রান্নাঘর বাড়ির মধ্যে এমন একটি জায়গা যার উপরে বাড়ির সদস্যদের স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভর করে। আসলে রান্নাঘরে আমরা খাবার তৈরি করি এবং খাবারই আমাদের সুস্বাস্থ্যের সিক্রেট। তবে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য নয়, বাড়ির সুখ-সমৃদ্ধিও নাকি নির্ভর করে বাড়িতে রান্নাঘরটি কোথায় (vastu tips for kitchen) অবস্থিত তার উপরে। একথা আমি বলছি না, বলছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা।
আপনার বাড়ির রান্নাঘরের পজিশনের উপরে এবং রান্নাঘরে কোথায় কী রয়েছে তার উপরে নির্ভর করে আপনার বাড়ির উরজা বা এনার্জি। যদি আপনার পজিশন ঠিক থাকে, রান্নাঘরে রাখা জিনিসপত্রের পজিশনও ঠিক থাকে, তাহলে আপনার বাড়ি ভরে উঠতে পারে সুখ ও সমৃদ্ধিতে। তবে উল্টোটি হলেও জীবনে আসতে পারে নানা সমস্যা।
সে যাই হোক, একবার বাড়ি তৈরি হয়ে গেলে বা ফ্ল্যাট কেনা হয়ে গেলে বারবার করে তো আর রান্নাঘরের পজিশন বদলানো সম্ভব হয় না, সেক্ষেত্রে রইল খুব সিম্পল অথচ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বাস্তু টিপস যা আপনার বাড়িতে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসতে পারে।
দিক নির্বাচন
আপনি যদি বাড়িতে কোনও রেনোভেশন করেন বা নতুন বাড়ি তৈরি করেন, তাহলে এই বাস্তু টিপসটি আপনার খুবই কাজে লাগবে। রান্নাঘর তৈরি করার সময়ে (vastu tips for kitchen) তা দক্ষিণপূর্বে তৈরি করুন। দক্ষিণ-পূর্ব কোন হল অগ্নিকোণ এবং রান্নাঘরেও যেহেতু অগ্নির কাজই বেশি হয় কাজেই রান্নাঘরের পজিশন বাড়ির সাউথ-ইস্ট বা দক্ষিণপূর্বে হওয়াই ভাল। তবে যাঁদের রান্নাঘর এদিকে নয়, তাঁরা অন্তত চেষ্টা করুন রান্নাঘরের দক্ষিণপূর্ব দিকে রান্নার আয়োজন করার।
রান্নাঘরে লাগুক সবুজের ছোঁয়া
আপনি যদি চান আপনার বাড়ি সুখ সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক, সেক্ষেত্রে রান্নাঘরে যতটা সম্ভব সবুজের সমারোহ রাখার চেষ্টা করুন। রান্নাঘরের দেওয়ালে বা জানালায় কিচেন গার্ডেন করতে পারেন। যদি জায়গা না থাকে সেক্ষেত্রে রান্নাঘরের মেঝে বা স্ল্যাব সবুজ গ্রানাইট বা মার্বেল দিয়ে করতে পারেন। কোনও কিছুই সম্ভব না হলে রান্নাঘরে সবুজ কোনও ছবি টাঙাতে পারেন। এতে বাড়িতে শান্তিও বজায় থাকে।
জল-আগুন যেন কাছাকাছি না থাকে
রান্নাঘরেই আজকাল বাসন মাজার সিঙ্ক থাকে। খেয়াল রাখবেন রান্নার গ্যাস এবং বাসন মাজার সিঙ্ক (vastu tips for kitchen) যেন একে অন্যের খুব কাছাকাছি না থাকে। বাস্তু অনুযায়ী অগ্নি ও জল বিপরীতমুখী এনার্জি। কাজেই এই দুই বিপরীতমুখী এনার্জি পাশাপাশি থাকলে তা কেবলমাত্র অশান্তিই ডেকে আনে। রান্নাঘরের উত্তরপূর্ব দিকে মাসন মাজার সিঙ্ক রাখুন। খেয়াল রাখবেন রান্নাঘরের কোনও কল থেকে যেন জল চুইয়ে না পড়ে। এতে বাড়ি থেকে টাকাপয়সা বেরিয়ে যায় বলে বাস্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
এঁটো বাসন বেশিক্ষণ ফেলে না রাখাই শ্রেয়
প্রত্যেকটি বাড়িতেই রান্নাঘরে নানা বাসন ব্যবহার করা হয়। রান্না করতে তো বটেই এবং খেতেও আমরা নানা বাসন ব্যবহার করি। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, যখনই আপনি রাতে রান্না করবেন, রান্না করা হয়ে গেলে বাসনগুলো ধুয়ে রাখুন। এঁটো বাসন যত বেশি জমা হয়, বাড়িতে তত বেশি নেগেটিভ এনার্জি ছড়ায়। এছাড়াও অনেকেই রান্নাঘরে বাসন ছড়িয়ে রাখেন। এতেও কিন্তু নেগেটিভ এনার্জি ছড়ায় এবং বাড়িতে সুখ ও সমৃদ্ধির চূড়ান্ত অভাব হয়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!