বলিউড ও বিনোদন

মহিলারাই আসল! মহিলাকেন্দ্রিক ছবির সাফল্যের আগুনে এখন হাত সেঁকছে বলিউড

Swaralipi Bhattacharyya  |  Aug 24, 2019
মহিলারাই আসল! মহিলাকেন্দ্রিক ছবির সাফল্যের আগুনে এখন হাত সেঁকছে বলিউড

আপনার সিনেমার হিরো কে? কাকে ভেবেছেন হিরোর চরিত্রে? … ওঃ! উনি! তা হলে তো ছবি হিট…। হ্যাঁ, ছবির গল্প নিয়ে প্রযোজকের কাছে গেলে পরিচালকদের এসব প্রশ্নের মুখে পড়তেই হয়। কনটেন্ট নিয়ে কোনও কোনও প্রযোজক ভাবেন ঠিকই। কিন্তু পোস্টারে কার মুখ থাকবে? কাকে দেখে টিকিট বিক্রি হবে? সেটা একটা বড় প্রশ্ন। 

দীর্ঘদিন ধরে পোস্টারের বড় অংশ জুড়ে থাকতেন নায়ক। তাঁর উপরেই বড় বাজেটের লগ্নি করত ইন্ডাস্ট্রি। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা সিনেমাটা একার কাঁধে বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব থাকত হিরোর উপর। আবার সিনেমা হিট হলে তার ক্রিমটা খেতেন ওয়ান অ্যান্ড ওনলি হিরো। কিন্তু সময় বদলেছে। হিরোর দায়িত্ব কমাতে এখন হিরোইনও কিছু কম যান না। মহিলাদের উপরও কোটি-কোটি টাকার লগ্নি করছেন প্রযোজকরা। আর তা যে খুব একটা ভুল ডিসিশন নয়, তা সাম্প্রতিক অতীতে প্রমাণও করেছেন হিরোইনরা। 

মেরি কমের বায়োপিকে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার অভিনয় বলুন, আলিয়া ভট্টের ‘রাজি’ বলুন অথবা রানি মুখোপাধ্যায়ের ‘মর্দানি’। লিস্ট কিন্তু বেশ লম্বা। প্রত্যেকটি ছবিই যেমন বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছে, তেমনই সমালোচকরাও মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেননি। ‘উওম্যান সেন্ট্রিক ফিল্ম’ বা ‘ফিমেল ড্রিভন ফিল্ম’ শব্দগুলো সোশ্যাল ওয়ালে এখন আর নতুন নয়। আপাতদৃষ্টিতে এসব সিনেমার পারফরম্যান্স ভালই। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের ছবিটা ঠিক কেমন? বিশেষ করে ‘উওম্যান সেন্ট্রিক ফিল্ম’ (women centric) শব্দবন্ধটি কতটা আদর পায় ইন্ডাস্ট্রিতে? 

সিনে বিশেষজ্ঞ গিরীশ জোহর যেমন এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমার তো মনে হয় মহিলাকেন্দ্রিক ছবি এখন ভালই পারফর্ম করছে। তবে কোন অভিনেত্রী অভিনয় করছেন, তার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে।’’ তাঁর মতে, এখন ভারতীয় দর্শক সিনেমার উপর অনেক বেশি ইনভেস্ট করেন। সময় নিয়ে সিনেমা হলে যান। দামি টিকিট কেটে সিনেমা দেখেন। ফলে সব সময়ই তাঁরা বেস্ট প্রোজেক্ট এক্সপেক্ট করেন। সে কারণেই হিরো বা হিরোইন নন। কনটেন্ট, অর্থাৎ সিনেমার গল্পই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়।

এই প্রসঙ্গে ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন সোনাক্ষী সিন্হা। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, “যখন অক্ষয় বা সলমন কোনও সিনেমা করে, তখন কি তাকে মেল সেন্ট্রিক ফিল্ম (film) বলি আমরা? ফিল্ম তো ফিল্মই। মেল বা উওম্যান সেন্ট্রিক বলে আলাদা না করে সিনেমা হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’’ সোনাক্ষীর সঙ্গে একমত দিয়াও। তিনি বলেন, “উওম্যান সেন্ট্রিক ফিল্ম বা মেন সেন্ট্রিক ফিল্ম এভাবে ভাবাই উচিত নয়। জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি নিয়ে কথা বলি আমরা। আমি তো বলব, ছবির বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের আরও ব্যালান্সড হতে হবে। যাতে পুরুষ, মহিলা সব দর্শকের কাছেই তা সমান আকর্ষণীয় হয়।” প্রিয়ঙ্কা চোপড়া মনে করেন, লিডে পুরুষ চরিত্র থাকলে সেই ছবি নিয়ে আলাদা করে কোনও আলোচনা হয় না। কিন্তু মহিলা লিড হলেই যেন সেটা স্পেশ্যাল হয়ে যায়! রানি মুখোপাধ্যায় আবার মনে করেন, ছবি ভাল হবে অথবা খারাপ। সেখানে লিডে পুরুষ নাকি মহিলা তা বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়। কনটেন্টই আসল রাজা।

সাম্প্রতিক অতীতে বলিউডের (Bollywood) কয়েকটি সফল মহিলাকেন্দ্রিক ছবির তালিকা দেওয়া হল এখানে…তা হলে কেন আজ এই বিষয়ের অবতারণা, তা আরও ভাল করে বুঝতে পারবেন আপনারা!

১. কুইন (কঙ্গনা রানাওয়াত)

২. রাজি (আলিয়া ভট্ট)

৩. মিশন মঙ্গল (বিদ্যা বালন, সোনাক্ষী সিনহা, কীর্তি কুলহারি, তাপসী পন্নু ইত্যাদি)

৪. পিঙ্ক (তাপসী পন্নু, কীর্তি কুলহারি)

৫. বদলা (তাপসী পন্নু)

৬. মণিকর্ণিকা (কঙ্গনা রানাওয়াত)

৭. সিমরন (কঙ্গনা রানাওয়াত)

৮. পটাকা (রাধিকা মদন, শনায়া মলহোত্র)

৯. তুমহারি সুলু (বিদ্যা বালন)

১০. হিচকি (রানি মুখোপাধ্যায়)

কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পেতে চলেছে দীপিকা পাড়ুকোনের ‘ছপাক’ এবং প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক’।

একটা কথা ভেবে দেখবেন, এই মহিলাকেন্দ্রিক ছবিগুলির বিষয়বস্তু যতটা ভিন্ন-ভিন্ন প্রকারের, ততটা ব্যাপ্তি কিন্তু বলিউডের তথাকথিত পুরুষপ্রাধান্যওয়ালা ছবিগুলিতে নেই!  

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

Read More From বলিউড ও বিনোদন