পড়াশোনা

এই ৭ জন ভারতীয় মহিলা অন্ত্রপ্রনিয়র-এর কাহিনী জানেন কি?

Debapriya Bhattacharyya  |  Mar 18, 2019
এই ৭ জন ভারতীয় মহিলা অন্ত্রপ্রনিয়র-এর কাহিনী জানেন কি?

আত্মবিশ্বাসী, কর্মঠ, বুদ্ধিদীপ্ত এবং সফল – এই বিশেষণগুলিই এই মুহূর্তের ভারতীয় মহিলা অন্ত্রপ্রনিয়র-দের জন্য প্রযোজ্য। পুরুষশাসিত সমাজে মহিলাদের জন্য প্রথম থেকেই প্রচুর বাধানিষেধ ছিল। পুরুষরা বাইরে বেরবে, কাজ করবে আর মহিলারা থাকবে অন্দরে – এরকম একটা ধারণা অথবা নিয়ম, যাই বলি না কেন, চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। অনেক লড়াই করে শেষ পর্যন্ত কিন্তু মহিলারা নিজেদের জায়গাটা করে নিতে সফল হয়েছেন। শুধু তাই নয়, অন্যদেরকেও এই মহিলারা অনুপ্রাণিত করতে সফল হয়েছেন। এরকমই কয়েকজন ভারতীয় মহিলা অন্ত্রপ্রনিয়র-এর (entrepreneur) সম্বন্ধে আজ কথা বলব, যাতে বাকিরাও নিজে থেকে কিছু করার জন্য অনুপ্রেরণা পান –

১। ডক্টর কিরণ মজুমদার শ

লক্ষ্যে পৌছনোর জন্য যে পরিশ্রমই একমাত্র চাবিকাঠি, ডক্টর কিরণ মজুমদার শ-এর জার্নি দেখলেই সেটা বোঝা যায়। মাত্র দশ হাজার টাকা দিয়ে ‘বায়োকন ইন্ডিয়া’ নামে একতা ভেঞ্চার আরম্ভ করেছিলেন তিনি আর ২০০৪ সালে তাঁকেই দেশের সবচেয়ে ধনী মহিলা বলে গন্য করা হয়।

২। বন্দনা লুথরা

ভিএলসিসি নামটা আজ সবার পরিচিত। এই ওয়েলনেস সেন্টারের যিনি প্রতিষ্ঠাতা, তিনি হলেন বন্দনা লুথরা। কস্মেটোলজিতে ট্রেনিংপ্রাপ্ত বন্দনা প্রথমে স্যালো আরম্ভ করেন এবং আজ ভারত এবং মধ্য-প্রাচ্য মিলিয়ে ভিএলসিসি-র ১৫০টিরও বেশি সেন্টার আছে।

৩। একতা কাপুর

ভারতীয় টেলিভিশন সিরিয়ালের ভোল বদলে মধ্যবিত্তের ড্রইংরুমে ঢুকে এসেছিলেন যিনি তিনি হলেন একতা কাপুর। এখনও তিনি একের পর এক শুধু সিরিয়াল না, সিনেমাও প্রযোজনা করে চলেছেন এবং দেশের অন্যতম সফল মহিলা অন্ত্রপ্রনিয়র-দের মধ্যে তিনি একজন।

৪। রিচা কর

জিভামে – ভারতের অন্যতম অনলাইন লঞ্জারি শপিং ওয়েবসাইট, তার প্রতিষ্ঠাতা হলেন রিচা কর। তাঁর কথায়, যখন তিনি মোটা মাইনের কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে জিভামে লঞ্চ করার কথা ভাবছিলেন তখন অনেকেই তাকে অনেক রকম কথা শুনিয়েছিলেন, কিন্তু আজ সবাই জানে যে জিভামে এবং রিচা দু’জনেই কতটা সফল!  

৫। শেহনাজ হুসেন

এই নামটা সম্বন্ধে নতুন করে আর বলার কিছুই নেই। শেহনাজ হারবালস-এর সিএও শেহনাজ হুসেন প্রথম ‘দৈনিক রূপচর্চা’-র কনসেপ্ট ভারতে আনেন এবং ভারতীয় মহিলাদেরকে নিজের স্কিন, চুল এবং অন্যান্য রূপচর্চা সম্বন্ধে অবগত করেন। তাঁর কাজের জন্য তিনি প্রচুর পুরস্কার পেয়েছেন এমনকি পদ্মশ্রী ও পেয়েছেন।

৬। শুভ্রা চাড্ডা

যারা বেশ অন্যরকমের ডিজাইন বা গিফট পছন্দ করেন এবং অনলাইনে সেসব কিনতে পছন্দ করেন তাঁদের কাছে ‘চুম্বক’ নামটা খুবই পরিচিত। ২০১০ সালে এই অনলাইন স্টোর আরম্ভ হয় এবং শুভ্রা চাড্ডা তারই কো-ফাউন্ডার। এর মধ্যেই শুধু ভারতে না, জাপানেও চুম্বকের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে এবং শুভ্রা একজন সফল ভারতীয় মহিলা অন্ত্রপ্রনিয়র হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।

৭। প্রিয়াঙ্কা গিল

ভারতের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল মহিলা কম্যুনিটি POPxo ২০১৪ সালের মার্চে লঞ্চ করে এবং ইতিমধ্যেই তা শুধু ইংরেজিতেই নয় হিন্দি সহ আরও ৪টে আঞ্চলিক ভাষা যেমন বাংলা, তামি, তেলুগু এবং মারাঠিতেও আরম্ভ হয়েছে। শুধু তাই না, Luxeva নামে আরও একটি লাক্সারি ওয়েবসাইট এবং Plixxo নামে ইনফ্লুয়েন্সর প্ল্যাটফর্মও রয়েছে।  আর এগুলি সবই POPxo-র সিইও প্রিয়াঙ্কা গিলের ব্রেইনচাইল্ড।  

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

 

Read More From পড়াশোনা