ্ছেদ যে সব সময় স্বামী বা স্ত্রীর কোনও ভুলের কারণেই হচ্ছে, এমন নয়। বরং আমাদের লাইফস্টাইল অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্কের মাঝে ফাটল সৃষ্টি করছে। খেয়াল করে দেখলেই বুঝবেন কাজের চাপে আমরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে স্বামী বা স্ত্রীকে সেভাবে সময়ই দিয়ে উঠতে পারি না। সেই সঙ্গে কর্মজীবন সম্পর্কিত স্ট্রেসের কারণে মন-মেজাজ বেশিরভাগ সময়ই খিটখিটে হয়ে থাকে। ফলে কথায় কথায় মনোমালিন্য দেখা দেয়। আর সেই থেকেই তো এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন অনেকে।
এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন যাতে আপনাদের কাউকে হতে না হয়, তাই তো এই লেখায় এমন একটি গাইড লাইন দেওয়া হল, যা মেনে চললে দেখবেন কোনও পরিস্থিতিতেই সম্পর্ক (relationship) খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আর থাকবে না। বরং আপনার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে ভালোবাসাও এতটাই বেড়ে যাবে যে সম্পর্কে ফাটল ধরার আশঙ্কা আর থাকবে না (surprising ways to build more intimacy with your love one)।
কীভাবে তৈরি করবেন সম্পরকের ঠাসবুনট?
১. স্পর্শের কোনও বিকল্প হয় না কিন্তু:
আমরা সবাই আজ ব্যস্ত। কেউ কাজ নিয়ে, তো কেই অন্য নানা কারণে। কিন্তু এত ব্যস্ততার মাঝেও কোনও কোনও সময় স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসে টিভি দেখেন বা খাবার খান তো? সেই সময় স্বামীর হাতের উপর একটু হাত রাখুন। তার দিনটা কেমন গেল জানুন, প্রয়োজনে ভরসা যোগান। সুযোগ পেলে একটা প্যাশনেট কিস করুন, দেখেবেন যত চিন্তাতেই থুকন না কেন আপনার স্বামীর মন নিমেষে ভালো হয়ে যাবে (how to build intimacy with your husband)।
আরেকটা কাজও করতে পারেন, অফিস থেকে ফেরা মাত্র তাকে এক গ্লাস জল এগিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে তার পাশে এসে বসুন। কপালে চুম্বন করুন, হাতটা ধরুন। ইচ্ছা হলে টাইট হাগও করতে পারেন। এমনটা করলে দেখবেন দুজনের মনই কেমন আনন্দে ভরে উঠবে। তাছাড়া এমন ভালোবাসার স্পর্শ পাওয়া মাত্র আমাদের শরীরের ভিতরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে স্ট্রেসের মাত্রা তো কমেই, সেই সঙ্গে মন আনন্দে ভরে উঠতেও সময় লাগে না। তাই আপনার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ুক, এমনটা যদি চান, তাহলে স্পর্শের গুরুত্বকে ভুলে গেলে চুলবে না কিন্তু!
২. পার্টনারের ছোট ছোট বিষয় খেয়াল রাখার চেষ্টা করুন:
কথায় বলে “শেয়ারিং ইজ কেয়ারি”। তাই প্রতি দিন, প্রতি মুহূর্তে এক অপরের পাশে থাকার চেষ্টা করুন। বাড়ির কাজ হোক, কি বাইরের, দুজনে মিলে তা করুন। আসলে কী জানেন একা চাপ নিতে নিতেই কিন্তু এক সময় গিয়ে মানুষ রেগে যান। ফলে সম্পর্কের মধ্যে কোনও মজা থাকে না। তাই একে অপরের পাশে থাকার প্রয়োজন রয়েছে, প্রয়োজন রয়েছে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়ারও। সেই সঙ্গে রাতে শুতে যাওয়ার সময় ভালোবসার মানুষটিকে একটু ভালোবাসুন, একে অপরকে জড়িয়ে ঘুমোন, দেখবেন সম্পর্কের মাঝে ঘনিষ্ঠতা (love) এত বেড়ে যাবে যে ভুল বোঝাবুঝির জন্য কোনও জায়গাই থাকবে না।
৩. সারপ্রাইজ দিন মাঝে মাঝে:
হঠাৎ করে উপহার পেতে কার না ভালো লাগে বলুন! আর গিফ্ট পেলে যে কারও মনই যে সঙ্গে সঙ্গে খুশিতে ভরে ওঠে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে। তাই সম্পর্কের একঘেয়েমি কাটাতে মাঝে মাঝেই আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে নানাভাবে সারপ্রাইজ দিন। তবে প্রতিবারই যে খুব দামী গিফ্ট দিতে হবে, এমন নয়! ইচ্ছা হলে তার পছন্দের ফুল বা ড্রিঙ্কসও কিনে আনতে পারেন। মোট কথা হল আপনি যে তাকে নিয়ে ভাবছেন সেটা তাকে বোঝাতে হবে, তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে (rebuilding intimacy in marriage)!
এক্ষেত্রে আরেকটা বিষয়ও মাথায় রাখা জরুরি, তা হল সারপ্রাইজ মানে যে সব সময় গিফ্ট দিতে হবে, এমনও নয় কিন্তু। তাহলে? ধরুন আপনার স্বামী যখন আপনার থেকে ভালোবাসা পাবেন বলে একদমই আশা করছেন না, তখন তাকে অবাক করে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করুন, শরীরিক মিলনে লিপ্ত হন। এমন সারপ্রাইজও কিন্তু দুজন মানুষকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে রোজের স্ট্রেস এবং চিন্তাও দূর হয়।
৪. শরীরিক মিলনের ক্ষেত্রেও একঘেয়েমি কাটিয়ে তুলুন:
সম্পর্কের ভিতকে আরও শক্তপোক্ত করে তুলতে শারীরিক মিলনের যে কোনও বিকল্প নেই, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সময় একঘেয়েমি না আসে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। আর তার জন্য আলাদা আলাদা ভবে শারীরিক মিলনে যেমন লিপ্ত হতে হবে, তেমনি এই বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে গল্প করতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন সামগ্রিক বিষয়টা এতটাই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে যে সেক্স সম্পর্কিত একঘেয়েমি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আর থাকবে না। ফলে সম্পর্কের মাঝের আগুন (love) নিভে যাওয়ার আশঙ্কাও কমবে।
৫. ওল্ড ইজ গোল্ড:
হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের যুগে প্রেমপত্র বহুকাল আগেই সমাধি নিয়েছে। এখন তো একটা মেসেজের মাধ্যমে সেকেন্ডেই মনের কথা অন্যকে জানানো সম্ভব। কিন্তু একথা মানুন বা না মানুন, সম্পর্ককে মজাদার করে তুলতে মাঝে মঝে যদি প্রেমপত্র লিখতে পারেন, তাহলে কিন্তু বেশ হয়। আপনার মনের কথা একটা কাগজে লিখে স্বামীর মানি ব্যাগের মধ্যে রেখে দিন। হঠাৎ করে সে যখন সেই চিঠির সন্ধান পাবে, আর পড়তে শুরু করবে, তখন তার মন কতটা অনন্দে ভরে উঠবে বলুন! তাই তো বলি, মাঝে মাঝে এমনভাবে মনের কথা প্রকাশ করুন, দেখবেন সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা (emotional intimacy) আকাশ ছোঁবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
Read More From লাইফস্টাইল
এই ৬টি ঠোঁটের অধিকারিণীরা এইসব গুণের মানুষ হন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA