বাঙালি (bengali) ছেলেকে যখন ভালোবেসে ফেলেছেন, তখন আগে থেকে কিছু জিনিস জেনে রাখা উচিত। আসলে কী জানেন বাঙালিদের কিছু জন্মগত অভ্যাস রয়েছে, যা একজন বাঙালির পক্ষেই জানা সম্ভব। তাই তো এটা আমার দায়িত্ব যে আপনাকে সেই বিষযগুলি সম্পর্কে জানিয়ে রাখি (This Things Every Non-Bengali Girl Dating a Bengali boy Should Know)। যেমন ধরুন…
১. আমরা খেতে খুব ভালোবাসি:
কম-বেশি প্রায় সব বাঙালিই কিন্তু বেজায় খাদ্যরসিক (foodie) হন। তাই যে কোনও সময়ে পাত পেড়ে খাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে একটু প্রস্তুত থাকতে হবে। আর ভাববেন না কয়েকটা পদেই খাওযা শেষ হয়ে যায় আমাদের। বরং বাঙালি মানে তার থালায় প্রথমে আসবে শাক, নয়তো সুক্ত। এর পর এক একে আসে আরও হরেক রকমের পদ। তাতে ডাল থাকে, থাকে মাছও। আর সব শেষে আসে চাটনি, নয়তো মিষ্টি। এইসব শুনে কি চোখ ছানা বড়া হয়ে গেছে নাকি? আর যদি হয়েও থাকে তাহলেও কিছু করার নেই! বরং আপনি আপনার হজম শক্তিকে কীভাবে বাড়াবেন সেটা একটু ভাবুন প্লিজ!
২. মাঝে মধ্যে একটু পেট খারাপ হয় বৈকি:
আসলে এত পরিমাণে খেলে মাঝে মাঝে ইঞ্জিন তো একটু বসে যাবেই। তখন কাঁচা কলা আর মাছ দিয়ে তৈরি পাতলা ঝোল কয়েক দিন খেলেই কেল্লা ফতে! তখন আবার পুরনো ফর্মে ফিরে আসবে পেট, আর শুরু হয়ে যাবে আমাদের ছক্কা হাঁকানো। তাই বলি কী, আপনার বয়ফ্রেন্ড বা হবু স্বামী যদি মাঝে মাঝেই পেট খারাপ নিয়ে কান্নাকাটি করেন, তাহলে দয়া করে ধৈর্য হারাবেন না যেন! জানবেন প্রতিদিন সূর্য যেমন ওঠে আর অস্ত যায়, তেমনিই বাঙালির (bengali boy) পেটের রোগও একটি “ন্যাচারাল ফিনোমেনা”!
৩. ছুটির দিন মানেই সকাল-সন্ধ্যে আড্ডা:
বাঙালিরা হলেন আড্ডাবাজ। খেলা থেকে শুরু করে রাজনীতি, সবেতেই আমাদের জ্ঞানের ভান্ডার একেবারে পরিপূর্ণ, আর তা প্রকাশ করার একটা জয়গা পেতে হবে তো! তাই ছুটির দিনে চায়ের ঠেকে চুটিয়ে আড্ডা দেওয়া আমাদের জন্মগত অভ্যাস। আর সেই আড্ডা কিন্তু ঘড়ি ধরে হয় না। তাই শনিবার বা রবিবার সকালে আপনার স্বামী বাজার করতে বেরিয়ে যদি কয়েক ঘন্টা নিরুদ্দেশ থাকেন, তাহলে থানায় না গিয়ে বরং পাড়ার কেলোদার চায়ের ঠেকে একবার ঢুঁ মারলেই দেখা পেয়ে যাবেন আপনার মানিকের!
ও দাঁড়ান দাঁড়ান আরেকটা কথা তো বলাই হল না! কী কথা? বাঙালি ছেলেরা কিন্তু শুধু চায়ের ঠেকেই আড্ডা দিতে ভালোবাসে, এমন নয়! ছুটির দিনে সন্ধ্যাবেলা সপরিবারে বসে আলুর চপ-বেগুনি আর মুড়ি সহযোগে আড্ডা দিতেও কিন্তু বেশ ভালোবাসে। তাই এমন মানুষের সঙ্গে তাকতে হলে নিজের জ্ঞানের স্টকটা একটু বাড়িয়ে নিতে দেরি করবেন না যেন! আর বিয়ের আগে এই কথাটা আপনার পরিবারের সদস্যদেরও একটু জানিয়ে রাখবেন, না হলে একটু শক পেতে পারেন এই আর কী!
