
সকাল থেকে উঠেই আপনার মন আজ খুব ভাল ছিল। অথচ দুই ঘণ্টা পর মন খারাপ। তার যদিও কোনও কারণ আপনি খুঁজে পেলেন না। আবর হঠাৎই রেগে গেলেন। এরকম কি আপনার হয়? তাহলে আপনার ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন হয়। মুড সুইং(mood swings)-এর মতো সমস্য়া আপনারও আছে। কিন্তু এই মুড সুইং (mood swings) আসলে কী? কেনই বা হয়?
মুড সুইং (mood swings) কী?
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের খুব দ্রুত মুড সুইং হয় সেইসময় তাঁদের মস্তিষ্ক খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং সমস্যার সমাধান বা কোনও ভবিষ্যৎ প্ল্যানিং করে ফেলতে পারে। তবে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল এটা সবার ক্ষেত্রে হয় না। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই বারবার মেজাজ পরিবর্তন হওয়া (mood swings) খুব ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে। মনোবিদরা আশঙ্কা করেন, গোড়ার দিকেই মুড সুইংয়ের সমস্যার সমাধান না করতে পারলে সেটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা দ্বৈত স্বত্বার মতো জটিল ও গভীর মানসিক রোগে পরিণত হয়।
কী কী কারণে হতে পারে মুড সুইং (mood swings)
চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী, আমাদের মস্তিষ্কে কয়েকটি নিউরোট্রান্সমিটার আছে। হরমোন ক্ষরণও হয়। হরমোনের মধ্য়ে সেরোটোনিন ও নরপাইনফ্রাইন হল খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি আমাদের ঘুমের ধরন, নানা রকমের মানসিক স্থিতি ও আবাগের ওঠাপড়ার সঙ্গে জড়িত। আর দ্বিতীয়টির সম্পর্ক আছে স্মৃতি, কোনও কিছু শেখার দক্ষতা ও শারীরিক চাহিদার সঙ্গে। এই হরমোনের তারতম্যের কারণে মুড সুইং হতে পারে।
আরও কী কারণ থাকতে পারে
- মানসিক চাপ
- অ্যাংজাইটি
- অবসাদ বা ডিপ্রেশান
- মদ্যপান
ঘুমের অভাব - বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা দ্বৈত সত্ত্বা
- প্রিমেনস্ট্রুায়ল সিনড্রোম
- কাজের চাপ
কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন mood swings
- পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন।
- সঠিক ডায়েট মেনে চলা।
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মেনে চলা।
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
কোনও বিশেষ অসুবিধা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে আপনাকে। খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবেন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!