শীতকাল এলেই আমরা এত আদিখ্যেতা শুরু করি কেন বলুন তো? কী এমন আছে এই ঋতুতে? বাঙালি তো খাদ্যরসিক। তাই বাঙালি একবাক্যে বলবে শীতকালে পাওয়া যায় প্রচুর তাজা শাক সবজি আর ফল। ভালো কথা। আপনিও থলে হাতে বাজারে ছুটলেন। কিন্তু কোনটা খাচ্ছেন, কেন খাচ্ছেন সেটা জানেন কি? কী বলছেন? জানেন না তাই তো। আসুন দেখে নিই শীতকালে কোন ফল আর কোন সব্জির কোন গুণ। আর আপনারই বা কোনটা বেশি দরকার।
শীতকালীন নানা সবজি ও ফলের উপকারিতা (6 Healthy Winter Fruits and Vegetables)
আমাদের শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলসের অন্যতম উৎস হল শাক-সবজি ও ফলমূল। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আমাদের বেশি পরিমাণে শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত। সারা বছরের অন্যান্য শাক-সবজি ও ফলমূলের তুলনায় শীতকালের শাক-সবজি এবং ফলের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। যা আমাদের ত্বকের সজীবতা ধরে রাখে এবং আমাদের শরীরের ভিটামিন ও মিনারেলসের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে যেমন –
১| কমলালেবু (Orange)
আহা!এই ফলের সঙ্গে বাঙালির যেন আত্মার সম্পর্ক। শীতের ব্রেকফাস্টে, পিকনিকে কমলালেবু(Oranges) থাকবেই। তাছাড়া দুধ কমলা, কমলালেবুর পায়েসের মতো লোভনীয় পদ তো আছেই। খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ৪০০০ বছর আগে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এই ফলের উৎপত্তি।পরে তা অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে আছেঃ ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন, পটাশিয়াম
প্রতিরোধ করেঃ ডায়বেটিস, ত্বকের সমস্যা, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম
মনে রাখবেনঃ বেশি কমলালেবু খেলে অম্বল ও বমিবমিভাব হতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। যদি সেটা আপনার শরীরে বেশি না লাগে অতিরিক্ত কমলালেবু খাবেন না।
২| আমলকী (Amla)
আমলকী মানেই ভিটামিন সি। খাওয়ার পর নুন মাখানো টক মিষ্টি আমলকী খেতে দারুণ লাগে।জানেন আমলকীকে বলা হয় সর্বরোগহর। সেই প্রাচীন কাল থেকে আমলকীর গুনাগুন বুঝতে পেরেছিলেন ঋষি মুনিরা।
এতে আছেঃ ভিটামিন সি
প্রতিরোধ করেঃ স্কার্ভি, বাতের ব্যাথা, ইনফ্লুয়েঞ্জা
মনে রাখবেনঃ অতিরিক্ত আমলকীর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
৩| জলপাই (Olive)
কোথা জল পাই বলতে পারেন? মনে আছে সুকুমার রায়ের সেই বিখ্যাত গল্প ‘অবাক জলপান’? হ্যাঁ জলপাই(Olive) আপনাকে পেতেই হবে। এর এত গুণ এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না।
এতে আছেঃ ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, পলিফেনলস এবং মোনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড
প্রতিরোধ করেঃ পেটের আলসার, ত্বক ও চুলের সমস্যা, বাতের ব্যাথা
মনে রাখবেনঃ অতিরিক্ত জলপাই খেলে তার থেকে স্কিন র্যাশ বা অ্যাকনে হতে পারে।
৪| মটরশুঁটি (Peas)
ফ্রায়েড রাইস হোক বা পিস পোলাও, তাতে মটরশুঁটি(Peas) থাকলে রান্নায় আলাদা মাত্রা পায়।
এতে আছেঃ প্রোটিন, ডায়েটারি ফাইবার, ক্যারোটিন ইত্যাদি।
প্রতিরোধ করেঃ হজমের সমস্যা, ওবেসিটি, হাড়ের সমস্যা
মনে রাখবেনঃ এতে আছে ডাই ও মোনো স্যাকারাইড।তাই বেশি মাত্রায় মটরশুঁটি থেকে গ্যাস হতে পারে।
৫| ফুলকপি (Cauliflower)
ফুলকপির বড়া বলতে বাঙালি অজ্ঞান। খিচুড়িতে ফুলকপি(Cauliflower) না হলে জীবন বৃথা। এখন যদিও সারা বছরই এই সবজি পাওয়া যায়। তবে শীতকালের ফুলকপির স্বাদই আলাদা।
এতে আছেঃ ভিটামিন এ, ক্যালশিয়াম ও সালফার
প্রতিরোধ করেঃ হৃদরোগ, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ
মনে রাখবেনঃ যেহেতু ফুলকপিতে সালফার থাকে তাই গ্যাস হতে পারে বা পেটভার হতে পারে।
৬| বাঁধাকপি (Cabbage)
একে মোটামুটি ফুলকপির দোসর বলা যেতে পারে। মাছের মাথা দিয়ে বাঁধাকপি(Cabbage) হোক বা স্যালাডে কাঁচা বাঁধাকপি হোক এর স্বাদ অতুলনীয়।
এতে আছেঃ ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম
প্রতিরোধ করেঃ পেপটিক আলসার, মধুমেহ, হাড়ের সমস্যা
মনে রাখবেনঃ হাইপোথাইরয়েড থাকলে বাঁধাকপি না খাওয়াই ভালো।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু,মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
রাতে শোওয়ার আগে দুধ খাওয়ার উপকারিতা
Read More From লাইফস্টাইল
এই ৬টি ঠোঁটের অধিকারিণীরা এইসব গুণের মানুষ হন
SRIJA GUPTA
চুল ভাল রাখতে শ্যাম্পুর বদলে এগুলি ব্যবহার করুন
SRIJA GUPTA