এই জেট গতির জীবনে এদিক-সেদিক দৌড়-ঝাঁপ করতে গিয়ে অল্পবিস্তর ঠোকাঠুকি তো লাগবেই। তাই একটু-আধটু ব্যথা-যন্ত্রণা তো হবেই। তাই বলে মুঠো-মুঠো পেনকিলার খেলে কিন্তু বিপদ! কারণ, একাধিক স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, বেশি মাত্রায় ব্যথার ওষুধ খেলে নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে মাথা ঘোরা, বারে-বারে বমি হওয়া এবং ডায়রিয়ার মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনই লিভার, কিডনি এবং ইন্টেস্টাইনেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই সময় থাকতে-থাকতে সাবধান না হলে কিন্তু বিপদ!
ব্যথা কমাতে ওষুধ (painkillers) খাওয়া যখন চলবে না, তা হলে কষ্ট কমানোর উপায় কী? উপায় আছে বই কী! আমার-আপনার রান্না ঘরেই এমন কিছু প্রাকৃতিক পেনকিলার রয়েছে, যা ব্যথা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই একবার সেই সবের খোঁজ পেয়ে গেলেই কেল্লা ফতে! যাঁরা ভাবছেন, প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে যন্ত্রণা কমানো সম্ভব নয়, তাঁরা একবার চোখ রখুন এই প্রতিবেদনে, তা হলেই দেখবেন সব ধোঁয়াশা কেটে যাবে।
১. দই
এক্কেবারে ঠিক শুনেছেন! সত্যিই দই খেলে পেট ব্যথা কমে যায়। কারণ দইয়ে রয়েছে বেশ কিছু উপকারী উপাদান এবং probiotics, যা পেটের যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। বিশেষত, পিরিয়ডের সময়কার যন্ত্রণা কমাতে দইয়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই এবার থেকে মাসের এই বিশেষ সময়ে যদি দিনে দু’বাটি করে দই খেতে পারেন, তা হলে উপকার যে পাবেই পাবেন, সেকথা হলফ করে বলতে পারি।
২. পুদিনা এসেনশিয়াল তেল
স্নানের জলে দশ-বারো ফোঁটা পুদিনা এসেনশিয়াল তেলে মিশিয়ে মিনিটদেশেক অপেক্ষা করে সেই জলে স্নান সেরে নিন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে নিয়মিত পুদিনা তেল মেশানো জলে স্নান করলে গা, হাত-পায়ের ব্যথা কমে যেতে সময় লাগবে না। কারণ, পুদিনা তেলে এমন কিছু উপদান রয়েছে, যা পেশির যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এমনকী, মাথা যন্ত্রণা এবং স্ট্রেস লেভেল কমিয়ে ফেলতেও এর জুড়ি মেলা ভার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিয়মিত খানদুয়েক পুদিনা পাতা খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি তো ঘটবেই, সেই সঙ্গে দাঁতের যন্ত্রণাও কমবে নিমেষে। মুখের দুর্গন্ধ দূর হতেও দেখবেন সময় লাগবে না।
৩. আদা
প্রাকৃতিক পেনকিলারের লিস্টে একেবার উপরের দিকে আদাকে না রাখলেই নয়। কারণ, এক টুকরো আদার কুচি খাওয়ামাত্র শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে menstrual pain তো কমেই, সেই সঙ্গে পেশির ব্যথা, বাতের যন্ত্রণা এবং পেটের ব্যথা কমাতেও সময় লাগে না। এদিকে নিয়মিত আদা চা খেলে মাইগ্রেনের মতো সমস্যার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি এবং bronchitis-এর মতো রোগের প্রকোপও কমে।
৪. ইপসাম লবণ
এক কাপ জল বা ফলের রসে চামচতিনেক ইপসাম লবণ মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে যে-কোনও ধরনের ব্যথা কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের খপ্পর থেকেও নিস্তার মেলে। আর যদি আধ বালতি গরম দলে চামচদুয়েক ইপসাম লবণ মিশিয়ে তাতে মিনিটকুড়ি পা চুবিয়ে রাখতে পারেন, তা হলে গোড়ালি এবং পায়ের পাতার যন্ত্রণা কমতে সময় লাগবে না। নিয়মিত ইপসাম লবণ মেশানো জলে স্নান করলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
৫. হলুদ
যে-কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। কারণ, এতে রয়েছে Curcumin নামে এক ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা জয়েন্ট এবং পেশির যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। শুধু তাই নয়, ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতে, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে এবং শরীরকে বিষমুক্ত রাখতেও নানা ভাবে সাহায্য করে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। কিন্তু প্রশ্ন হল, এত সব উপকার পেতে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে হলুদকে? নিয়মিত এক গ্লাস দুধে চামচদুয়েক হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন, ব্যথার প্রকোপ তো কমবেই। সঙ্গে ছোট-বড় নানা রোগ-ব্যাধিও আর ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
৬. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস জলে এক চামচ করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার এবং মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি পান করুন। দেখবেন, যে-কোনও ধরনের ব্যথা কমে যেতে সময় লাগবে না। বিশেষ করে ঘুমনোর সময় পায়ে যাঁদের শিরায় টান ধরার সমস্যা আছে, তা থেকে অনেকটাই আরাম পাবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
এইচ আই ভি ও এইডস এর প্রাথমিক লক্ষণ
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!