Our World

মাতৃত্ব নাকি কেরিয়ার – বজায় রাখুন দুটোই, রইল টিপস

Debapriya Bhattacharyya  |  Nov 25, 2021
মাতৃত্ব নাকি কেরিয়ার – বজায় রাখুন দুটোই, রইল টিপস

হাতে একটু সময় নিয়ে যদি আপনার পাড়ার কয়েকটা বাড়িতে একটু খোঁজখবর নেন দেখবেন এরকম অনেক মহিলা পেয়ে যাবেন যারা সন্তান হওয়ার পর চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। অনেকেই মনে করেন মাতৃত্ব মানে কেরিয়ারে একটা বড় রকমের ফুলস্টপ। আবার অনেকে চাকরি ছাড়েন না ঠিকই কিন্তু সদ্য মা হওয়ার পর, সংসার, সন্তান আর অফিস সামলাতে গিয়ে হিমসিম খান। এইসব মায়েদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি এমন কিছু দরকারি টিপস যা আপনাকে সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আপনার যদি সন্তান থাকে এবং আপনি যদি চাকরি করেন এই টিপসগুলো নিশ্চয়ই আপনার কাজে লাগবে। মনে রাখবেন আপনি একজন ওয়ার্কিং মম মানে আপনার কাঁধে অনেক বেশি দায়িত্ব, তাই পা ফেলতে হবে বুঝে শুনে। (work life balance tips for moms)

ওয়ার্কিং আওয়ার ফ্লেক্সিবল?

অফিসে আসা যাওয়ায় অনেকটা সময় চলে যায়। ছ’টায় ছুটি হয়ে যদি বাড়ি ফিরতে ৮টা বাজে তাহলে অনেকটাই সময় নষ্ট হয়। তাছাড়া বাড়ি এসে যদি আবার রান্না ও অন্যান্য দায়িত্বও পালন করতে হয় তাহলেও বিষয়টা বেশ কষ্টকর। তাই এমন চাকরি খোঁজার চেষ্টা করুন যারা মাঝে মধ্যে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দেয় বা যেখানে আসা যাওয়ায় সাঙ্ঘাতিক কড়াকড়ি নেই।

ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধে রয়েছে?

ঝট করে কম্পানি বদলের কথা চিনা করবেন না

দীর্ঘদিন যেখানে কাজ করছেন সেখানে একটা নির্ভরতার জায়গা গড়ে ওঠে। অনেক সহকর্মী তখন বন্ধুর মতো হয়ে যান। হঠাৎ করে সংস্থা পরিবর্তন করা মানে নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে যাওয়া। নতুন জায়গায় সেই আস্থার জায়গা গড়ে তুলতে আপনার সময় লাগবে। একজন পুরনো সহকর্মীকে আপনি বলতেই পারেন যে আজ আপনার মেয়ের স্কুলে মিটিং আছে তাই তিনি যেন ব্যাপারটা সামলে নেন। সেই একই কথা নতুন অফিসে বলতে গেলে আপনার কুণ্ঠাবোধ হতে পারে। আপনার এই অনুরোধ নতুন সহকর্মী নাও রাখতে পারেন। (work life balance tips for moms)

সব কাজের দায়িত্ব আপনার একার নয়

অফিসে কাজ করেন বলে বাড়ির দায়িত্ব ও সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে ভাববেন না তা কি সম্ভব? তাই মাঝে মাঝে ‘না’ বলতে শিখুন। আপনার যেটুকু কাজ তার বাইরে যে কিছু করবেন না তা কখনওই আমরা বলছিনা কিন্তু সেটাকে নিয়ম করে ফেলবেন না। ধরুন শনিবার আপনার ছুটি থাকে। মাঝেমধ্যে শনিবার অফিস যেতে হতেই পারে। তবে সেটা যদি নিয়মিত হতে থাকে তাহলে স্রেফ না বলে দিন।

জোর করে মাল্টি-টাস্কিং করার চেষ্টা করবেন না

এক সঙ্গে সব কাজ করতে যাবেন না

আপনার কেরিয়ারটাও গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাঁ, প্রয়োজন হলে এই কথাটা ডায়েরিতে লিখে রাখুন। আর সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাও একটা দরকারি কাজ। আর তাই যখন অফিসে আছেন যে কাজটা করছেন সেটা মন দিয়ে করুন। কাজ করতে করতে ছেলে/মেয়ে কী করছে বা তারা কেন অঙ্কে কম নম্বর পাচ্ছে সেটা নিয়ে খামোখা ভাববেন না। ঘন ঘন তাদের ফোনও করবেন না। ছোট বাচ্চাদেরও একটা আলাদা স্পেস আছে সেটা তাদের উপভোগ করতে দিন। আবার যখন বাড়ি আসবেন তখন অফিসের চিন্তা অফিসেই রেখে আসুন। (work life balance tips for moms)

POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!      

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

Read More From Our World