“শুভ্র কোমল করকমল ফুটে থাক চিরদিন” এমনটাই বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। অর্থাৎ নারীর সৌন্দর্য বয়ানে হাত দুটিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এই হাতের লালিত্য আরও সুষমা মণ্ডিত হয় যখন তা সেজে ওঠে নানা রকম গয়নায় (Jewellery)। আমরা এমনিতেই হাতে আমরা নানারকম গয়না পরে থাকি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা বালা, চুড়ি ইত্যাদি পরি। কিন্তু বিয়ের সময় বাঙালি (bengali) কনের শুধু এটুকুতে হয় না। তাঁকে সাজিয়ে তুলতে আরও গয়না লাগে। এখন কনেরা আধুনিক হয়েছেন, তাঁরা হাল্কা গয়না পরতে চান। কিন্তু মা, ঠাকুমার হাতের সেই মকরমুখী মোটা বালা বা শাশুড়ির দেওয়া অনন্ত বাজুবন্ধের সৌন্দর্যের কোনও তুলনা হয়না। এগুলো হল বাঙালির ঐতিহ্য (traditional) আর সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা তাই নিয়ে এসেছি বাঙালি কনের সাবেকি সাজের সঙ্গে জড়িত কিছু হাতের গয়না। দেখে নিন এই ডিজাইনগুলো (designs), হয়তো আপনার কাজে লাগবে। আর না লাগলেও, পুরনো ধাঁচের এই গয়নার অপার সৌন্দর্য প্রাণ ভরে উপভোগ করুন।
মানতাসা
মানতাসা হল অনেকটা রিসলেটের মতো। কিন্তু এই গয়না বেশ ভারি এবং চওড়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এগুলো কনের মায়ের, দিদিমার বা ঠাকুমার লকারে তোলা থাকে। কারণ এটি বেশ পুরনো দিনের গয়না, এটি পরা হয় কব্জির কাছে বা রিষ্টে। এটি চওড়া ও চৌকো আকৃতির হয় এবং সঙ্গে চেন লাগানো থাকে। চেন দিয়েই এটি আটকানো হয়। দেখে নেব মানতাসার কয়েকটি ডিজাইন।
A.Sirkar
রতনচূড়
নাম যেমন সুন্দর দেখতেও ঠিক ততটাই সুন্দর এই গয়না। হাতের উপরভাগ অর্থাৎ তালুর উল্টো দিকে এটি পরা হয়। কব্জির কাছে এটি চুড়ির মতো আটকানো থাকে এবং বাকি অংশ ছড়িয়ে হাতের আঙুলের সঙ্গে লাগানো থাকে। কেউ কেউ এটি সোনার পরেন তবে এটি অনেকটাই ছড়ানো হয় এবং দু’হাতে পরা হয় বলে অনেকটা সোনা লাগে। তাই অনেকেই এটি জাঙ্ক জুয়েলারি দোকান থেকে কেনেন বা রুপোর উপর সোনার জল করিয়ে নেন। একে রতনচূড় ছাড়াও হাতফুলও বলা হয়। দেখে নেব কয়েকটি ডিজাইন।
অমৃতপাকের বালা
ভারি সুন্দর দেখতে এই বালা। এই বালা জোড়া পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে ডিজাইন করা হয় তাই একে অমৃতপাকের বালা বলা হয়। অনেক সময় বালার মুখ জোড়া থাকে দুটি মকর দিয়ে তাই একে অনেক সময় মকরমুখী বালাও বলা হয়। প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই গয়নার কিছু নকশা দেখে নেওয়া যাক।
অনন্তবালা বা অনন্তবাজুবন্ধ
এই গয়না অনেকটা মানতাসার মতো। এটি বাজুতে বা হাতের উপরিভাগে পরা হয়। তাই একে বাজুবন্ধও বলা হয়। তবে মানতাসার মতো এটি অত ভারি হয়না। এই গয়নার নাম অনন্ত কেন বলতে পারেন? সঠিক উত্তর আমিও জানি না। তবে সম্ভবত কনে তাঁর স্বামীকে নিয়ে অনন্ত সুখ লাভ করবেন বা তাঁর প্রতি স্বামীর ভালবাসা এই সোনার গয়নার বাঁধনের মতো অনন্ত হবে এই ভেবেই নামকরণ। কয়েকটি ডিজাইন দেখে নেওয়া যাক।
কঙ্কন
কী মিষ্টি না এই গয়নার নামটা? কঙ্কন! শুনলেই মনে হয় কিঙ্কিণী বেজে উঠছে দুই কঙ্কনে ঠোকা লেগে। এই গয়নাড় মাধুর্য সত্যিই নয়নাভিরাম। কঙ্কন আসলে বালাই। কিন্তু এর ডিজাইন একটু অন্যরকমের হয়। ফিলিগিরি কায়দায় অর্থাৎ এর উপর কোনও নকশা খোদাই করে এটি তৈরি হয়।
Featured Image: Flickrhivemind, Cute Jewelery,SparklewithSurabhi
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!
Read More From বিবাহ
চশমা পরা হবু কনেরা কিভাবে সাজবেন জেনে নিন
SRIJA GUPTA