অনেক অভিভাবকই অভিযোগ করেন তাঁদের সন্তান কারও সঙ্গে মিশতে চায় না। তবে এক্ষেত্রে, কোনও কোনও বাবা,মা বলে থাকেন ছোট থেকে একরকমভাবে সবার সঙ্গে মিশলেও বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থাৎ টিনেজে আসার সঙ্গে সঙ্গে সন্তান একা থাকে। কারও সঙ্গে মিশতে চায় না, খেলতে যেতে চায় না এমনকী কোনও পারিবারিক গেট টুগেদারেও যেতে চায় না (your child prefers staying alone) ।
তখন অভিভাবকরা দুশ্চিন্তা থেকে বকাবকি করেন, জোর করেন। তখন আরও হিতে বিপরীত হতে পারে। সেরকম হয়েও থাকে। অশান্তি, বকাবকিতে বাচ্চারা আরও একা হয়ে পড়ে। এরকম পরিস্থিতি কি আপনার বাড়িতেও তৈরি হয়েছে? আপনি কী করবেন তবে, তার পরামর্শ রইল আপনার জন্য।
সন্তানের সঙ্গে ভাল করে কথা বলুন
সন্তান টিনেজে পৌঁছালে তার মনের অনেকটাই পরিবর্তন ঘটে। স্কুল, বন্ধু-বান্ধব সব কিছুই আস্তে আস্তে তার কাছে বড় ভূমিকা নেয় (your child prefers staying alone)। এই সময়ে যৌনতার সঙ্গে আস্তে আস্তে পরিচিত হতে শুরু করে তারা। এই বিষয়টি আপনি নিশ্চয়ই খুব ভাল ভাবে বোঝেন, আপনার বোঝাও উচিত। কারণ,এই সময় পের হয়ে এসেছেন। তাই এই সময় তার কোনও কিছুতে অসুবিধা হচ্ছে কি না তার সঙ্গে কথা বলে বোঝার দায়িত্ব আপনরাই। আপনার সন্তান হয়তো কোনও সমস্যার মধ্যে রয়েছে, কিন্তু সে বলতে পারছে না বলেই একা থাকতে চাইছে। এরকম বিষয় কি না আগে বোঝার চেষ্টা করুন। কথা বললে সেই সমস্যা প্রকাশ্যে আসতে পারে।
স্কুলে সব কিছু ঠিক রয়েছে তো?
অনেক সময় স্কুল খুব যন্ত্রণার জায়গা হয়ে যায়। এই সময়টা আরও বেশি করে সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। স্কুলে এতরকম কটাক্ষর শিকার হতে পারে যে স্কুলে গেলেই তার মন খারাপ করে যেতে পারে। আপনার সন্তান হয়তো সেই জন্যই একা থাকতে চাইছে (your child prefers staying alone)। আপনি সেই বিষয়টাও বোঝার চেষ্টা করুন। কথা বললেই সেই কারণ সামনে আসবে।
অন্য কোনওরকম অসুবিধা হয়নি তো?
এই বয়সের সন্তানরা বাবা, মা-কে অনেক কথাই বলতে চায় কিন্তু সেই পরিসরটা তৈরি হয় না বলে বলতে পারে না। তাই একাই সাফার করে অনেকে (your child prefers staying alone)। আপনার সন্তানও হয়তো কোনওরকম সমস্যার মধ্যে পড়েছে। এই সময় সন্তানের সবথেকে ভাল বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন আপনি,আপনিই একমাত্র বিশ্বাসের জায়গা। সে হয়তো সমস্যার কথা আপনাকে বললে আপনি সমাধান করে দিতেই পারবেন। আপনিও সেই দিকটি খেয়াল রাখুন।
মানসিক অবসাদের শিকার নয় তো?
টিনেজাররা দীর্ঘদিন মনে অনেক খারাপ লাগা পুষে রাখে। হয়তো প্রথম ভাল লাগায় প্রত্যাখান, কিংবা বাবা,মায়ের উপর কোনও অভিমান হলে তা স্তরে স্তরে জমতে থাকে। কিন্তু সে বলে না। এক সময় মানসিক অবসাদেরও শিকার হয়। কয়েক বছর আগে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি স্কুলের ওয়াশরুমে একজন ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছিল, তার সুইসাইড নোটে পরতে পরতে বাবা, মায়ের উপর অভিমান ছাড়া আর কিছুই ছিল না। সেই খবরে আমরা সবাই চমকে উঠেছিলাম।
তাই আপনার সন্তানও মানসিক অবসাদের শিকার (teen depression) কি না আপনি বোঝার চেষ্টা করুন। তাই হয়তো কারও সঙ্গে সে কথা বলতে চায় না। একা একা থাকতে চায়। হতেই তো পারে। আগে সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি সন্তানের স্বাস্থ্যর দিকেও খেয়াল রাখুন। সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন।
মানসিক অবসাদের অন্যান্য লক্ষণ কী কী
- রাতে ঘুম ঠিক ঠাক ঘুমাতে পারে না
- সারাদিন আচ্ছন্ন ভাব থেকে যায়।
- ভাল লাগার জিনিস থেকে আস্তে আস্তে তার আগ্রহ চলে যাচ্ছে।
- যে কোনও গেট টুগেদার এড়িয়ে চলতে চায় আপনার সন্তান।
- নিজেকে একা করে ফেলেছে।
- পড়াশোনার প্রতি বা খেলার প্রতি আগ্রহ চলে যাচ্ছে।
- সারাদিন শুয়ে থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করে।
- খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাচ্ছে।
- পড়াশোনার ক্ষতি হবে জেনেও সেই নিয়ে তার মধ্যে কোনও আগ্রহ থাকছে না।
- দিনের বেশিরভাগ সময়টাই মন খারাপ করে থাকে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!