ফ্যাশন

শাড়ি যত্নে রাখার দরকারি টিপস (How to take care of your Sarees)

Doyel Banerjee  |  Feb 20, 2019
শাড়ি যত্নে রাখার দরকারি টিপস (How to take care of  your Sarees)

যে কোনও ভারতীয় নারীর কাছে শাড়ি (Sarees) অত্যন্ত প্রিয় একটি পোশাক। বিশেষ করে বাঙালি (Bengali) মেয়েরা তো এখন শাড়ি (Saree) বলতে অজ্ঞান। শাড়ি পরতে সব মেয়েরা ভালবাসলেও যখন শাড়ির (Sarees) যত্নর কথা ওঠে তখনই ললনাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা যায়। অনেকেই জানেন না বিভিন্ন ফ্যাব্রিকের শাড়ি (Saree) কীভাবে যত্ন নিতে হয়। আর এইসব নানা কারণেই বুক দিয়ে আগলে রাখা বিয়ের বেনারসি (Benarasi) বা প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে পাওয়া শাড়ি (Saree) নষ্ট হয়ে যায়। কী বলব বলুন দেখি! চোখের জল ফেলা ছাড়া তখন আর কোনও উপায় থাকে না। না, আর চোখের জল ফেলার দরকার নিই। সিল্ক (Silk) থেকে সুতি (Cotton), সব রকম শাড়ি (Sarees) যত্নে রাখার দরকারি টিপস নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা।

আরও পড়ুনঃ বাঙালি শাড়ির নানা ধরন ও পরার স্টাইল

সিল্ক শাড়ি

সিল্কের শাড়ি সব সময় ড্রাই ক্লিন করাবেন। কারণ এই শাড়ির ফ্যাব্রিক খুব ডেলিকেট হয়। ড্রাই ক্লিন করার পর মসলিন কাপড়ে মুড়ে আলমারির এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে আলো পৌঁছয় না। যদি কোনও দাগ লেগে যায় এবং শাড়ি কাচতে হয় তাহলে ভুলেও ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। ছোট্ট দাগ লাগলে পুরো শাড়ি কাচার দরকার নেই। যেখানে দাগ লেগেছে সেই জায়গাটা হাত দিয়ে ঘষে তুলে দেবেন।

শিফন ও জর্জেট শাড়ি

যেহেতু শিফন ও জর্জেট দুটোই খুব পাতলা হয় তাই খুব সাবধানে এই শাড়ি সামলাতে হয়। নাহলে শাড়ি ছিঁড়ে যেতে পারে। কোনও প্যাকেট টাইট করে এই শাড়ি রাখবেন না। আর যখন এই শাড়ি পরবেন অকারণে একগাদা সেফটিপিন লাগাবেন না। যেহেতু এই শাড়ি স্ট্রেচ করে না, তাই ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। ভাঁজ থেকে ছিঁড়ে যাওয়ার চান্স এই শাড়ির সবচেয়ে বেশি তাই মাঝে মাঝে শাড়ির ভাঁজ পালটাবেন।

টিস্যু, নেট ও অরগ্যাঞ্জা শাড়ি

শিফন ও জর্জেটের মতো এই জাতীয় শাড়িও খুব সহজে ছিঁড়ে যেতে পারে। তাই এক্সট্রা কেয়ার প্রয়োজন। মেশিনে এই শাড়ি কখনওই কাচবেন না। বেশিক্ষণ এই শাড়ি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখবেন না। শাড়ি ভাঁজ করা থাকলে সেই ভাঁজ প্রায়শই পাল্টাতে হবে।

সুতির শাড়ি

সুতির শাড়ির যত্ন অনেক সহজ। এই শাড়ি আপনি বাড়িতেই কাচতে পারেন। শুধু একটা কথা খেয়াল রাখবেন। শাড়ি রোদ্দুরে শুকোতে দেবেন না তাহলে রঙ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।যদি শাড়ির রঙ কালো বাঁ নীল হয় তাহলে অন্য কোনও পোশাকের সঙ্গে এই শাড়ি কাচবেন না। কারণ সুতির শাড়িতে নীল আর কালো রঙ সবচেয়ে বেশি ওঠে। শাড়ি কাচা হলে তাতে মাড় দেবেন যাতে ইস্ত্রি করতে সুবিধা হয়।

স্যাটিন শাড়ি

স্যাটিনের শাড়ি জল সহ্য করতে পারে না। এই জাতীয় শাড়িতে জল দিলেই তা স্যাটিনের বুনট আলগা করে দেয়। তাই স্যাটিনের শাড়ি সব সময় ড্রাই ক্লিন করাবেন।

প্রি-স্টিচড হাফ শাড়ি ও লেহেঙ্গা শাড়ি

বেশিক্ষণ হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখবেন না বা দলা পাকিয়ে রাখবেন না। তাহলে এই জাতীয় শাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। এই শাড়িরও ড্রাই ক্লিনিং প্রয়োজন কারণ মেশিনে কাচলে সুতো ছিঁড়ে যেতে পারে।

মনে রাখবেন

প্রথমবার শাড়ি ধোবেন নুনজলে। এতে রঙ বেশিদিন ভালো থাকে।

ডিটারজেন্ট দেওয়ার আগে শাড়ি ঠাণ্ডা জলে দু’তিনবার ধোবেন।

রাসায়নিকমুক্ত অরগ্যানিক ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন।

ওয়াশিং মেশিনের চেয়ে শাড়ি হাতে কাচা ভালো।

ইস্ত্রি করার সময় নিচে ও উপরে কাপড় রেখে নেবেন যাতে অসাবধানে শাড়ি পুড়ে না যায়।

একটা প্যাকেটে অনেকগুলো শাড়ি না রেখে একেকটাতে একেকটা শাড়ি রাখুন।পোকার হাত থেকে শাড়ি বাঁচাতে আলমারিতে ন্যাপথা ব্যবহার করুন।  

Picture Courtsey: Pinterest

 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

 

Read More From ফ্যাশন