৪. কানে তুলো দেওয়ার মতো পরিস্থিতি আসলেও আসতে পারে:
ঠিক কি বলতে চাইছি বুঝলেন না নিশ্চয়? আসলে বাঙালিদের একটু জোরে কথা বলার অভ্যাস। আর আপনি যেমনটা এতদিনে নিশ্চয় জেনেই গেছেন যে আমারা একটু ইমোশনাল গোছের হই। তাই আবেগপ্রবণ হলেই ডেসিবেলটা চড়তেও সময় লাগে না। এক কথায় বলতে পারেন আমরা জোরে কথা বলতে বেশ পছন্দ করি। তাই আপনার বয়ফ্রেন্ডের এমন অভ্যাস আপনি বদলে ফেলতে পারবেন , এমনটা ভেবে নিলে কিন্তু ভুল করবেন। বরং সঙ্গে একটু তুলো রখতে পারেন, যখন দেখবেন তার গলার আওয়াজ আপনার সহ্য ক্ষমতা পেরিয়ে গেছে, তখন টুপ করে কানে লাগিয়ে ফেললেই অপার শান্তি!
৫. বই পড়তে আর কবিতা লিখতে ভালোবাসেন তো?
বাঙালি ছেলেরা কম-বেশি প্রায় সবাই বই পড়তে খুব ভালোবাসেন (bengali boy character)। সেই সঙ্গে কবিতা লেখা আর গান-বাজনার প্রতি প্রেম তো বাঙালিদের সেই জন্ম থেকে। তাই আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে একটু সময় দিতে হবে এই সব কাজ করার জন্য, না হলে কিন্তু তার মুখ ভাড় হতে সময় লাগবে না। বরং আপনি একটা কাজ করতে পারেন! আপনিও বই পড়ার অভ্যাস করুন, দেখবেন খেলা জমে যাবে!
৬. মাটন প্রীতি আর কোল-বালিশ:
এই দুটি বিষয়ে আপনাকে না জানালে পরে হয়তো আপনি আমার কলার ধরতে পারেন! তাই বাঙালি ছেলেকে যখন বিয়ে করতে চলেছেন, তখন জেনে রাখা উচিত যে বিরিয়ানির আলু আর মাটন আমাদের কাছে প্রাণের থেকেও বেশি মূল্যবান। তাই কোনও রবিবার মাটন শপের সামনে যদি লম্বা লাইন দেখেন, তাহলে অবাক হবেন না যেন! বরং এখন থেকেই মাটন কষার রেসিপিটা একবার দেখে নিন, তাতে আপনার ভালোবাসার মানুষটার মন জয় করতে দেখবেন আর ঘাম ঝরাতে হবে না।
কোল-বালিশ কী তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে মাথার বালিশের মতোই লম্বা গোছের এক ধরনের বালিশ আমরা ব্যবহার করে থাকি, তাকেই ভালোবেসে বাঙালিরা কোল-বালিশ নামে ঢেকে থাকে। এই বিশেষ ধরনের বালিশটা জড়িয়ে ঘুমতো কিন্তু আমাদের বেশ লাগে। তাই কোনও বাঙালি ছেলেকে যদি ভালোবাসতে হয়, তাহলে তার কোল-বালিশকেও কিন্তু সমানভাবে ভালোবাসতে হবে!
৭. হাম লোগ পানি খাতা হ্যায় পিতা নেহি হ্যায়:
আপনি কি হিন্দি ভাষি? তাহলে আপনার জেনে রাখা উচিত যে বাঙালিদের হিন্দি একটু আলাদা গোছের হয়। তাই এমন হিন্দিকে আমরা বং হিন্দি নামে ঢেকে থাকি। বং এই কারণে যে আমরা বাংলা ভাষার মতো করে হিন্দি বলি, আর সেটা বুঝতে প্রথম প্রথম হয়তো আপনার একটু কষ্ট হতে পারে। আসলে আমরা আপনাদের মতো পানি পিতা হ্যায়, এমনটা বলি না। বরং আমরা বলি পানি খাতা হ্যায়। কারণ জল থেকে ভাত সবই আমরা খেয়ে থাকি! তবে সব বাঙলির হিন্দিই যে এমন, এমনটা নয় যদিও!
৮. বাঙালিরা কিন্তু কথায় কথায় ঘুরতে যেতে খুব ভালোবাসেন:
এই একটা জিনিস প্রথম থেকেই মাথায় ঢুকিয়ে নিন যে বাঙালি ছেলেরা খেতে যেমন ভালোবাসেন, তেমনি ঘুরতে যেতেও (bengali and travel) বেজায় পছন্দ করেন। তাই বাঙালিকে বিয়ে করতে চলেছেন যখন তখন হঠাৎ হঠাৎ করে আপনার স্বামীর সঙ্গে কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই এই বিষয়ে তাকে যতটা সম্ভব উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করবেন, দেখবেন আনন্দে ভরে উঠবে আপনাদের বৈবাহিক জীবন।
ছবির কৃতজ্ঞতা স্বীকার: instagram
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
Read More From লাইফস্টাইল
এই ৬টি ঠোঁটের অধিকারিণীরা এইসব গুণের মানুষ হন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA