
ভ্যালেন্টাইনস ডে (Valentine’s Day) কবে বলুন তো? কী? চোদ্দই ফেব্রুয়ারি (February)? একদম ভুল! হ্যাঁ মশাই ডাহা ভুল। সরস্বতী বিদ্যেবতীর যেদিন পুজো হয় অর্থাৎ বাগদেবীর আরাধনায় ভক্তিতে গদগদ হয়ে ওঠে, সেদিনই হল বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে (bong style Valentine’s day)। বাঙালির চিরন্তন প্রেম দিবস। ঠিক কী কী কারণে আজকের দিনটিকে বাঙালির প্রেম দিবস আখ্যা দেওয়া হয়েছে বলে মনে হয়? আমরা যে কারণগুলো বলছি আপনিও কি তাই মনে করেন?
পড়াশোনার নো চাপ
ছোটবেলায় শুনতাম সরস্বতী পুজোর দিন পড়াশোনা করা নাকি মহাপাপ! সত্যি কিনা জানি না। তবে ওই ভয়েতেই অনেকে সেদিন পড়াশোনা করে না। অনেকে তো আবার নিপাট ভালোমানুষ সেজে সব বই দেবীর চরণে রেখে আসে। পড়াশোনার চাপ না থাকায় মনটা থাকে ফুরফুরে তাই এদিক সেদিক হাল্কা ঝাড়ি চলতেই থাকে।
বসন্ত এসে গেছে
এমনিতেই বাঙালি যখন জন্মায় হাফ কবি হয়েই জন্মায়। আর বাংলার জল মাটিতে কিলবিল করছে কবিতার বীজ। তাই এখানে ঘরে ঘরে কবি।তার উপর বসন্তকাল নিয়ে গাদা গুচ্ছের গান, কবিতা হ্যানত্যান তো রয়েইছে। সুতরাং সব মিলিয়ে বেশ একটা প্রেম প্রেম ভাব জাগে সবার মনে।
বাবা-মায়ের নজর এড়িয়ে
পড়াশোনার চাপ যেমন থাকে না, ঠিক তেমনই বাবা-মায়েরা সেদিন ছেলেমেয়দের লাগামটা একটু ঢিলে দিয়ে থাকেন। স্কুল, কলেজ সহ পাড়াতেও অনেক পুজো হয়। তাই সক্কাল সক্কাল অঞ্জলি দিয়েই সবাই বেরিয়ে পড়ে। নিজের স্কুল, বন্ধুর স্কুল, বন্ধুর বন্ধুর স্কুল…সব জায়গায় ঢুঁ মারতে মারতে এক আধটা হাফ সিরিয়াস প্রেম হয়েই যায়।
কাছেই আছে ভ্যালেন্টাইন
সরস্বতী পুজোর মাত্র চার দিন পরেই আসলি ভ্যালেন্টাইনস ডে বলে কথা। তাই হৃদয় এমনিতেই প্রেমে ডগমগ থাকে। তীর ধনুক নিয়ে কিউপিডরা এইদিন আবার ফুল-অন ডিউটি দিয়ে থাকেন। ধুপধাপ যার তার দিকে যখন তখন তীর চালালেই ঝপাং করে প্রেমে আপনি কুপোকাত হতে বাধ্য।
হলুদ বনে কলুদ ফুল
কলুদ ফুল কোথায় ফোটে আমি জানি না। তবে বস, এই হলুদ রঙের কিন্তু একটা ম্যাজিক আছে এটা মানতেই হবে। পাশের বাড়ির টেঁপি থেকে দোতলার খেন্তি, ওই হলুদ শাড়ির মহিমায় দিব্যি মিষ্টি সুন্দরী হয়ে ওঠে। আর ছেলেরাই বা কম যায় কীসে? তাদেরও তো বাঙালির চিরন্তন চেনা পোশাক সেই ধুতি আর পাঞ্জাবি। সুতরাং বাঙালিয়ানা দেখানোর এমন সুযোগ আর কবে পাবেন বলুন তো?
স্কুল, কলেজ, কোচিং
হ্যাঁ, এই সবগুলো জায়গাতেই পুজো হয় দেবী সরস্বতীর। আর জ্যান্ত সরস্বতীরা মানে হলুদ শাড়ি পরা সুন্দর সুন্দর মেয়েরা সেখানে এক ঝাঁক প্রজাপতির মতো ঘুরে বেড়ায়। একসাথে অঞ্জলি দেওয়া থেকে শুরু করে পাত পেড়ে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ার আনন্দ তো আছেই। আর মেয়েরা সেদিন যেন হঠাৎ করেই অনেকটা বড় হয়ে যায়। খাবার পরিবেশন হোক বা পুজোর অন্যান্য কাজ, সবেতেই তারা শাড়ি গাছকোমর করে এগিয়ে আসে। আহা, ওই সময় টুকটুক করে মেয়েদের আড়চোখে দেখতে ভালোই লাগে।ওই গিন্নিপনা করার মধ্যেই আবার অনেকে নিজের হবু গিন্নিকে দেখতে পান কিনা!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!