Our World

রিফ্যাব্রিশড গুডস কী? আর পরিবেশ রক্ষার্থে তা সাহায্যই বা করে কীভাবে

Debapriya Bhattacharyya  |  Sep 8, 2020
রিফ্যাব্রিশড গুডস কী? আর পরিবেশ রক্ষার্থে তা সাহায্যই বা করে কীভাবে

বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি কঠিন কঠিন শব্দ জেনেছি। ‘কার্বন ফুটপ্রিন্ট’, ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’, ‘রিসাইকেলিং’, ‘রিফ্যাব্রিকেশন’ – এরকম আরও অনেক কিছু রয়েছে। আসলে আমরা অনেক সময়েই প্রয়জনের তুলনায় অনেকটা বেশি নিয়ে ফেলি প্রকৃতি থেকে, ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় (environmental crisis) এবং তখনই হয় নানা সমস্যা। কাজেই, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে, নিজেদের স্বার্থে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুবিধের জন্য এখন থেকেই আমাদের উচিত কিছু কিছু জিনিস, যা সাধারণত বর্জ্য বলে পরিচিত, তা রিসাইকেল করা ও ব্যবহার করা।  এরকমই কিছু বস্তু হল রিফ্যাব্রিশড গুডস (why-we-should-use-refurbished-electronic-goods)।

সাধারণত, ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে রিফ্যাব্রিকেশন করা হয়। আমরা যদিও কেনাকাটার সময়ে নতুন জিনিস কিনতেই পছন্দ করি, সত্যি তো, টাকা দিয়ে কিনছি, পুরনো জিনিস কেন কিনব? তবে রিফ্যাব্রিশড সরঞ্জাম মানে কিন্তু পুরনো জিনিস নয়। তাহলে রিফ্যাব্রিশড গুডস কী (why-we-should-use-refurbished-electronic-goods)?

রিফ্যাব্রিশড গুডস – ব্যপারটা কী

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইলেকট্রনিক সরঞ্জামেই রিফ্যাব্রিকেশন করা হয়

রিফ্যাব্রিশড গুডস হল এমন কিছু সরঞ্জাম যা হয়তো আগে কেউ ব্যবহার করেছেন, কিন্তু অন্য কেউ যখন সেই সরঞ্জামটি কেনেন, তার আগে এগুলি সারাই করে আবার নতুনের মত করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে রিফ্যাব্রিশড গুডস মানে ভাঙা-চোরা জিনিস কেউ আপনাকে গছিয়ে দেবে। আবার এরকম ভাবার কারণও নেই যে পুরনো সরঞ্জাম, নতুন বাক্সে ভরে কেউ আপনাকে বিক্রি করবে। রীতিমত সরঞ্জামগুলির খোল-নলচে বদলে, সুন্দর করে বাক্সে ভরে প্যাকেজিং করে তবেই রিফ্যাব্রিশড গুডস বাজারে ছাড়া হয়। বেশিরভাগ সময়েই রিফ্যাব্রিশড গুডস (why-we-should-use-refurbished-electronic-goods) বাজারে ছাড়ার আগে তার ভিতরের নানা পার্টস যাচাই করে নেওয়া হয়, যদি কোনও পার্ট খারাপ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে হয় নতুন পার্টস বা রিসাইকেল করা পার্টস লাগানো হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইলেকট্রনিক সরঞ্জামেই রিফ্যাব্রিকেশন করা হয়, এবং এগুলো বিক্রির সময়ে বেশ ভাল ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। কাজেই, আমাদের মতে, রিফ্যাব্রিশড গুডস ব্যবহার করলে টাকা যেমন বাঁচে, তেমনই ই-ওয়েস্টও কম হয় এবং পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা হয়।

ই-ওয়েস্ট কী

আমরা সবাই চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব

আমরা সবাই জানি যে যত বেশি প্লাস্টিক ব্যবহার হবে, পরিবেশের ভারসাম্য ততই নষ্ট (environmental crisis) হবে। কাজেই ইদানিং ব্যবহৃত প্লাস্টিক ফেলে না দিয়ে সেগুলি রিসাইকেল করে নতুন নতুন প্রোডাক্ট তৈরি করার চেষ্টা চলছে। ঠিক এরকমই যখন ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম খারাপ হয়ে গেলে আমরা ফেলে দিই, তখন তাকে ই-ওয়েস্ট বলা হয়। কম্পিউটার, টিভি, রেডিও, মোবাইল ফোন – সবই ই-ওয়েস্ট (e-waste) বলে ধরা হয়। অনেক সময়েই এগুলো পুরনো হয়ে গেলে বা খারাপ হয়ে গেলে আমরা নতুন ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম কিনি এবং পুরনোগুলি ফেলে দিই। এতে ই-ওয়েস্টের (e-waste) পরিমান বাড়তে থাকে এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পরিবেশ বিশারদদের মতে, সারা বিশ্বে প্রতি বছর ৪০ মিলিয়ন টন ই-ওয়েস্ট জমা হয় এবং এর ২০%-এরও কম রিসাইকেল ও রিফ্যাব্রিকেশন (why-we-should-use-refurbished-electronic-goods) করা হয়! কাজেই, আশা করি বুঝতে পারছেন আমরা ঠিক কোন দিকে এগচ্ছি!

https://bangla.popxo.com/article/how-to-make-immunity-system-strong-with-vitamin-c-in-bengali

POPxo এখন চারটে  ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!  

Read More From Our World