ফেসবুক (facebook) এখন একটা নতুন বিশ্ব হয়ে উঠেছে। বন্ধু (friend) আছে, আত্মীয় আছে, অফিসের সহকর্মী আছে। আবার এমনও অনেকে আছে, যাঁদের আমরা চিনি না। যাঁদের সঙ্গে আমাদের কোনওদিন দেখা হয়নি। আগামী দিনে দেখা হওয়ার কোনও সম্ভাবনাও নেই। কিন্তু এঁদের সবাইকে নিয়েই গড়ে উঠেছে অন্য এক পরিবার। অনেকেই তাই ফেসবুককে নিজের এক্সটেন্ডেড পরিবার বলে পরিচয় দেন। কিন্তু সব কিছুরই ভাল দিক এবং মন্দ দিক দুটোই আছে। অনেকেই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে, মিথ্যে পরিচয়ে বন্ধুত্ব পাতান। মিথ্যে দিয়ে যেটা শুরু হয় তার উদ্দেশ্য যে সৎ নয় সেটা বলাই বাহুল্য। তাই ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট (request) গ্রহণ করার আগে একটু ভাবনা চিন্তা করা উচিত। বন্ধুত্বের সম্পর্ক খুব সুন্দর। সেটাকে কেউ নষ্ট করুক আমরা চাইনা। তবে সাবধানীর মার নেই। ভেবে চিন্তে পা ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ তাই না?
যখন কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবে
১) যাঁকে আপনি একদমই চেনেন না, অর্থাৎ না সে আপনার চেনা বা না সে আপনার বন্ধুদের চেনা, তাঁর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ না করাই ভাল। আর এটা শুধু পুরুষ বন্ধুর ক্ষেত্রে নয় মহিলাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ “এতো একটা মেয়ে, এ কীই বা করবে?” এটা ভেবে দুম করে বন্ধুত্ব গ্রহণ করবেন না।
২) যখন কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন, তাঁর সঙ্গে আপনার কোনও মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে কিনা সেটা দেখে নিন। যদি থাকে তাহলে তাঁকে জিগ্যেস করুন যে এই ব্যক্তি আপনাকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন, তিনি একে চেনেন কিনা? এমন অনেক সময় দেখা গেছে যিনি আপনাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন তিনি আপনার মিউচুয়াল ফ্রেন্ডের চেনা নন।
৩) আপনার নাম আপনার পরিচয়। সেই নাম গোপন করে যখন কেউ “ভোরের শিশির”, “কাগজের নৌকো”, “গোপন প্রেমিক” বা “সুদুরের পিয়াসী” গোছের ভুলভাল নামে অ্যাকাউন্ট খোলে তখন বুঝতে হবে যে বস, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়! আপনাকে এরকম কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে সেটা গ্রহণ না করাই বিবেচকের মতো কাজ হবে। সে যদি বারবার বিরক্ত করে তাহলে সরাসরি তাঁর প্রকৃত নাম জানতে চান।
৪) আপনাকে দীপিকা পাদুকোনের মতো দেখতে নয়। আপনাকে কার্তিক আরিয়ানের মতোও দেখতে নয়। এটা আপনি বিলক্ষণ জানেন। কারণ আপনাকে একদম আপনার মতোই দেখতে। যারা সিনেমার অভিনেতা বা অভিনেত্রীর ছবি দিয়ে প্রোফাইল তৈরি করেন তাঁরা যে কোনও কারণেই হোক নিজেদের আইডেন্টিটি প্রকাশ্যে আনতে চান না। আপনি বিশেষ কোনও তারকার ফ্যান বা ভক্ত হতেই পারেন। চাইলে আপনি তাঁর হয়ে ফ্যানপেজ চালান। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত প্রোফাইলে তাঁর ছবি দেওয়া ইজ ভেরি ভেরি ফিশি! তাই এমনটা হলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট নাকচ করবেন।
৫) যিনি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন তাঁর প্রোফাইল ভাল করে চেক করুন। যদি তিনি লেখেন যে তিনি নিউ ইয়র্কে বা স্কটল্যান্ডে থাকেন, সেটা দেখেই আহ্লাদে আটখানা হয়ে যাবেন না। এগুলো মিথ্যেও হতে পারে। তাঁর পেশাগত প্রোফাইলেও অনেক ভুল তথ্য থাকতে পারে। সেগুলোও চেক করে নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
৬) যিনি আপনাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন, তিনি কি আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে স্টক করছেন? অর্থাৎ বেশ কিছুদিন ধরে আপনার অ্যাকাউন্ট ফলো করছেন? আমাদের পরামর্শ স্টকার হইতে দূরে থাকুন। এঁরা মানসিক ভাবে অসুস্থ।
বিশেষ পরামর্শ
ফেসবুক সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে, কেউ আপনাকে ঠকালে, অশ্লীল মেসেজ করলে, আপনার ছবির অসৎ ব্যবহার করলে দেরি না করে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলে যোগাযোগ করুন। বিশদ জানতে এখানে ক্লিক করুন।
যাতে যখন তখন যে কেউ আপনাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে না পারেন নিজের ফেসবুকের সেটিং সেভাবে করে রাখুন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!