যে-কোনও জিনিস কেনার আগে সেটার দোষগুণ অন্তত দশবার যাচাই করে নিয়ে থাকি। দাম-দর করি, রঙ দেখি, ডিজাইন দেখি আর কত কিছু না দেখে তবেই কিনি। কোনওভাবেই যাতে আমরা ঠকে না যাই তার ব্যবস্থা করে রাখি। সবকিছুর জন্য এত সুরক্ষা নিয়ে থাকি তা হলে স্যানিটারি ন্যাপকিন (sanitary napkin) কেনার সময় কেন এগুলো করি না বলুন তো? আসলে আমরা মনে করি, ওটা তো নেহাতই একটা ব্যবহার করে ফেলে দেওয়ার জিনিস, প্রতি মাসে ব্যবহারের জিনিস। সেটা আবার দেখেশুনে নেওয়ার কি আছে ? কিন্তু যে জিনিসটা আপনাদের শরীর স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত, সেটা কি এত হেলাফেলার জিনিস? স্যানিটারি ন্যাপকিন (sanitary napkin) কেনার সময় কোন-কোন বিষয় মাথায় রাখবেন, সেটা একবার অবশ্যই দেখে নিন। সামান্য একটা ভুলের জন্য নিজের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে কেন অবহেলা করবেন?
বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হবেন না
টিভিতে নানা ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিনের নানা বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। স্বাভাবিকভাবেই সবগুলোই যে গুণগত মানের দিক থেকে উত্তম, সেটা বলা হয়। তবে আপনার কী প্রয়োজন, সেটা আপনি নিজে জানেন। তাই বিজ্ঞাপনের চটক দেখে প্রভাবিত হবেন না।
কী দিয়ে তৈরি হয় জানেন কি?
হ্যাঁ, এটা স্যানিটারি প্যাড কেনার সময় দেখে নেওয়া রীতিমতো অসম্ভব। তবে যে ব্র্যান্ড আপনি ব্যবহার করেন, সেটা নিয়ে ইন্টারনেটে আপনি রিসার্চ করে নিতে পারেন। সব ব্র্যান্ডই দাবি করে যে, তারা প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে প্যাড তৈরি করে। আসলে সেটা সত্যি না-ও হতে পারে। বর্তমানে কয়েকটি ব্র্যান্ড কর্ন স্টার্চ আর বাঁশের ফাইবার ব্যবহার করছে। এগুলো স্বাস্থ্য বা হাইজিন রক্ষায় ভাল। তাই সেগুলো একবার দেখে নিতে পারেন।
ডিসপোজেবল ব্যাগসমেত ন্যাপকিন হল সঠিক সিদ্ধান্ত
আপনি নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা সচেতন পরিবেশ ও অন্যদের স্বাস্থ্য নিয়েও সেরকমই সচেতন আপনাকে হতে হবে। তাই যে সব ব্র্যান্ড ডিসপোজেবল ব্যাগসমেত ন্যাপকিন বিক্রি করে তাদেরটা বেচে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
সিন্থেটিককে না বলুন
সিন্থেটিক প্যাড আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে যে আঠা ব্যবহার হয়, সেটাতে র্যাশ ও অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া ব্যবহারের পর এই প্যাডগুলো যখন ফেলে দেওয়া হয় কৃত্রিম হওয়ার দরুন এগুলো পচনশীল হয় না। চেষ্টা করুন বায়োডিগ্রেডেবল প্যাড ব্যবহার করতে। এটি শরীরের পক্ষেও ভাল আবার পরিবেশের জন্য ভাল।
দোকানে গিয়ে লজ্জা পাবেন না
আপনি কি মাথা ধরার ওষুধ কিনতে গিয়ে লজ্জা পান? শাড়ি কিনতে গিয়ে বা জুতো কিনতে গিয়ে? না, তাই তো? তা হলে ওষুধের দোকানে গিয়ে যা খুশি একটা ন্যাপকিনের প্যাকেট নিয়ে বাড়ি কেন চলে আসেন? এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা ব্যাপার আর এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। আপনার ঋতুস্রাব কতদিন থাকে, তার ফ্লো কীরকম হয় সেটা আপনার চেয়ে ভাল কেউ জানে না। দোকানে গিয়ে সেই মতো প্যাড বেছে নিন। অনেক ব্র্যান্ড দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারযোগ্য প্যাড তৈরি করে সেগুলো কিনে নিন।
মাতৃত্বকালীন ন্যাপকিন
সদ্য মা হয়ে থাকলে আপনার অনেক বেশি ঋতুস্রাব হবে। তখন আপনার একটু মোটা ন্যাপকিন দরকার যেটা বেশিক্ষণ চলে। রাতের জন্য আলাদা ন্যাপকিনের বন্দোবস্ত করুন যেটা সারা রাত চলবে এবং আপনাকে বারবার উঠতে হবে না। অনেক ন্যাপকিনে অ্যালোভেরার দ্রবণ দেওয়া থাকে, সুরক্ষার জন্য সেটাও ব্যবহার করতে পারেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!