Water Retention, কথাটি আজকাল প্রায়ই শোনা যায়। শরীরে নাকি জলের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে তখন তাকে ওয়াটার রিটেনশন বলা হয়। যদিও চিকিৎসকদের মতে, আমাদের শরীরের ৭০ ভাগই জল! অর্থাৎ বলা যেতে পারে যে আমাদের হাড়, মাংসপেশি ও নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গেই জলের পরিমাণ বেশি। তবে এই ৭০ ভাগ জলের থেকেও যদি শরীরের ভিতরে জল বা ফ্লুইডের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন কিন্তু হয় সমস্যা। মোদ্দা কথা, অনেকেই যাঁকে বলেন হাঁটুতে জল জমেছে অথবা শরীরের অন্য কোনও অংশে জল জমেছে, তাকেই ডাক্তারি পরিভাষায় water retention বলা হয়। ভয় পাওয়ার কারণ নেই, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এবং তা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তবে তার আগে জানা উচিত water retention-এর লক্ষণ কী, কোন-কোন কারণে এই শরীরে জলের আধিক্য বাড়তে পারে ও তা জমা হতে শুরু করে।
Water Retention-এর লক্ষণ
বেশিরভাগ মানুষের মনে একটা ভুল ধারণা রয়েছে যে যদি ওজন হঠাৎ করে বেড়ে যায়, তা হলে নাকি তা শরীরের জমা জলের কারণে বেড়েছে। হ্যাঁ, অনেক সময়েই আমাদের শরীরের যা ওজন তার বেশিরভাগ-টার জন্যই হয়তো আমাদের শরীরের জমে থাকা জল বা ফ্লুইড দায়ী, কিন্তু সব সময়ে একথা সত্যি নয়। Water Retention-এর আরও নানা লক্ষণ রয়েছে…
- গাঁটে ব্যথা ও হাত-পায়ের জয়েন্টগুলো নাড়াতে অসুবিধে হওয়া
- প্রতিটি জয়েন্টে আওয়াজ হওয়া
- হাড়ে ব্যথা, বিশেষ করে কোমরে ও পায়ের পাতায়
- ঘুম থেকে উঠে বা ঘুমের মধ্যেই শরীরে ব্যথার অনুভূতি
- হাত-পা মুড়তে না পারা
- ত্বকের রঙ বদলে যাওয়া
টিপ: বাড়িতেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে আদৌ জল জমছে নাকি অন্য কোনও কারণে এই শারীরিক সমস্যাগুলো হচ্ছে। হাঁটু বা গোড়ালি বা পায়ের পাতায় হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিন। দেখুন চামড়া ভিতরে ঢুকছে কিনা। এরপর ছেড়ে দিন, তখনও যদি দেখেন যে একটু গর্ত হয়ে রয়েছে, তা হলে বুঝবেন যে শরীরে জল জমছে।
Water Retention-এর কারণ
নানা কারনেই water retention-এর সমস্যা হতে পারে। সবচেয়ে বড় কারণ হল আমাদের জীবনশৈলী। এছাড়াও আরও কয়েকটি কারণের কথা এখানে বলে দিলাম আমরা…
- কাঁচা নুন বেশি খেলে শরীরে জল জমতে পারে। প্রসেস করা মাংস, নানা ধরনের চিপস, প্যাকেটের সুপ, ভাজাভুজি, এমনকী কোল্ড ড্রিঙ্ক থেকেও কিন্তু water retention-এর সমস্যা হতে পারে।
- কোনওরকম শারীরিক মুভমেন্ট না থাকলে শরীরে ফ্যাট জমতে শুরু করে এবং সেখান থেকেও কিন্তু ফ্যাট গলে ঘাম হয়ে বাইরে না বেরিয়ে শরীরের মধ্যেই জলীয় পদার্থ হিসেবে জমতে শুরু করতে পারে।
- অনেকেরই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা আছে। তাঁদের শরীরে নানা হরমোনের মধ্যে ভারসাম্য ঠিক থাকে না এবং এটি জল জমার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
Water Retention-এর চিকিৎসা
শরীরে জমে থাকা জলের আধিক্য বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ও তাঁর কথামতো চলতে হবে, তবে আপনি কিন্তু নিজেও কিছু নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যা থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে পারেন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন, বিশেষ করে মবিলিটি এক্সারসাইজ ও স্ট্রেচিং-এর উপর জোর দিন। প্রয়োজনে প্রশিক্ষকের সাহায্য নিতে পারেন।
- অনেকসময়েই কিন্তু ঘুম সম্পূর্ণ না হলেও শরীরে জল জমতে পারে। কাজেই ঘুমোন। যখন তখন ঘুমোলে অবশ্য হবে না, সঠিক নিয়ম মেনে সঠিক সময়ে ঘুমোতে হবে।
- ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্টস খেতে পারেন। তবে খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
- প্রচুর পরিমাণে জল খান।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন